চাঁদপুর থেকে ঢাকার যোগাযোগের ক্ষেত্রে সড়কপথের মতো লঞ্চও ব্যবহার করে ওই এলাকার লোকজন।
শুক্রবার সকাল থেকেই চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় শুরু হয়। পুরো লঞ্চঘাট জুড়ে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ জনযট। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে দেখা যায়।
লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার তুলনায় যাত্রী বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে উঠেছেন অনেকেই।
আবার কেউ কেউ অতিরিক্ত যাত্রী দেখে বা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও লঞ্চে উঠতে না পেরে বাড়ি ফিরে যান।
চাঁদপুর-ঢাকা রুটের আব-এ-জম জম লঞ্চের সুপারভাইজার বিপ্লব সরকার বলেন, “আমি নিজে যাত্রী হলে লঞ্চে উঠতাম না। যাত্রীদের নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে উঠছেন। এতে আমাদের করার কিছু নেই। ”
এ রুটে চলাচলকারী ময়ুর ও বোগদাদিয়া লঞ্চের সুপারভাইজার আলী আজগর বলেন, যাত্রীরা যাতে ঝুঁকিমুক্তভাবে চলাচল করতে পারে সেজন্য অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কারণ, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হলে লঞ্চও ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে যাতে কোনো ধরনের অকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
লঞ্চ যাত্রী মো. মনির, নূর হোসেনসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী বলেন, লঞ্চ স্বল্পতার কারণে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা হতে হচ্ছে। ঈদের ছুটি, হরতাল ও ১৫ অগাস্ট সরকারি ছুটি থাকায় যাত্রীরা শুক্রবার নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা হতে লঞ্চঘাটে এসে ভিড় জমান।
আর লঞ্চ সংকটের কারণে যাত্রীদের অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে উঠতে হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।