আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আদিবাসিদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গ



১৯৭২ সালের ২৫ অক্টোবর সংসদে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা সংবিধানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতিসত্তার অস্তিত্ব ও অধিকারের স্বীকৃতার কথা বলেছিলেন ( দেখুন গণপরিষদ বিতর্ক)। এমনকি তিনি সে সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির কথা বলেছিলেন। আদিবাসিরা সংবিধানে কি চায়, এটি বলার আমি আগে আমি বলব যে পৃথিবীর অনেক দেশের সংবিধানে আদিবাসীদের পরিচয়, অস্তিত্ব, সংস্কৃতি ও অধিকারের স্বীকৃতি আছে। যেমন , আমেরিকা, কানাডা, বলিবিয়া , মেক্সিকো , ব্রাজিল , প্যারাগুয়ে, ইকুয়েডর , ভেনেজুয়েলা প্রভৃতি দেশে আদিবাসীর ভূমি অধিকার ও টেরিটরির মালিকানা পর্যন্ত স্বীকৃতি পেয়েছে। নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও রাশিয়ার আদিবাসীদের নিজস্ব পার্লামেন্ট আছে।

গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের উপনিবেশ হলেও সেখানে আদিবাসীদের স্বীকৃতি আছে। অফ্রিকার অনেক দেশে আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও বৈচিত্রের স্বীকৃতি আছে। কোথাও কোথাও বৈষম্যেহীনতার কথা বলা আছে। এশিয়ার মধ্যে কম্ভোডিয়া , ভারত , চীন , জাপান , মালেযেশিয়া, নেপাল , তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লাওস প্রভৃতি দেশে, আদিবাসীরা হয় সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত অথবা রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইন ও পলিসি দ্বারা স্বীকৃত। সংবিধানের মৌলিক অধিকার ( অনু-২৮ এর ৪) অংশে আছে, নারী ও শিশুদের অনুকুলে কিংবা নাগরিকের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রনয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত করিবেনা।

প্রস্তাব করা হচ্ছে এই অনুচ্ছেদের শুরুতে আদিবাসী জাতিসমুহ শব্দগুলো জুড়ে দিতে হবে। এভাবে সংবিধানের বেশ কয়েকটি অনুচ্ছেদে আদিবাসী শব্দ প্রতিস্থাপিত করার কথা আদিবাসীরা বলেছে। যেমন অনুচ্ছেদ ৩ বলেছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এর সংগে যুক্ত করতে হবে, তবে নাগরিকদের অন্যান্য ভাষার পরিপোষন উন্নয়নেও রাষ্ট্র সমভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করিবেন। এ রকম বেশ কয়েকটি সংশোধন চায় আদিবাসীরা।

তবে যেটি সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ, তা হলো প্রস্তাবনার শুরুতে পৃথিবীর অনেক দেশের মতো বাংলাদেশ বহুভাষা, বহু জাতি ও বহু সংস্কৃতির এক বৈচিত্রপুর্ণ দেশ এ রকম একটি লাইন রাখা , যা সব জাতির পরিচয় ও সংস্কৃতিকে স্থান দেবে, রাষ্ট্র হবে সবার। বি.দ্র. আদিবাসী নেতা সঞ্জীব দ্রং লিখেছেন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।