বিপদে পড়লে আল্লাহর নাম, বিপদ কাটলে 'মিস্ত্রি শ্যাম'! পদ্মা নদী যখন ভরা যৌবনে ছিল অনেকেই আরিচা-দৌলতদিয়া লন্চ, ফেরী বা নৌকায় পারাপার করেছেন। কাল বৈশাখির কবলে লন্চ যখন প্রায় ডুবি ডুবি অবস্হা, বিশাল ঢেউ যখন একবার লন্চটাকে চল্লিশ হাত উপরে আবার মুহুর্তেই ষাট হাত নীচে নিয়ে গিয়ে উল্টিয়ে ফেলার উপক্রম তখন, 'ওরে আল্লারে বাচাও, লা-ই-লাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা...কিংবা ওরে ভগবান, ইশ্বর বাচাও, 'এবার বেচে গেলে জীবনে আর কোনদিন পাপ করবো না' বলেন নাই এমন লোকের সংখ্যা খুজে পাওয়া যাবে না। তারপর ধীরে ধীরে ঝড়ের তীব্রতা কমে যায়, লন্চটা তীরে আসে। হুড়াহুড়ি করে সবাই নেমে যান, বাড়ীতে গিয়ে প্রথম যে কথাটা বলেন সেটা হলো 'ওরে বাবা যা বাচা বেচে গেছি, সারেং বেটা যদি দক্ষ হাতে হাল না ধরতো, কিংবা শ্যাম মিস্ত্রি যদি মজবুত করে নৌকাটা না বানাতো তাইলে আজ আর জান নিয়ে ফিরে আসতে পারতাম না। এভাবে আমরা বিপদের মুহুর্তের সত্যিকার অনুভুতিটা ভুলে যাই যতক্ষন না আবার ঐরকম আর একটা বিপদে পড়ি।
নিজের অজান্তেই সৃস্টিকর্তাকে ভুলে যাই। যে কারনে বার বার বিপদে ফেলে সৃস্টিকর্তা আমাদের পরীক্ষা করেন। বাংলাদেশে থ্যাংকস বলার প্রবনতা খুব কম, কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে কথায় কথায়, উঠতে বসতে, সামান্য কারনে থ্যাংকস বলতে হয়। আর আমাদেরকে যিনি সামান্য একটা জিনিষ থেকে সৃস্টি করেছেন, আলো, বাতাস, খাদ্য দিয়েছেন তাকে আমরা জীবনে কতবার ধন্যবাদ দিই তা ভেবে দেখার সময় আমাদের নেই। মহাশক্তিশালী দেশ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন সময়ে হাত জোর করে ইশ্বরকে ধন্যবাদ জানান, এপ্রিসিয়েট করেন।
আর আমরা চলেছি উল্টো স্রোতে। মহান আল্লাহ আমাদেরকে হুশ ফিরিয়ে দিন, আমিন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।