আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের ‘ডি-কর্ট’ ইনজেকশানে শ্যাওলা!



ডেক্সামেথাসন সোডিয়াম ফসফেট বিপি গ্রুপের জীবন রক্ষাকারী ঔষধ ইনজেকশন ‘ডি-কর্ট’। এটির প্রস্তুতকারী কোম্পানী গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানী, বাংলাদেশ। রোগীর মূমুর্ষু অবস্থায় জীবন রক্ষার শেষ চেষ্টা হিসেবে ব্যাবহার করা হয় এটি। কিন্তু ঔষধটি যখন মেয়াদোত্তীর্ণ সময়ের ভেতরেই কার্যকারীতা হারায় তখন এটি জীবন রক্ষা না করে জীবন নাশের ঝুঁকি থাকে। এরকম ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেল লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগী।

ডাক্তারের পরামর্শে রোগীকে ‘ডি-কর্ট’ ইনজেকশনটি পুশ করতে গিয়ে কর্তব্যরত নার্স ইনজেকশনের ভেতরে শ্যাওলা দেখতে পেয়ে তা ফেরত দেয়ার পরামর্শ দেয় রোগীর লোকদের। সদর হাসপাতালের সামনের ‘পলাশ মেডিকেল হল’ থেকে কিনে নেয়া অনেকগুলো ‘ডি-কর্ট’ ইনজেকশন ফেরত দিয়ে ঝুঁকি থেকে রক্ষা পায় উক্ত রোগী। খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর হাসপাতালের সামনে পলাশ মেডিকেল হল, সাদনান ফার্মেসীসহ কয়েকটি ফার্মেসীতে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানীর প্রস্তুতকৃত অসংখ্য সাদা শ্যাওলাযুক্ত ইনজেকশন এ্যাম্পুল। ইনজেকশনের প্যাকেটে লেখা ব্যাচ নং-২০, প্রস্তুতের তারিখ-জুন ২০১০ এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ-জুন ২০১২। অর্থাৎ চলতি বছরেই এসব ইনজেকশন প্রস্তুত করা হয়।

এর কার্যকারীতার মেয়াদ আরও দু’বছর রয়েছে। অথচ এখনই খালিচোখে এসব ইনজেকশনের এ্যামপুলে ঝাঁকি দিলে অসংখ্য ছোটাকৃতির সাদা শ্যাওলা দৃষ্টিতে পড়ে। যা কোনভাবেই রোগীর দেহে পুশ করার উপযোগী নয়। কিন্তু একই গ্রুপের কার্যকর অন্য একটি এ্যাম্পুল ঝাঁকালে স্বচ্ছ ওয়াটার পরিলক্ষিত হয়। গ্লোব এর ডি-কর্ট ইনজেকশনগুলো দেখে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিসিন ডাক্তার কমলাশীষ রায় বলেন, নিঃসন্দেহে এগুলো কার্যকারীতা হারিয়েছে।

এগুলোর ব্যবহারে রোগীর উপকার না হয়ে ক্ষতিই হবে। লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. শামছুল আশরাফ খান উক্ত ইনজেকশনের এ্যাম্পুল দেখে বলেন, শ্যাওলা দেখা যাচ্ছে। তবে এটি কতটুকু অকার্যকর এখন সেটি যথাযথ পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখা দরকার। গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের বিক্রয় প্রতিনিধি জহির উদ্দিন রিয়াজ বলেন, আমার কাজ হচ্ছে মার্কেটিং করা। এর বেশি কিছু আমি করতে পারি না।

তবে শ্যাওলাযুক্ত উক্ত ব্যাচের ঔষধগুলো বাজার থেকে তাৎক্ষণিক তুলে নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এব্যাপারে কথা বলতে চাইলে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের জেলা ম্যানেজার সরোয়ার জাহান কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।