আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাতৃত্ব : মা ও শিশুর সম্পর্ক বন্ধনে হরমোনের ভূমিকা



মা ও শিশুর মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন অত্যন্ত সুনিবিড়। যাকে নাড়ির সম্পর্ক বলেও আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রমী গবেষণা রিপোর্টে মজার তথ্য উপস্থাপন করেছেন। মা সন্তানকে আদর-সোহাগ ও স্নেহ-মমতায় লালন পালন করবেন-এমনটিই স্বাভাবিক। তবে এক্ষেত্রেও কিছু হেরফেরের ব্যাপার আছে-তা জানা ছিল না।

নতুন তথ্য জানিয়েছেন একদল মার্কিন বিজ্ঞানী। তাদের মতে, স্বাভাবিক নিয়মে যে সব প্রসূতি মাতা সন্তান প্রসব করেন সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান প্রসবকারীদের তুলনায় তারা নবজাতকের কান্নায় বেশি সাড়া দিয়ে থাকেন। মোদ্দাকথা, এ শ্রেণীর মায়েদের তাদের সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধন অটুট হয় বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি ১২ জন প্রসূতি মাতার ওপর গবেষণা চালান। সন্তান প্রসবের দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পরিচালিত গবেষণায় ৬ জন ছিলেন স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবকারিণী এবং বাকি ৬ জন সিজারিয়ানের সাহায্যে সন্তান প্রসবকারিণী।

জার্নাল অব চাইল্ড সাইকোলজি এন্ড সাইকিয়াট্রিতে লেখা নিবন্ধে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন গবেষকদল। তাতে উল্লেখ করা হয়, সব কয়জন প্রসূতি মাতার ব্রেন স্ক্যান করে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে ‘অক্সিটোসিন’ নামে এক প্রকার হরমোন নিঃসরণের মাত্রা স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবকারী মায়েদের ব্রেনে অধিক। যা সিজারিয়ানকারী মায়েদের ব্রেনে লক্ষণীয় সামান্য মাত্রায়। ধারণা করা হচ্ছে এ জাতীয় হরমোন মাতৃত্ব আচার-আচারণের জন্য মূল ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসবোত্তর মায়েদের মানসিক অবসাদগ্রস্ততার সঙ্গেও যোগসূত্র রয়েছে এ হরমোনের।

যাদের এ হরমোন নিঃসরণের মাত্রা যত বেশি থাকে তাদের অবসাদগ্রস্ততায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তত কম। গবেষকদলের প্রধান ড. জেমস সোয়াইন বলেন, মা ও সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কের বন্ধন সম্পর্কে আরো ভাল করে জানতে, তাদের ঐ গবেষণাকর্ম অধিকতর সহায়ক হবে। ব্রিটেনের রয়্যাল কলেজ অব অবসটিট্রিশিয়ানস এন্ড গাইনোকোলজিস্টসের মুখপাত্র প্রফেসর জেমস ওয়াকার বলেন, সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের বেলায় মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে । এমনটি আমরা আগে থেকেই স্বীকার করে নিয়েছি। তাই আমরা সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের ব্যাপারে মায়েদের নিরুৎসাহিত করে থাকি।

তবে একথাও সত্য যে, সিজারিয়ানের পরও কোন কোন ক্ষেত্রে মাতা ও সন্তানের অটুট সম্পর্কের নজির রয়েছে ভুরি ভুরি। তার ভাষায়, সিজারিয়ানের মাধ্যমে ভূমিষ্ঠ সন্তানকে মায়ের উচিত অধিক যত্ন আত্তিতে মনোনিবেশ করা। তাহলে সম্পর্কোন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারবে। তথ্যসূত্রঃ ইন্টানেট

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।