আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রামে ডালিম হোটেল জামায়াতি টর্চার সেল



চট্টগ্রামে জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী এবং মাওলানা আবু তাহেরের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনী নিরপরাধ বাঙালিদের ধরে এনে নির্যাতন চালানোর তথ্য পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা। গতকাল শনিবার সকালে তদন্ত দলের প্রধান এডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর নেতৃত্বে তদন্ত দলের সদস্যরা সেই নির্যাতন সেল 'ডালিম হোটেল' পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্নজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, ইসলামী ছাত্র সংঘের শহর সভাপতি হিসেবে আলবদর বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী। তার নেতৃতে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে বাঙালিদের ধরে এনে চালানো হতো অমানুষিক নির্যাতন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. গাজী সালাহ উদ্দিন তদন্ত দলের সদস্যদের জানান, ১৯৭১ সালের ১০ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনী এবং তার সহযোগীরা পাহাড়তলীতে শত শত বাঙালিকে হত্যা করে।

হানাদার বাহিনীর পৈশাচিক নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাবা তৎকালীন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মাহমুদুন্নবী চৌধুরীর কাছে গিয়েও রেহায় পাননি। এরপর তদন্ত দলের সদস্যরা ফয়'স লেক এলাকায় যেখানে মেয়েদের ধরে এনে পাকহানাদার বাহিনী পৈশাচিক নির্যাতন চালাতো সেই এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তদন্ত দলের প্রধান এডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু বলেন, অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তার মূলোৎপাটনের জন্য তদন্ত টিম কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছি তা সফল হয়েছে। আলবদর বাহিনীর টর্চার সেল ডালিম হোটেল ১৯৭১ সালে ডালিম হোটেলে বাঙালিদের নির্যাতন নিয়ে একটি সক্ষাৎকার দিয়েছিলেন গণতন্ত্রী পার্টির প্রয়াত নেতা সাইফুদ্দিন খান।

২০০৬ সালের ৯ ডিসেম্বর দৈনিক সংবাদে সেটি প্রকাশিত হয়। ডালিম ভবনে নিয়ে যাওয়ার সময় 'জয় বাংলা' সেস্নাগান দিয়েছিলেন সাইফুদ্দিন খান মুক্তিযুদ্ধের সময় সাইফুদ্দিন খান তার পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের কদমতলী বাস টার্মিনালের পাশে পোড়া মসজিদের সামনে আজিজ কলোনিতে থাকতেন। সেদিন ছিল ৮ নভেম্বর, ১৯৭১। এদিন রাতে তার বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন মোট ৬ জন। এরা হলেন_ তৎকালীন জেলা ন্যাপের সভাপতি এ এন নূরুন্নবী, ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশনের দুই কর্মকর্তা অরুণ কুমার চৌধুরী ও শফিউল আলম চৌধুরী, তার দুই ভাইপো ড. ইরশাদ কামাল খান এবং ড. মোসলেহ উদ্দিন খান।

এরা দু'জন এ সময় চট্টগ্রাম কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে তারা সাইফুদ্দিন খানের কাছে এসেছিলেন। রাতে তারা সবাই যথারীতি দুটি রুমে বিভক্ত হয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোর রাত চারটার দিকে সশস্ত্র অবস্থায় কিছু লোক এসে তাদের বাসা ঘিরে ফেলল। বাইরে থেকে তারা চিৎকার করে বলতে লাগল,' ভেতরে দুষকৃতকারী থাকলে বের করে দাও, নয়তো আমরা বাসা সার্চ করব।

' এসব কথা বলতে বলতেই তারা বাসার দরজায় লাথি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তাকে আটক করতে আসা সশস্ত্র দলটির নেতাকে চিনে ফেললেন সাইফুদ্দিন খান। লোকটি ছিলেন তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা এবং পটিয়া এলাকার আলবদর বাহিনীর প্রধান আবুল কালাম। এ এন এম নূরুন্নবী ও সাইফুদ্দিন খানকে দেখে রাজাকার কালাম বলে উঠল, এরা-তো ন্যাপের লোক, ভারতের দালাল।

এদের বেঁধে ফেল। এরপর সাইফুদ্দিন খানের স্ত্রী-সন্তান বাদে বাকি ৬ জনকে, চোখে কালো কাপড় এবং রশি দিয়ে হাত বেঁেধ রাস্তায় রাখা একটি মিনি ট্রাকে নিয়ে তোলা হয়। ট্রাকে তোলার পর সাইফুদ্দিন খান এবং এ এম এন নূরুন্নবী মিলে 'জয় বাংলা' বলে সেস্নাগান দিয়েছিলেন। সেস্নাগান শুনে আবুল কালামসহ কয়েকজন এসে 'মালাউনের বাচ্চা' বলে দু'জনকে লাথি দিয়েছিল। ভোরের দিকে তাদের ডালিম ভবনে নিয়ে আসা হয়।

