আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু চর্বিত সময় এবং তিনটে সান্ধ্যকালীন প্রলাপ

আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন
System of the Down এর "Such a lonely day" গানটা শুনতে গিয়ে হঠাৎ করেই উপলব্ধি করলাম, প্রচন্ডরকম নিঃসঙ্গবোধ করছি। এই কথাটা বলাতে কোন অসহায়ত্ব প্রকাশ পেল নাকি জানি না; কারণ প্রচন্ড বিরক্ত হচ্ছি। "loneliness" বিরক্তিকর হলে সেটা নিয়ে ভাল কিছু লেখা যায় নাকি? না, যায় না। ঘুম থেকে উঠে যদি দ্যাখেন সিগারেটের প্যাকেটটা খালি তাহলে আপনি বিরক্ত হবেন; ঘুম ভাঙ্গতে দেরী হল ক্যানো সেটা ভেবেও বিরক্ত হবেন; এমনকী সন্ধ্যেবেলার আজানের ধ্বনি যখন দিনের সবচেয়ে বিষণ্ণ সময়টার টোকা দেবে কানে তখনও বিরক্ত হবেন (কারণ ঘুমটা ভেঙ্গেছে একেবারে সন্ধ্যেবেলায়...)। হাত পা ছুঁড়ে চেঁচাবো নাকি ভাবছি; তা নাহলে নিজেকে গালিগালাজ করা যেতে পারে।

তবে কথোপকথনের সঙ্গী হিসেবে নিজেকে খুব একটা নিরাপদ মনেও হচ্ছে না এখন। লোকে এমন করতে দেখলে সম্পূর্ণ ভুল ভেবে বসে। তাহলে এই প্ল্যানটা বাদ গেল। চায়ের দোকানে একা একা বসে থাকাটা কতোখানি অর্থহীন সেটা জানেন কি? সারাদিন ধরে সেদ্ধ হওয়া লিকারে চিনিছাড়া নেসক্যাফের একটা মিনিপ্যাক গুলে নিলে একরকম বিষ তৈরী হয়, সেটাই কিনা তৃপ্তি করে খাই। শুধুমাত্র বেহিসেবী বা দারিদ্র্যের শিকার বলে নয়, অভ্যাসের দরুণ সস্তা সিগারেট ধরিয়ে থাকি।

কিন্তু একা একা বসে থাকাটা... কোন শাদাকালো, বর্ণহীন, ধোঁয়াটে, পানসে বিকল্পধারার ফ্রেঞ্চ মুভির মতোন। গুষ্টি কিলাই আমি আমার Monochrome Soul এর। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা যেতে পারে অনেক কিছু। সেটা হতে পারে ওভারব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে থেকে, কিংবা ইউনির লম্বা দেয়ালটার কোন এক ধারে দাঁড়িয়ে। প্রায় অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার যে এই সময়টাতে ওভারব্রীজটা এতটা ফাঁকা থাকে! সুযোগটা অবশ্যই কাজে লাগানো হবে।

খানিক আওয়াজ করেই একটা গান ধরা যায় যেটা ইয়ার দোস্তদের সামনে এই জীবনেও গাওয়ার সাহস হবে না... "আঁশিঁকঁ বাঁনাঁয়াঁ, আঁশিঁকঁ বাঁনাঁয়াঁ, আঁশিঁকঁ বাঁনাঁয়াঁ তুঁনেঁ..." হুমম, ওভারব্রীজের ধাতব সিড়িগুলো কাজে দ্যায় খুব, পদশব্দ শোনা যায়। কোন পথচারীর আগমনের আভাসে খুব দ্রুত কম্পোজার ঠিক করে নেয়া যায়। _____________________________________________ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় ঘুমিয়ে থাকলে শাস্তিটা পেতে হয় ঠিকই; প্রচন্ডরকম মাথাব্যাথা নিয়ে ঘুম ভেঙ্গে ওঠা হয়। এভাবে দীর্ঘ নিদ্রার সাফল্যটা উপভোগ করাও হচ্ছে না। সঠিক সময়ে ঘুমাবার শেষ প্রয়াসে একবার একটা হলিউডি রোম্যান্টিক মুভি দেখতে বসেছিলাম।

সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছিলাম বাকি রাত মেটালিকার "লাইভ ইন টেক্সাস" আর এরিক ক্ল্যাপ্টনের "ক্রসরোডস গিটার ফেস্টিভাল" দেখে। আরেকটা অপশন, ড্রাগ ইনডিউসড ঘুমকে খানিক অপছন্দই করি। আমার এক বন্ধু ওইসব ঘুম ভেঙ্গে উঠত প্রফুল্লচিত্তে আর বলে বেড়াত যে রঙগুলোকে আরো উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। নিজে দিনের বেলাকে একটু বেশিই আলোকিত পাই, উজ্জ্বল রঙ সামলে ওঠার মত করে আমার চোখ তৈরী হয় নি বলেই মনে হয়। _____________________________________________ গতরাতে ভাল একটা জলসা হল বলা যায়।

কাঁচের বোতল, নীলচে ধোঁয়া, আকাশে চাঁদ সবই ছিল মাপমতোন। সমস্যাটা বেধে গ্যালো অন্যখানে; যেহেতু বিশোর্দ্ধ তরুণেরা বরাবরই অদ্ভুত হয়ে থাকে, সবাই গলা মিলাচ্ছিল হঠাৎ হঠাৎ কোন ফোক রক, অস্থির সময়কার বাংলা সিনেমার গান...,ওখান থেকে একটা মেটাল ট্র্যাক(এক্যুষ্টিকে মেটাল ট্র্যাকগুলো এত অদ্ভুত শোনায় ক্যানো?) কিংবা আবেদনময়ী কোন পুরনো হিন্দি সিনেমার গানে। লম্বা চুলের গিটারিষ্ট দোস্তের বাঁ-হাতের আঙুলগুলোর ডগায় ফোস্কা পড়ে গেলে উঠে দাঁড়াই। অবাক গলায় জিজ্ঞেস করে কেউ... "কিরে কই যাস?" "রুমে। " "ক্যান?" "গান কমন পড়তেছে না আর..." ____________________________________________ (ভিডিও লিঙ্ক গানটার লিঙ্ক )
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।