বাংলাদেশে সাহায্য কমিয়ে “সামাজিক ব্যবসায়” অর্থ দিতে কানাডাকে ড. ইউনুসের প্রস্তাব
নতুনদেশ ডটকম
শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশকে দেওয়া কানাডা সরকারের বৈদেশিক সহায়তার একটি অংশ তার ‘সামাজিক ব্যবসাখাতে’ দিয়ে দেওয়ার জন্য কানাডা সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করছেন। ড. ইউনুস, কানাডা সরকারের বরাদ্দকৃত বৈদেশিক সহায়তার অন্তত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অর্থ ‘সামজিক ব্যবসা’ খাতে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।
মন্ট্রিয়লের ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার পর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি কানাডা সরকারের বৈদেশিক সহায়তা দেওয়ার নীতিমালা পরিবর্তনের প্রস্তাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনুস বলেন, কানাডা যুগ যুগ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্য, নিরাপত্তা এবং আর্থিক সহায়তা অনুদান হিসেবে দিয়ে আসছে। বরাদ্দকৃত অর্থ ঠিক কি খাতে ব্যয় হচ্ছে তা না জেনে কিংবা বরাদ্দকৃত অর্থ আর কোনোদিনই ফেরত পাওয়া যাবে না তা জেনে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার চেয়ে সামাজিক ব্যবসায় অর্থ বরাদ্দ দিলে তা থেকে একটি ফল পাওয়া যাবে।
ড. ইউনুস বলেন, জাপান বাংলাদেশকে যে অর্থ সহায়তা দেয় তার একটি অংশ দিয়ে ‘সামাজিক ব্যবসা তহবিল’ নামে বাংলাদেশের জন্য একটি তহবিল গঠন করেছে। এটি সুফল দিতে শুরু করলে তারা এই ধারণাটি অন্যান্য দেশেও নিয়ে যাবেন। ড. ইউনুস উল্লেখ করেন, জাপান হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাহায্যদাতা দেশ।
সামাজিক ব্যবসার ধারণার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এটি হচ্ছে মুনাফাভিত্তিক একটি ব্যবসা, যা সমাজ বা বিশেষ অঞ্চলের সামাজিক সমস্যা দুর করে অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, দান খয়রাতের চেয়ে এটি বহুলাংশেই ভিন্ন ।
কারণ এগুলো হচ্ছে করপ্রদানকারী, আয় যোগানদারী টেকসই প্রতিষ্ঠান।
তিনি কানাডা সরকারের উদ্দেশ্য বলেন, ’তোমরা টাকা দিয়ে টাকা বানানোর সুযোগ দিচ্ছো না। সেটি দিলে যে ফল পাওয়া যাবে তাতে তোমরাও অবাক হয়ে যাবে। ‘ উল্লেখ্য, কানাডা প্রতি বছর ৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে ব্যয় করে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।