হারাতে চাই নিঃষীম আধারে,ডুবে যেতে চাই নিকশ কালোয়....যদি তোমায় না পাই আলোয়.........
রাজনীতি ব্যাপারটায় অনেক ছোটবেলা থেকে আমার খুব আগ্রহ। যে বয়সে ছেলেরা খুব মনোযোগ দিয়ে পত্রিকায় গোল্লাছুট জাতীয় পাতায় বেশি ঝুকে থাকে,কেন জানি না,আমি পড়ে থাকতাম রাজনীতির রসালো খবরগুলোয়।
একটু বয়স হবার পর বুঝলাম,এটা আসলে আমার দোষ না,জাতি হিসাবে আমরা সবাই রাজনীতি ব্যাপারটা একটু বেশি ই বুঝি।
আরো একটু বড় হবার আবিষ্কার করলাম,আসলে সচেতনতা-ফতা কিছুই না,আমরা বাংগালীরা আসলে ব্যাপক আমুদে প্রবন আর রাজনীতি পাড়ার বিনোদনের কাছে বেইলি রোড কিংবা স্টার সিনেপ্লেক্স,সব ফেইল
উহারাই উত্তম বিনোদন মাধ্যম
ক্রমে ক্রমে বয়সের পারদটা ঊর্ধমুখী ( ),তাই বিনোদনের মাঝে এসে জায়গা করে নিচ্ছে ক্ষোভ,হতাশা,বিরক্তি আর হাল ছেড়ে দেয়ার অনুভুতিগুলো। এই ব্লগে লেখার শুরুর দিককার কথা,এখানে রেজিস্ট্রেশনের অনেক আগে থেকেই অতিথি পাঠকের কাজটা চালাই গেছি এখানে,তাই রেজিস্ট্রেশনের পর নিজের কাছেই একটা চুক্তি ছিল,এখানে ধর্ম আর রাজনীতি (যেটা কিনা এখনো আমায় নানা অনুভুতিতে আন্দোলিত করে) নিয়ে কক্ষনো কোন পোস্ট দিব না।
চুক্তির কার্যকারীতা আজ ভেঙ্গে যাচ্ছে। যে ব্যাপারটায় লিখছি,এই ব্যাপারটায় আমার নিজেরই কেন যানি লজ্জার অনুভূতি হচ্ছে,নিজের লজ্জাবোধের তাড়নাতেই লেখা।
ব্লগে আওয়ামীলীগ বিদ্বেষী ব্লগারের কোন অভাব নাই,তাদের কল্যাণে পাবনার ঘটনার সর্বশেষ আপডেট সবার জানা।
আমি আসলে মোটেই এই ঘটনায় বিস্মিত নই,বরং এইচ টি ইমাম সাহেব যে দশ দিন পর্যন্ত ডিসি সাহেবকে স্বনিয়োগে মঞ্চায়ীত রেখেছেন,তা আসলে জাতিসংঘের অসীম কৃপায়!!তারা যদি এখন ৬৫ তম অধিবেশনের ডাক না দিত,প্রধানমন্ত্রী যদি এখন দেশের বাইরে না থাকতেন,তাইলে কি উনার পাছায় লাত্থি দিতে এত দীর্ঘসূত্রিতার দরকার হয়।
কি অদ্ভুত কথা,উনারা এখন ক্ষমতায়,উনাদের দলীয় লোকের যদি নিয়োগ না পায় তাইলে কি জামায়াত-বি এন পি'র লোক দিয়া প্রশাসন ভরে যাবে না? যুব আর ছাত্রলীগ যদি এখন মৌসুমী লীগ প্রীতির উপর ভর দিয়া একটু চাকরি-বাকরি কইরা উনাদের বাল-বাচ্চাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করতে চায়,তাতে ডিসির প্রব্লেম কই? এই শালার ডিসি কি আম্লীগের মিছিলে রাস্তায় খাড়াইয়া, রোদে পুইড়া,বৃষ্টিতে ভিজ্জা পিকেটিং এর টাইম পুলিশের পুন্দানি খাইছে?
খায় নাই,যে খাইছে তার আর কোন যোগ্যতা থাক আর না থাক,পুন্দানি খাওয়ার যোগ্যতা আছে,সেই যোগ্যতার বলে সকল রকমের সরকারি পদে দল ক্ষমতা থাকার টাইমে প্রধান যোগ্য দাবিদার তারাই।
এ কারনেই তো জেলা প্রশাসকদের নির্ভয়ে কাজের আশ্বাস দিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের মনপুরা দ্বীপে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। তাদের কত্ত বড় সাহস যে তারা ছাত্র-যুবলীগ এর ভবিষ্যত নিয়া ছিনিমিনি খেলে।
আমরা এরকম শাস্তির আরো নিদর্শন চাই যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন টা করার দু;সাহস না পায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।