সবকিছু হারিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধতায়। একা ঘুড়ির ক্লান্ত পথে চক্রাকার। ভেসে ভেসে প্রাসাদ এলো তার, দীর্ঘ চূড়া। বিকালে সবার একই গান হয়। ডুবে যাওয়া সূর্যে হয়তো সমান স্তব্ধতা, যেমন এই চূড়া আর হঠাৎ-ই কাকের মতো দেখা দূরে নব-দম্পতি।
এই কথা আর বলবো না। পাখি, তোমার ডানা মুড়ে মেঘ দেখ আজ; নিচে, মাটিতে মানুষগুলি। গলিতে অনেকগুলি ভেড়া, তাদের পর্যটন অবশেষে এই মৃত বন্দরে। আকাশে বিমান, অনেকক্ষণ, দৃষ্টিসীমায়। দৃশ্য।
সম্ভাবনা পথ খুলে হেঁটে গেছে। দুইপাশে দীর্ঘ গাছ। আশপাশ ভরে আছে চেনা ও অচেনা। নরোম ঢেউয়ে বাতাস যে নদী তার পাল তোলা বাণিজ্যের নৌকা কত কী নিয়ে চলে যায়, আসে। চলাচলও হতে পারে গভীর মৌনতা।
কিছুই ভাঙছে না। শুশুকের মতো ভেসে ওঠা মাঝিদের নিস্পৃহতায় যাচ্ছে এড়িয়ে, ক্রমশ। দিগন্ত ক্রমেই ঝাপসা। এখন আর বাতি-জ্বলা ত্রস্ততায় কেঁপে কেঁপে ওঠবে না তুমি।
ঘরগুলি বিন্দুর মতো ফুটে কখনও।
রাত-বিরাতে আকাশে তারাগুলি; মাঠের ওপর, রেলপথ জুড়ে অন্ধকার, গাছ, হিবিজিবি...আজকেই মনে আর কোনদিন না। অথবা কে জানে হয়তো এমন বাদুড়ের পাখা ঝাপটানি, পেঁচার স্পষ্ট চোখে জমে আছে অনেক নিদ্রা। আর এই ভেবে ভেবে সবকিছু যাবে, যাচ্ছে; হারিয়ে।
‘একদিন আমিও মরে যাবো’ - এই সত্যে তবু আমারও বিশ্বাস নাই। তোমার জানালায় উঁকি দিয়ে পাতাগুলি তোমারে দেখছে।
তুমি আজ ভীষণ হাসছো; হাসতে হাসতে একেবারে চাঁদের মতো, লুকাতেই পারছো না। এই আনন্দ, কতদিন পর!
১৯৯৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।