ডালিম হোটেলে আরও যারা আটক ছিলেন ৭ নভেম্বর ভোরে ডালিম হোটেলে নিয়ে যাওয়ার পর একটি অন্ধকার কক্ষে নিয়ে তাদের সবার চোখের কালো কাপড় খুলে দেয়া হয়। সাইফুদ্দিন খান দেখতে পান সেখানে আগে থেকেই বন্দী অবস্থায় রয়েছেন জেলা ন্যাপের তৎকালীন তুখোড় নেতা এডভোকেট শফিউল আলম (বেবী শফি), জাহাঙ্গীর চৌধুরী (বিএনপি নেতা দস্তগীর চৌধুরীর বড় ভাই), তৎকালীন চীনপন্থি ন্যাপ নেতা মো. সেলিম এবং সাংবাদিক মেজবাহ খানসহ আরও কয়েকজন। এদের মধ্যে মুক্তিবাহিনীর লোকও ছিল। ন্যাপ নেতা বেবী শফিকে দেখে সাইফুদ্দিন খান কথা বলতে চাইলে এক রাজাকার এসে তাকে একটি চড় দেয়। পরে বন্দীদের পৃথক করে ফেলা হয়।

এদের মধ্যে সাইফুদ্দিন খান, এ এম এন নূরুন্নবীসহ ১৩ জনকে রাখা হয়েছিল ডালিম ভবনের ছোট্ট একটি রান্নাঘরে। বেবী শফিসহ বাকিদের রাখা হয়েছিল অন্য একটি কক্ষে। দিনের অধিকাংশ সময় তাদের চোখ কালো কাপড়ে বেঁধে রাখত। তিনদিন পর ডালিম ভবন থেকে ইরশাদ কামাল খান, মোসলেহ উদ্দিন খান, ব্যাংক কর্মকর্তা অরুণ চৌধুরী ও শফিউল আলম চৌধুরীকে ছেড়ে দেয়া হয়। রাজাকাররা মুক্তিবাহিনীর লোকসহ প্রগতিশীল দলের সমর্থকদের মধ্যে প্রতিদিন ২০-২৫ জনকে ডালিম ভবনে ধরে নিয়ে যেত।

অনেককে নির্যাতনের পর কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হতো। পানি চাওয়ায় মুখের ওপর প্রস্রাব করে দিয়েছিল নরপশুরা সাইফুদ্দিন খানকে যে রান্নাঘরে আটক করে রাখা হয়েছিল তার পাশেই একটি 'টর্চার চেম্বার' তৈরি করেছিল রাজাকার-আলবদররা। একটি ছোট্ট, অপরিসর কক্ষ, একটি চেয়ার পাতানো আছে। নির্যাতনের সময় বন্দীদের ওই চেয়ারে বসানো হতো। দৈনিক ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা করে কিংবা অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত সাইফুদ্দিন খান, এডভোকেট শফিউল আলম এবং এ এন এম নূরুন্নবীসহ প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা এবং মুক্তিবাহিনীর লোকদের নির্যাতন করা হতো।

সাইফুদ্দিন খান এবং এ এন এম নূরুন্নবীকে একই সঙ্গে টর্চার চেম্বারের সামনে নেয়া হতো। সাইফুদ্দিন খানকে বাইরে বসিয়ে রেখে এ এন এম নূরুন্নবীকে চেম্বারে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হতো। নির্যাতনের পর অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে বাইরে ফেলে রেখে সাইফুদ্দিন খানকে ঢোকানো হতো। তাকেও অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত নির্যাতন করা হতো। এ সময় রাজাকাররা তাদের 'মালাউনের বাচ্চা' 'ভারতের দালাল' 'রাশিয়ার দালাল' 'নাস্তিক কমিউনিস্ট' 'দুষকৃতকারী' 'দেশের শত্রু' বলে গালাগাল করত।

টর্চার চেম্বারে রাজাকাররা তাদের লোহার চেইন, লাঠি, বেত, হাতুড়ি, বেল্ট দিয়ে পেটাত। পেটাতে পেটাতে রাজকাররা বন্দীদের মুক্তিযুদ্ধকে আর সমর্থন করবে কি না জিজ্ঞাসা করে বলত 'বল আর কোনদিন জয় বাংলা বলবি'। জয় বাংলা বললে নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যেত। মেঝেতে ফেলে পেটানোর সময় সাইফুদ্দিন খান কয়েকবার রাজাকারদের কাছে এক গ্লাস পানি চাইলে নরপশুরা তার মুখের ওপর প্রস্রাব করে দিয়েছিল। এরপর থেকে আর কোনদিন তিনি নির্যাতনের সময় রাজাকারদের কাছে পানি খেতে চাননি।

এভাবে টানা ১৪ দিন নির্যাতনের পর ২০ নভেম্বর তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। ১৭ ডিসেম্বর সাইফুদ্দিন খান কারাগার থেকে মুক্তি পান। ডালিম ভবনের টর্চার সেলে বন্দীদের নিয়মিত কিছু খেতে দেয়া হতো না। মাঝে মাঝে তাদের বেগুনের ঝোল, মাছের কাঁটা আর গোশতের আলু দিয়ে সিদ্ধ চালের ভাত দিত। পানি চাইলে সব সময় পানিও পেত না বন্দীরা।

