সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত পর্দাথ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র শামীম হাসান ইমারজেন্সি অটো সুইচ আবিস্কার করেছে।
আবিস্কারক এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের মোহদীপুর গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে। ভাই ও বোনের মধ্যে শামীম সবার ছোট।
শামীম জানায়, মসজিদ, বাসা বাড়ি, গোসল ও অযুখানায় ব্যবহৃত মোটরের সাহায্যে পানির ট্যাঙ্কে কি পরিমাণ পানি আছে ও তার অপচয় রোধের জন্য এ ইমারজেন্সি অটো সুইচ আবিস্কারের পরিকল্পনা মাথায় আসে। সে অনুযায়ী গবেষনা করে সম্প্রতি এ যন্ত্রটি আবিস্কার করে।
শামীম আরো জানায়, ৩ রিলে, ২টি ট্র্যানজিস্টার, ১টি ট্র্যান্সফরমার দিয়ে অটো সুইচ নামক যন্ত্রটি আবিস্কার করা হয়। এ যন্ত্র দিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী মোটরের সাহায্যে ট্যাঙ্কে পানি উত্তোলন করতে যন্ত্রটি অটোমেটিক অন এবং অফ করা যাবে।
যখন পানির ট্যাঙ্ক খালি হয় তখন লাল আলো জ্বলে এবং মোটরটি অটোমেটিক চালু হয়। আবার পানির ট্যাঙ্ক অর্ধেক হলে হলুদ ও পূর্ণ হলে সাদা আলো জ্বলে। ঠিক তখনি মোটরটি অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়।
আবার যখন পানির পরিমাণ কমে যায় অর্থাৎ ট্যাঙ্কিতে পানি যখন অর্ধেকের নিচে নেমে যাবে তখন মোটর আবার অটোমেটিক চালু হবে। এ ভাবে প্রয়োজনের সময় মোটর অটোমেটিক চালু এবং বন্ধ হবে। যার ফলে প্রয়োজনের সময় পানির অভাব বা মোটর বন্ধের ঝামেলা নেই। এর ফলে পানির অপচয় ও বিদ্যুৎ খরচ দুই-ই বাঁচবে।
তাছাড়া সুইচ বন্ধ করার জন্য অতিরিক্ত কোন লোকের দরকার হবে না।
এছাড়া হাই ও লো-ভোল্টেজে এ সুইচে কোন কাজ করবে না ফলে মোটর পোড়ারও কোন সম্ভাবনা নেই। এটি তৈরী করতে খরচ হবে মাত্র ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা। যতক্ষণ না ট্রাঙ্ক খালি হয়, ম্যানুয়ালী মোটর অন করা সম্ভব নয়।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী শামীমের আবিস্কৃত যন্ত্রটি তাঁর নিজ গ্রাম মিরপুর উপজেলার মোহদীপুর জামে মসজিদে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।