কাল পুরান ঢাকার সুত্রাপুর থেকে এক লম্বা হাটা দিলাম মিটফোর্ডের দিকে। মিটফোর্ড লালবাগ এলাকায় পড়েছে।
সে যাই হোক,
সুত্রাপুর থানা থেকে হাটা শুরু করি লক্ষীবাজার,ভিক্টোরিয়াপার্ক,জনসন রোড,শাখারী বাজার,ইসলামপুর,পাটুয়াটুলি হয়ে মিটফোর্ড হাসপাতাল পৌছুলাম। মিটফোর্ড গিয়েছিলাম মা-বাবার ডায়াবেটিস নির্ণয় করার কেয়ারসিন মেশিনের স্টীক ও কিছু সুঁচ আনতে তখন বিকাল সাড়ে ৪ টা হবে ৫ টা ৩০মি তে মিটফোর্ডে গেলাম। পৌঁছানোর আগে যেটা নিজের কাছে অস্বাভাবিক মনে হল সেটা হচ্ছে লোডশেডিং।
হাটার পথে একটি এলাকাতেও বিদ্যুৎ দেখলাম না। তাহলে সরকার বিদ্যুৎ দিচ্ছে কাকে? এসব এলাকার বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগ বা বিদ্যুতের ফিডার এক নয়।
এক স্থান থেকে বিদ্যুৎ আসে না। তাহলে একই সময়ে এক যোগে সব এলাকার বিদ্যুত বন্ধ থাকে কীভাবে? যতদূর জানি ডিপিডিসি এলাকাভেদে বিভিন্ন সময়ে লোডশেডিং করে থাকে। যদি সেটাই হয় তাহলে কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না।
কিন্তু বাস্তবে যা দেখলাম সেটা দেখে আমি কি ধরে নিতে পারি।
সত্য বলে যেটা ধরে নিতে পারি সেটা হল ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার লোডশেডিং বাড়িয়ে দিয়েছে। ব্যক্তিস্বার্থ প্রাধান্য দিতে গিয়ে এসব করছে। অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে বিদ্যুৎ নিয়ে খেলা খেলছে একটি চক্র। যারা বিদ্যুতের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পায়তারায় লিপ্ত।
এদেরকে সহায়তা করছে সরকার এরই আরেকটি মহল।
দেশে গ্রীড বিপর্যয় হয়নি,বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে বলে খবর,দেশে যে তীব্র তাপদহ চলছে গত কয়েক দিন ধরে তেমন নয় তাহলে রাতদিন কেন ঘন ঘন লোডশেডিং করা হচ্ছে? বিদ্যুৎ উপদেষ্টা তৌফিক এলাহী বলছেন রাতে শিল্পকারাখানা চালাচ্ছেন শিল্প মালিকরা। যদি তার কথা সত্যি হয় তবে তারা কেন সেই সব শিল্পমালিকদের রাতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে দিচ্ছেন? তাদের কে কেন রাতে কারখানা চালানোর অনুমতি দেয়া হচ্ছে? রাতে মানুষ ফ্যান ছেড়ে ঘুমাবে সেটা কি অন্যয়? কেন এই ক্ষেত্রে সরকার আপোষ করে যাচ্ছে? সরকার কি চায় আমরা সকল নারী-পূরুষ-বৃদ্ধ-শিশু না ঘুমিয়ে রাত কাটিয়ে দেই। আর দূনীর্তি বাজ শিল্পপতিরা তাদের অায় বৃদ্ধি করে যাক।
তত্বসরকার দুই বছর কীভাবে দেশ চালাল? তখন তো বিদ্যুতের এমন ক্রাইসিস ছিল না।
রাতারাতি চাহিদা বাড়ে কীভাবে? বিদ্যুত নিয়ে জনগণকে অন্ধকারে রাখছে সরকার। আখেঁর নিজেদের বোচকা ভারী করার জন্য সরকার পরিকল্পিত ভাবে বিদুতের সংকট বৃদ্ধি করে চলেছে। সব এলাকায় একযোগে লোডশেডিং সে প্রমানই দেয়। ইচ্ছাকৃত ভাবে বিদ্যুতের উৎপাদন কমিয়ে দেয়া হচ্ছে যাতে সংকটের কথা বলে নিজেদের আত্মীয় স্বজন চামচাদের বিদ্যুতের চুক্তি গুলো সহজে দেয়া যায়। আর ভাড়ায় চালিত বেশি বেশি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা যায় এতে ঐ শ্রেনীর পকেটই ভারী হবে বেশি।
আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হতাম তবে বিদ্যুতের সাথে সংশ্লিষ্ট চোরদের দুদুক লেলিয়ে দিতাম তাদের লুকানো অর্থ সম্পদের দিকে।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস একদিন এই দূনীর্তি বাজদের মুখোশ উন্মোচন হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।