আমি ঢাকায় থাকলেও early to bed early to rise এর উপর আমল করি। সে জন্য রাত সাড়ে বারোটা আমার জন্য অনেক রাত! সাউন্ড স্লিপিং বলতে যা বুঝায় আমি সেরকম ঘুমে। হঠাৎ কয়েকজন ননসেন্স যুবা-বুড়া এবং শিশুর অট্টহাসিতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। মেজাজটা চড়তে চড়তে সপ্তম আকাশ পেরিয়ে . . . . . .। বারান্দায় দাড়িয়ে ঠাহর করার চেষ্টা করছি কোন বিল্ডিং থেকে খিক্ খিক্ হিক্ হিক্ আর হিহি শব্দ রাতের নীরবতাভেদ করে আসমান - জমিন কাঁপিয়ে তুলছে। একবার মনে হলো আমাদের বিল্ডিং এর তৃতীয় তলা থেকে আবার মনে হলো, পাশের বিল্ডিং থেকে কিন্তু সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারছিলাম না আসলে ননসেন্সগুলি কোন বাড়ীর বাসিন্দা! তবে এটা বুঝতে পারছিলাম যে, একজন কিশোর বয়সের ছোকরা কৌতুক বলছে আর বাকিরা গলা ফাঁটিয়ে মহল্লার ঘুমন্ত লোকজনের সাথে ভয়ংকর কৌতুক করছে! সবচেয়ে বেশী ভয়েছিলাম আমার ছোট্ট ছেলেমেয়েদের নিয়ে কারণ এ সময়ে ওদের ঘুম ভেঙ্গেগেলে ভোরে স্কুলে পাঠানো বেশ কঠিন হয়ে যাবে। ননসেন্স মানুষগুলির ভয়ংকর কৌতুক থামার কোনো লক্ষণ নেই। নিরুপায় হয়ে ক্ষোভে-দুখে ক্লান্ত শরীরটাকে আবার বিছানায় বিছিয়ে দেই! কিন্তু শেষরাত অবধি ঘুমের দেখা মেলে নি!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।