ভাল আছি
অনেক দিন আগে শুনেছিলাম। ঠিকমত মনেও করতে পারছিনা।
দুএকটা লাইন মনে পরছে:
"আমি কেমন করে বেঁচে আছি, তুই একবার এসে দেখে যা নিখিলেষ।
আমি মশা হয়ে ঘুরি একদল মশার সাথে ।
আমি মানুষের পায়ের কাছে কুকুর সেজে বসে থাকি,
তার ভেতরের জেগে ওঠা কুকুর টাকে দেখব বলে।
"
অসম্ভব ভালো লেগেছিল শুনতে।
সেই যে ছোটোবেলায় মা গল্প শুনিয়ে ঘুম পারিয়ে দিয়েছে আমার ভেতরের সেই কুকুরটাকে, বাকি জীবনে আর তার দেখা পেলামনা। যদি একবার সে জেগে উঠত তাহলে কামড়ে ছিঁড়ে যোগাড় করে নিত নিজের যা কিছু চাহিদা। সোনার কাঠি রূপার কাঠি কিছু দিয়েই আর তাকে জাগিয়ে তোলা গেলোনা।
মাঝে মাঝে মনে হয় যেন ডুব দিয়েছি এক গহীন জলে।
আলোক কনার গন্তব্যসীমার বাইরে। জলের আয়নায় তাই কোনো প্রতিচ্ছবি নেই। এই কি সেই আমার আমি?
কিছু বন্ধু ভালো আছে কেবল পড়ালেখা অথবা চাকরি নিয়ে,
আবার কেউ সূখী শুধুই সংসার নিয়ে।
তারপরও নদীর এ পাড় কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস,
ঐ পাড়েতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস।
আর আমরা কেহ কেহ দুই পাড় লইয়া হিমশিম খাইতেছি।
ঘর সামলাবো না অফিস?
বাচ্চার স্কুল নাকি দুপুরের রান্না?
কাজের লোক হয়েছে সোনার হরিণ,
অবশেষে সিনেমার নাম কাজের বেটি রহিমা।
রোকেয়া হলে একবার নাটক বানিয়েছিলাম:
না না নাটক না সিনেমা, নাম ছিল "ভিলেন কেন নায়ক নয়?"
ভিলেন শাফ্ক্বাত আর আমি নায়িকা।
বহু বছর পর আজকের সিনেমা "কাজের বেটি রহিমা"।
বেগম রোকেয়ার নারী সৃষ্টি অবলম্বনে নাটক করেছিলাম একবার। তস্তিদেবের ভুমিকায় অভিনয় করেছিলাম।
সেখান থেকে নারীসৃষ্টির কিছু উপাদান মনে পরে গেল:
১। তেতুলের অম্লত্ব
২। লবনের লাবণ্য
৩। মরিচের ঝাল
৪। ইক্ষুদন্ডের মিস্টতা
.........এ যে চাটনীর মসলা।
সত্যি নারীর মন বোঝা বড়ই কঠিন!! নিজে মেয়ে হয়ে জন্মেও এই কথাটা মানতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
দিনের সব যুদ্ধ শেষে যখন ঘুমাতে যাই তখন মেয়েদের দিকে তাকালেই মন ভালো হয়ে যায়।
বন্ধুরা যখন সফল মানুষের তালিকায় স্থান দেয় তখন ভালোই লাগে। সংসার-সন্তান আর চাকরি সবকিছু সফলভাবে চালিয়ে যাওয়ার স্বীকৃতি পেতে মন্দ লাগেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।