আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশী মাছ রক্ষা করুন বিদেশী হাইব্রীড মাছ বর্জন করুন।

গ্রামীণ সমাজের বাস্তবতা আর অশ্লীলতার বিপক্ষে অবস্থান।

প্রাকৃতিক উৎস থেকে আহরিত মৎস্য সম্পদ এখন হারিয়ে যেতে বসেছে যার প্রতিকার ও সংরক্ষনের উপায় খোঁজা দরকার । আমাদের বলা হয় মাছে ভাতে বাঙ্গালী মাছ আমাদের প্রধান খাদ্যগুলির অন্যতম।ইলিশ জাতীয় মাছ হলেও দাম আকাশ ছোঁয়া সাধারনের নাগালের বাইরে তা ছাড়া যে মাছ গুলি সচরাচর পাওয়া যায় যেমন বিগ হেড , তেলাপিয়া , সিলভার কার্প. হাইব্রিড মাগুর, থাই কই ও আমাজান নদীর পেকু মাছ (রুপ চান্দাঁ) এগুলো অতীব দ্রুত বর্ধনশীল বিধায় স্বাদ ও গুনগতমান নেই বললেই চলে। তার পরও মানুষ এগুলোকে গ্রহন করছে এবং খন্ড কালীন মৎস চাষীরা ব্যবসার উদ্দেশ্যে চাষ করছে, যে খানে বর্ষা কালে চারিদিকে মাছ আর মাছ দেখা যেত সেগুলো এখন সোনার হরিণ (পাবদা) নামক একটি দেশী মাছ স্বাদে গুনে পৃথিবীর অন্যতম মাছগুলোর সেরা এটির দেখাই এখন মেলে না, আস্তে আস্তে দেশী মাছ হারিয়ে যাচ্ছে ভীনদেশী হাইব্রীড মাছের কাছে , হাইব্রীড মাছ ব্যবসায়িক চিন্তায় উৎপাদিত বিধায় বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য, কৃত্তিম খাবার ও অতিরিক্ত সার ব্যবহার করে মাছের গুনস্বাদ সবই নষ্ট করা হচেছ ফলে নানা রকম অজানা অচেনা রোগ ব্যাধী ছড়াচ্ছে যার প্রতিকার নেই বললেই চলে , ইলিশের বংশ রক্ষার বিভিন্ন উপায় উদ্ভাবন করা হলেও দেশী মাছের বংশ রক্ষার ব্যপারে কোন কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না এগুলি ধংসের অন্যতম কারন হচেছ জায়গায় জায়গায় বাঁধ সৃষ্টি ,খালবিলে ভেসাল জাল বসানো বর্ষা পরবর্তি পুকুর ,দোবা .মজাপুকুর খাল, বিল সম্পুর্ন সেচ করে মাছের বংশ নিধন করা কারেন্ট জালতো আছেই। তবে আমার বাস্তব বিবেচনায় বর্ষা পরবর্তি (পুকুর দোবা সম্পুর্ন সেচ করে মাছে বংশ নিধন ) বন্ধ করতে হবে, ধরে খাওয়া যাবে কিন্তু সেচে নিধন করা যাবে না ,সরকার যদি মাত্র ৫বৎসরের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে ও জেল জরিমানার বিধান রেখে আইন করে তা কার্যকরি করার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার দের দায়ীত্ব প্রদান করেন তাহলে আবার দেশী মাছ পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসে ভরপুর হয়ে যাবে।বর্ষা শেষের পূর্বেই এক শ্রেনীর মৎস্য ফরিয়া এ গুলো আগাম কিনে রাখে এর পরে পানি সেচের মাধ্যমে মাছের বংশ নিধন করে এরাই হচ্ছে দেশী মাছের বংশ নিধন দাতাদের অন্যতম তা ছাড়া এক শ্রেনীর গোপন জাল পানির নিচে থাকে এ গুলি কোন সংযোগ খালের মুখে এটে দেয়া হয় এমন ভাবে যার পিছনদিক প্রায় আধা কিলোমিটার দুরে পানির নিচে আটকে দেয়া হয় এখানে এক বার মাছ ঢুকলে বেরুনোর কোন ক্ষমতা আর মাছের থাকে না এমনকি কোয়াটার ইঞ্চি সাইজের মাছও আটকা পড়ে যায় তেমনি একটি জায়গার নাম কুমিল্লা জেলার মনোহর গন্জ উপজেলার বাইসগাঁও ইউনিয়নের ডাকাতীয়া নামক খালের সংযোগ খাল।প্রশাসনের নাকের দগায় এগুলি হচ্ছে কোন প্রতিকার নেই এখানে এলে দেখা যাবে ভেসাল জালের মেলা বসেছে সমগ্র নোয়াখালী ও কুমিল্লার দক্ষিনান্চল দেশী মাছ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই একটি জায়গার কারনে।অনুগ্রহ পূর্বক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি বিষয়টি ভেবে দেখবার জন্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।