উল্টো নানা ধরনের গালাগাল আর শারীরিক অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হতো। সাইফুদ্দিন খানকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর ভাত খেতে দেয়া হয়েছিল। ডালিম ভবনের বন্দীশালায় ১৪ দিনে তাকে মাত্র ৪ বার ভাত খেতে দেয়া হয়েছিল। চোখে দেখা নৃশংসতা ডালিম ভবনে সাইফুদ্দিন খানের আগে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হান্নান বেগমের চাচাত ভাই জসীম উদ্দিনকে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাকে প্রতিদিন চরমভাবে নির্যাতন করতে থাকে রাজাকাররা।

নৃশংসতার মাত্রা এত চরম পর্যায়ে পেঁৗছে গিয়েছিল যে, একদিন টর্চার সেলেই জসীম মারা যায়। পরে তার লাশ আর পাওয়া যায়নি। বন্দী অবস্থায় জসীম উদ্দিন একাধিকবার সাইফুদ্দিন খানের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। চট্টগ্রাম শহরের রথের পুকুর পাড় এলাকার টাইপ রাইটার রিপেয়ারিং ওয়ার্কশপে কর্মরত টাইপিস্ট ৫০ বছর বয়স্ক জীবনকৃঞ্চ শীলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডালিম ভবনে। তার অপরাধ তিনি গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য-সহযোগিতা করতেন।

তাকে ক্রমাগত এক সপ্তাহ টর্চার চেম্বারে নিয়ে নির্যাতনের পর একদিন সাইফুদ্দিন খানের সামনেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর তার পরিবার তার খোঁজে ছবিসহ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। ছবি দেখে সাইফুদ্দিন খান জীবনকৃঞ্চ শীলকে চিনতে পারেন। এছাড়া সাইফুদ্দিন খানকে কারাগারে পাঠানোর দিন দুয়েক আগে একদিন তিনি দেখতে পান তাদের রুমের সামনেই মেঝেতে এক যুবক পড়ে আছে। তিনি ভেবেছিলেন অতিরিক্ত নির্যাতনের কারণে সম্ভবত অজ্ঞান হয়ে গেছে।

কিন্তু মুখের ওপর মাছি উড়তে দেখে সাইফুদ্দিন খান বুঝতে পারলেন যুবকটি বেঁচে নেই। এ সময় বদর বাহিনীর এক লোক এসে তাকে পায়ে মাড়িয়ে দেখল সে বেঁচে আছে কি না। দেখে বলে উঠল, এ-তো চলে গেছে। লাশ নিয়ে গিয়ে পুঁতে ফেল। রাজাকার-আলবদর যাদের তিনি চিনেছিলেন সাইফুদ্দিন খানকে আটকের সময় যে নেতৃত্ব দিয়েছিল সেই রাজাকার আবুল কালাম (বর্তমানে টিকে গ্রুপের কর্ণধার) এর দায়িত্ব ছিল চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রগতিশীল ঘরানার ও মুক্তিবাহিনীর লোকজনকে ধরে ডালিম ভবনে নিয়ে যাওয়া।

আর তৎকালীন আলবদর বাহিনীর চট্টগ্রামের প্রধান মাওলানা আবু তাহের (বর্তমানে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল) ছিল ডালিম ভবনের টর্চার সেলের ইনচার্জ। ডালিম ভবনে নির্যাতনকারীদের মধ্যে আরও রয়েছে ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ও আলবদরের প্লাটুন কমান্ডার এবং জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক মঞ্জু, '৭১ সালে চট্টগ্রাম জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শামসুদ্দিন (ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক) এবং '৭১ সালে বদর বাহিনীর প্লাটুন কমান্ডার বদিউল আলম (ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সাবেক সদস্য)। এছাড়া নির্যাতনকারীদের মধ্যে রাজাকার-আলবদরদের আরও অনেক সহযোগী ছিল। সাইফুদ্দিন খানের আক্ষেপ 'চট্টগ্রামে ডালিম ভবনে নির্যাতনের মূল হোতা, গণহত্যার নায়করা এখন প্রভাবশালী নেতা, শিল্পপতি-ব্যবসায়ী। মানবতার এই শত্রুরা এখনো প্রতিনিয়ত সৎ লোকের শাসন আর আল্লাহর আইন কায়েমের কথা বলে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে।

নিরস্ত্র বাঙালিকে হত্যা, নির্যাতনের মাধ্যমে যারা মেতে উঠেছিল পৈশাচিক উল্লাসে তারাই এখন ইসলামের নামে জান কোরবানের ঘোষণা দেয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মের লেবাস পরে এরা রাতারাতি হয়ে গেছে মন্ত্রী-এমপি। অনেকে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আমরা তাদের বিচার করতে পারলাম না। ----------------------- কৃতজ্ঞতা: দৈনিক সংবাদ


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.