আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লোডশেডিং এবং আমি.....।

দেশটা আমাদের। এর জন্য ভাল কিছু করতে হলে আমাদেরই করতে হবে। Mail:rabiul@gmail.com

আমার চক্রাকার জীবন। প্রতিদিন সকাল ৭। ৩০ এ অফিস এর পথে রওনা হই।

সারাদিন অফিস শেষ এ ফিরি ৬। ৫০ এ। তারপর শুরু হয় টিউশনি। পর পর দুইটা টিউশনি করতে হয়। ১ম টিউশনি তে প্রবেশ করি সন্ধার ৭।

৩০ এ। ৭। ৩০ টা থেকেই ওই এলাকাতে কারেন্ট থাকে না। এলাকাটার নাম মতিঝিল এ জি বি কলোনি। অনেক পথ হাটার পর যখন টিউশনি তে প্রবেশ করে দেখি কারেন্ট নেই তখন আর মেজাজ নিয়ন্ত্রনে থাকে না।

প্রচন্ড গরমে মনে মনে শাসকদের গালি দেই। ৮। ৩০ তে কারেন্ট আসে। আমি ৮। ৪৫ এ বেরিয়ে যাই।

নামাজ পড়ে ৯। ১৫ তে ২য় টিউশনি তে প্রবেশ করি। ৯। ০০ টা থেকেই ওই এলাকাতে কারেন্ট থাকে না। এলাকাটার নাম শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি।

১০। ০০ টায় কারেন্ট আসে আবার ১১। ০০ টায় যায়। কেমন কস্ট লাগে তা বলে বুঝানো যাবে না। প্রচন্ড গরমে কস্ট লাগে আর মনে মনে শাসকদের অভিশাপ দেই।

তারপর ক্লান্ত শরীরে ১১। ১৫ এর দিকে বাসার দিকে রওনা হই। বাসা মুগদাপাড়া। ১১। ৩৫ এ বাসায় আসি।

১১। ৩০ বা ১১। ৪০ এ সবসময় মুগদাতে কারেন্ট চলে যায় আর আসে ১২। ৩০। এতো পথ হাটায় প্রছন্ড গরমে শুধু সিদদ হই।

মা পাখা দিয়ে বাতাস করেন কিন্তু গরম যায় না। এর ভিতর গোসল করি আর খাই অন্ধকারে। ১২। ৩০ কারেন্ত আসলে ঘুম দিই। কিন্তু আবার যখন রাত ৩।

০০ কারেন্ট যায় এবং ঘুম ভাঙ্গে তখন যতক্ষন জাগ্রত থাকি ততক্ষন শাসকদের অভিশাপ দেই। তারপর এক সময় কারেন্ট আসে,ঘুম ও আসে। আবার সকাল ৭। ০০ তে উঠি। সপ্তাহে ৫ দিন ই আমার কপালে কারেন্ট এর এই কস্ট থাকে।

দেশের প্রধান যিনি তিনি যদি এই কস্ট এক দিনের জন্য ও করতেন তাহলে মনে হয় দেশ এ লোডশেডিং থাক তো না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.