সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
আমাকে বিয়ে করাটা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আমাকে দেয়া ভালবাসা আসলে অপাত্রে দান করা হয়েছে। আমাকে ভালবাসার কারণে ‘প্রেমময় সুন্দরী স্ত্রী’ তার লেখা এত্তো চিঠি ফেরত দিয়েছেন। আমার লেখা বই পড়ার রুচি তার হয়নি, কারণ তাতে তার পক্ষে কিছু লেখা হয়নি, আমার মতো উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না, ইত্যাদি অনেক কথাই তিনি বলেছেন অনুষ্ঠানটিতে।
অন্য যে যাই মনে করুক না কেন, আমি নিজেও তার এসব বক্তব্যের কয়েকটির সঙ্গে খুবই একমত।
কেবল আমাকে বিয়ে করাটাই নয়, তার মতো দুশ্চরিত্র লোকের জন্য বিয়ে করাই বিরাট ভুল। কারণ এটা খুবই স্বাভাবিক যেকোনো স্ত্রীই চাইবে স্বামী যেন তার প্রতি বিশ্বস্ত হয়। প্রতিদিন যেন নিত্যনতুন নারীসঙ্গ পেতে উš§ত্ত না হয়। তাকে ঘরে ফেরানোর চেষ্টাই ছিল আমার সঙ্গে তার বিরোধের প্রধান কারণ। তিনি আশা করেছিলেন, রওশন এরশাদের মতো আমিও তার এসব বেলেল্লাপনা নীরবে সহ্য করব।
আর আমাকে উচ্ছৃঙ্খল বলার আগে তার একবার নিজের দিকে তাকানো উচিত ছিল। এরশাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক শেষ হয়েছে ৫ বছরেরও বেশি সময়। উচ্ছৃঙ্খলতা আমার স্বভাব হলে, এই সময়ে তা গোপন থাকত না। বিপরীত দিকে এত বয়স (আমার জানামতে তার বয়স এখন ৮৩ বছর) হওয়া সত্ত্বেও পরিবর্তন হয়নি তার চরিত্র। আমার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার পর গত সাড়ে ৫ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় সে একা থাকে, আর তার বয়োবৃদ্ধ অসুস্থ স্ত্রী থাকে আলাদা বাসায়।
এই বয়সে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকা বাঙালি সংস্কৃতিতে এমন উদাহরণ কি দ্বিতীয়টি কেউ দেখাতে পারবেন? কিন্তু কেন স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন না তিনি? কারণ আর কিছুই নয়, বাসায় স্ত্রী থাকলে বেলেল্লাপনা অবাধে করা যায় না, তাই।
ভালবাসা অপাত্রে দান সম্পর্কিত তার বক্তব্য সম্পর্কেও আমার কোনো আপত্তি নেই। ‘তরল মল-এর জন্য দুধের পাত্র’-কে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সবাই ‘অপাত্র’ই বলবেন। আসলে, তার ভালবাসার যোগ্য ‘সুপাত্র’গুলো এতই কুৎসিত এবং অপবিত্র যে সেগুলোকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা, এমনকি তার পক্ষেও, সম্ভব নয়।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।