চেষ্টা করি ভালো করতে ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের ওপর আমেরিকার পরমাণু বোমা হামলার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানে না এমন লোক খুজে পাওয়া সত্যি মুসকিল । এরপর যতই দিন গেছে পৃথিবীর শক্তিশালী দেশগুলো তাদের পারমাণবিক উইপন ততোই সমৃদ্ধ করে চলছে । কিন্তু বর্তমান সময় পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোই আবার পারমাণবিক উইপন ডিঅ্যাকটিভ করার কর্মসুচি হাতে নিয়েছে । সম্প্রতি এ বিষয় রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে একটি চুক্তি ও স্বাক্ষরিত হয়েছে ।
বর্তমানে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো পারমাণবিক উইপনের বিকল্প উইপন তৈরি ও উন্নয়নের ওপর তোড়জোর গবেষণা চালাচ্ছে । অনেক দেশই পাওয়ারফুল ইলেক্ট্রনিক বোমা তৈরি করে ফেলেছে । তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জার্মানী ইত্যাদি কয়েকটি দেশ এগিয়ে আছে ।
এ নতুন বোমার নাম হাই পাওয়ার মাইক্রোওয়েভ (HPM) । এ বোমার বিস্ফোরনে চারপাশে ছড়িয়ে পরে 'মাইক্রোওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড' ।
এর ক্ষমতা হবে কয়েকশ মেগা হার্টজ থেকে কয়েকশ গিগাহার্টজ, যা ইলেক্ট্রিক সারকিট ড্যামেজ করতে যথেস্ট । ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম এ বোমা ব্যবহার করে । সামরিক দিক থেকে ই-বোমাকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি উইপন ও বলা হয় । এ বোমার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এ বোমা জীবন বিধ্বংসী না শত্রুপক্ষের ইলেক্ট্রনিক হার্ডওয়ার বিধ্বংসী । তাই কোন দেশের ওপর ই-বোমা হামলা হলে প্রান নাশের পরিবর্তে তাদের ইনফরমেশন সিস্টেম ড্যামেজড হয়ে যাবে ।
ই বোমা দু-ধরনের হতে পারে ১: আল্ট্রাওয়াইড ব্যান্ড, ২: ন্যারোব্যান্ড । প্রথম বোমা ইউজ করা হবে বিশাল এলাকার ওপর কিন্তু এর ক্ষমতা থাকবে কম ( ১০ জুল/পালস ) । বিস্ফোরনের কয়েক ন্যানো সেকেন্ডের মধ্যে এ বোমার রেন্জের মধ্যের সব ই-সার্কিট অকেজ হয়ে যাবে । বোমার ক্ষমতা দুরুত্ব বৃদ্ধির সাথে ফিজিক্সের নীতি অনুযাই কমবে । দ্বিতীয় ধরনের বোমা ইউজ করা হবে নির্দিষ্ট লক্ষবস্তু কে হিট করার কাজে ।
এটি এক ধরনের সিংগেল ফ্রিকোয়েন্সি ইউজ করবে । যার পাওয়ার হবে কয়েকশ থেকে কয়েক হাজার কিলোজুল/পালস এর মধ্যে । এটি দিয়ে স হ জে ই শত্রু পক্ষের রাডার থেকে স্যাটেলাইট পর্যন্ত ডিঅ্যাকটিভ রাখা যাবে ।
আজ আর নয়, আগামীতে এ বিষয় বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে ।
তথ্যসুত্র : বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও ইন্টারনেট ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।