আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে সুন্দরবনমুখী এ লংমার্চ শুরু হবে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বে থাকা আনু মোহাম্মদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের কাপ্তাই প্রকল্পের জন্য এখনো জনগণকে খেসারত দিতে হচ্ছে।
“সুন্দরবনের সাথে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা জড়িত, জীবনের বিনিময়ে এ ধরনের প্রকল্প আমরা চাই না। ”
তিনি বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি নিজ দেশে এ ধরনের প্রকল্প করতে দেননি।
অথচ বাংলাদেশকে তা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করে সিজিএফ কোম্পানিকে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নিতে ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এ অধ্যাপক।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এ প্রকল্প বাতিল করার আহ্বানের পাশাপাশি সুন্দরবনকে ভোট দিয়ে যারা সপ্তাশ্চার্যে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাদের এ আন্দোলনে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের(টিআইবি) পরিচালক ড. রেজাউনুল আলম বলেন, “আইনের শাসন থাকলে রামপালের মতো সুন্দরবন বিধ্বংসী একটি প্রকল্প সরকার বাস্তবায়ন করতে পারে না। ”
পরিবেশ অধিদপ্তর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিমার্ণে ছাড়পত্র দেয়ার ক্ষেত্রে আইনের লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে নিশ্চুপ থাকায় বিএনপির সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আশা করেছিল বিরোধীদল সুন্দরবন ধ্বংসকারী এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। কিন্তু তারা শুধু ক্ষমতায় যেতে ব্যস্ত।
গত বছরের ২৯ জানুয়ারি সুন্দরবন থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি করে ভারত ও বাংলাদেশ। দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে সেখানে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে।
সম্প্রতি এই প্রকল্পে পরিবেশ ছাড়পত্র দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাবের আশঙ্কায় শুরু থেকেই এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছেন পরিবেশবিদরা।
সংগঠনের সভাপতি আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স ও বাগেরহাট উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।