ডিসকভার কক্সবাজার,ডিসকভার বাংলাদেশ।
ক্ষমতাসীন দল পরিচয়ে রাতারাতি দোকান নির্মাণ : চড়া দামে হাতবদল করা হচেছ
কক্সবাজার নিউজ ডটকম :
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বালিয়াড়ি দখল হয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল পরিচয়ে রাতারাতি প্রভাবশালী মহল সেখানে দোকান নির্মাণ করে তা অবৈধ ভাবে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে। সৈকতের শোভাবর্ধনে নির্মিত বীচ পার্ক মার্কেটের পার্কিং এর জন্য সংরক্ষিত জায়গাটিও বেদখল হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে এসব স্থাপনা নির্মাণ করায় স্থানীয় প্রশাসন এক প্রকাশ অসহায়।
এরা রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছে। এনিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ পরিবেশবাদিদের মধ্যে বিরাজ করছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। এমনকি অবৈধ স্থাপনার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে সেখানে যে কোন মুহুর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটারও আশংকা করছে সচেতন লোকজন। তবে মিডিয়া নিয়ন্ত্রনের জন্য বিশেষ এক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিলেও টাকা ভাগবাটোয়ারায় হেরফের করায় খোদ সাংবাদিক মহলেও বিরাজ করছে চরম অসনত্দোষ।
জানা যায়,বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারেই অবস্থিত।
পর্যটন নগরী হওয়ায় এখানে সারা বছরই দেশী বিদেশী পর্যটকদের আগমনও ঘটে এখানে। সৈকতের শোভা বর্ধনের জন্য সৈকতের বালিয়াড়ি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্মাণ করা হয় বীচ পার্ক (ছাতা) মার্কেট। ৮টি ছাতায় ১০৪টি বিভিন্ন সাইজের দোকান করা হয়। সৈকতের পুরানো ব্যবসায়ীদের মাঝে বরাদ্ধ দেয়া হয় দোকান । বিদেশী একটি মার্কেটের নকশার আদলে জেলা পরিষদের তত্বাবধানে বীচ পার্ক মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়।
বীচ পার্ক মার্কেটের উত্তর ও দক্ষিন পাশ্বর্ে পর্যাপ্ত পার্কিং জায়গাও রাখা হয়। পাকিং জায়গাটি যাতে বেদখল হয়ে না যায় সেখানে কিছু কিছু নারিকেল গাছও রোপন করে ব্যবসায়ীরা। বীচ পার্ক মাকর্েেটের পাকিং জায়গাটির উপর কুনজর পড়ে ক্ষমতাসীন দলের । আওয়ামীলীগ ছাড়াও শরীক দলের কতিপয় নেতাকর্মী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বালিয়াড়িতে সৃজনকৃত নারিকেল গাছ কেটে ফেলে গত ১ সপ্তাহ ধরে সেখানে নির্মাণ করছে আরো একটি ছাতা মার্কেট। ৪টি ছাতায় বিভক্ত করে সেখানে দোকান করা হচ্ছে ৬৪টি।
আর এসব দোকান ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ,যুবমহিলালীগ এবং শরীক দলের জাসদ,জাতীয় পার্টি এমনকি বিরোধী দলের কয়েক জন নেতা কর্মীরা ভাগভাটোয়ারা করেছে। এমনকি দোকান গুলো নিয়ে প্রতিটি দোকান ১০/১৫ লাখ টাকায় দখলসত্ব্ বিক্রি করা হচ্ছে।
একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানায, এসব অবৈধ দোকান বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রভাশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের নিকট। ইতিমধ্যে অধিকাংশ দোকান চড়া দামে হাতবদল করা হয়েছে। সেসাথে সৈকত সংলগ্ন এলাকায় দোকান পাটের দাম ও চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় শুরু হয় ওই এলাকা গুলোতে অবৈধ দখলদারদের থাবা।
সরকারী খাস জমির উপরও নজর দেয় ভুমিগ্রাসী চক্র । বীচ পার্ক মার্কেটে সৌন্র্দয্যহানি করে ,পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে অবৈধ ভাবে নির্মিত দোকান গুলোর ব্যাপারে বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটি সভাপতি ও জেলা প্রশাসক কাছ থেকে অনুমতি নেয়া হয়নি। আর অনুমতি দেয়ারও প্রশাসনের কোন সুযোগ নেই। অনুমতি ব্যতিরেখে সেখানে দোকান পাট গড়ে তোলায় ব্যবসায়ীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েছে। অবৈধ স্থাপনার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে চলছে উত্তেজনা।
যে কোন মুহুর্তে সেখানে ঘটতে পারে বড় ধরনের সংঘর্ষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের একটি সুত্র জানায়,বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের রাঘব বোয়ালেরা সেখানে জড়িত রয়েছে। এমনকি আওয়ামীলীগ,অংগসংগঠন,জাতীয় পার্টি,জাসদসহ মহাজোটের শরীক দলের নেতা কর্মীরা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সেখানে নির্মাণ করছে স্থাপনা। তা আবার হা্ত বদল হচ্ছে ,দখল বিক্রিও করছে । সুত্র আরো জানায়, মিডিয়া নিয়ন্ত্রনের জন্য বিশেষ এক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
বিশেষ সাংবাদিকদের ম্যানেজ করা হলেও টাকা ভাগবাটোয়ারায় হেরফের করায় খোদ সাংবাদিক মহলেও বিরাজ করছে চরম অসনত্দোষ।
সুত্রে আরো প্রকাশ,১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৫ ধারা অনুসারে তৎকালীন সরকার কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয় । কিন্তু পরিবেশ আইনকে উপেক্ষা করে সৈকতের বালিয়াড়িতে চলছে স্থাপনা নির্মাণ কাজ। স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।