সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
পুলিশের জবাব, 'মন্ত্রীর লোকজনকে আমরা কিছু বলতে পারব না। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেল।
পাঁচ ঘরের একটি টিনশেড পাকা বাড়ি। বাড়িটিতে বসবাস করেন পল্লী চিকিৎসক আবদুর রশিদ ও তাঁর পরিবার। শুক্রবার ভোরে লোকজনের হৈহুল্লোড়ে ঘুম ভাঙে তাঁদের।
দরজা খুলে আবদুর রশিদ দেখেন অর্ধশত মানুষের হাতে শাবল, হাতুড়িসহ নানা যন্ত্রপাতি। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সীমানাপ্রাচীর ভেঙে চুরমার। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বসতবাড়িটিও মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খানের ভগি্নপতি, ছোট ভাই, ভাগ্নেসহ তাঁদের লোকজন। বাড়িটি না ভাঙার জন্য অনুনয়-বিনয়েও কোনো কাজ হয়নি। উল্টো কোনো কথা না শুনে তাঁদের গলাধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছে পরিবারটি।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি দোহার থানায় গিয়ে ওসিসহ পুলিশের কর্মকর্তাদের ঘটনা জানালেও তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, বাড়িটি ভাঙচুরের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খানের ভগি্নপতি আ. জলিল খান, ছোট ভাই মোতালেব খান, ভাগ্নে মাসুদ, আমিনুল ও মনিরুজ্জামান।
উপজেলার জয়পাড়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আবদুর রশিদ ব্যাপারী। ৭০ বছর ধরে সেখানেই বসবাস করছেন তিনি।
বাড়ির জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খানের ভগি্নপতি প্রতিবেশী আবদুল জলিল খানের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে সালিসও হয়েছে। আবদুর রশিদ অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের সময় ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে তাঁদের বাড়িটি দখলে নেওয়ার জন্য আবদুল জলিল পাঁয়তারা করলেও সফল হতে পারেননি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরও কয়েকবার তিনি বাড়িটি দখলে নিতে চেয়েছেন। কিন্তু সফল হতে না পেরে ওই বাড়ির পাশেই ওষুধের দোকানটিতে তালা মেরে দেন।
আরো জানতে পারেন http://www.kalerkantho.com/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।