মুহূর্তেই পানিতে গায়েব: ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমিন বাজারের রশীদ মোটর ওয়ার্কশপের মিস্ত্রি আক্তার হোসেন জানান, তিনি সাভার থেকে আমিন বাজার যাওয়ার পথে ওই বাসটিকে পড়ে যেতে দেখেন। এ সময় দ্রুতগতিতে আরেকটি বাসকে অতিক্রম করার চেষ্টা করছিল বাসটি। তখন বিকট শব্দ শোনা যায়।
আক্তার হোসেন বলেন, ‘কী যেন ফাটার শব্দ হইলো, মনে হয় চাকা। তারপর বাসটা যেন উইড়া গিয়া পানিতে পড়লো।
আমি দৌড়ায়া পানিতে তাকাইয়া দেহি পানির মইদ্দে কিচ্ছু নাই। বাস এক্কেরে গায়েব। ’ এ সময় তিনি দুই নারী ও চার পুরুষকে সাঁতরে তীরে উঠতে দেখেন। এঁদের একজন পরে মারা যান।
ঘটনাস্থলের অদূরেই আমিন বাজার এলাকায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনরত কনস্টেবল আমির হোসেন জানান, দ্রুতই তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তিনি শুনেছেন, বাসটি আরেকটি বাসকে অতিক্রম করার সময় পানিতে ছিটকে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী আনসার ভিডিপির ইউনিয়ন লিডার আনিসুর রহমান জানান, তিনি তখন রাস্তার উল্টো দিক দিয়ে হাঁটছিলেন। বাসটি দ্রুতগতিতে এসে রীতিমতো উড়ে গিয়ে পানিতে পড়ে। তাঁর ভাষায়, ‘এক্কেরে অলৌকিক। বাসটা যেন পঙ্খীরাজের মতো উইড়া পানিতে ডাইভ দিল।
’
হইচই, ভিড়: দুপুর গড়িয়ে বিকেল হচ্ছে, কিন্তু কেউ উদ্ধার হয় না। ঘটনাস্থলে বাড়তে থাকে কৌতূহলী মানুষের ভিড়। ভিড়ের কারণে মহাসড়ক সচল রাখতে পুলিশ-র্যাবকে বেগ পেতে হয়। এক সারিতে ধীরে ধীরে চলছিল গাড়িগুলো।
উদ্ধার অভিযানে ঢিলেমি করা হচ্ছে, অভিযোগ করে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো।
তারা চিত্কার-হইচই করতে থাকে। একপর্যায়ে র্যাব-পুলিশ মৃদু লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দেয়।
বিকেলে ঘটনাস্থলে আসতে থাকে নিখোঁজদের স্বজনেরা। অনেকে নদের পাড়ে বসে কাঁদতে থাকে। কেউ কেউ নিজেরাই নৌকায় করে পানিতে নেমে খুঁজতে শুরু করে প্রিয়জনকে।
এতগুলা মানুষ ২দিন হলো উদ্ধার হলোনা খুব কষ্টদায়ক ব্যাপারটা.........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।