শেখ আনোার
দূরের যাত্রায় কী করবেন?
বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত আমাদের কোথাও না কোথাও যেতে হয়। আর এই যাত্রা যদি দূরে কোথাও হয় তাহলে পথিমধ্যে নানান শারিরীক জটিলতা দেখা দিতে পারে। অসমান, অমসৃণ রাস্তাঘাটে দীর্ঘক্ষণ যানবাহনে বসে থেকে দেখা দেয় নানান শারীরিক বিপত্তি। গাড়ির ঝাকি, অসহ্য গরম, গুমোট পরিবেশ, ধুলো ময়লা, ঠেকায় পড়ে নোংরা বাসি খাবার খাওয়া ইত্যাদি কারণে আমাদের শরীর হয়ে পড়ে নাজুক। তখন সাধের ভ্রমণটাই মাটি হয়ে যায়।
এমন অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আগে থেকে কিছু ব্যাবস্থা রাখুন হাতের কাছে।
গাড়িতে বসে বমি-বমি ভাব হওয়া খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। অনেকেরই হয়ে থাকে। সাধারণত বাসে ভ্রমণকালে কিংবা বিমানে ভ্রমণকালে হতে পারে। এই সমস্যাকে বলে মোশন সিকনেস।
অনেকেরই শুধু বমি ভাব হলেও আবার অনেকে বমি করেও ফেলেন। এত অন্য যাত্রীরা বিব্রত হয়। এই বিরক্তিকর সমস্যা কেন হয় সেকথা অন্য। কীভাবে এ থেকে রক্ষা পাবেন জেনে নিন।
সম্ভব হলে গাড়ির জানালার কাছে বসবেন।
বুক ফুলিয়ে বেশ কয়েকবার লম্বা দম নেবেন এবং ছাড়বেন। এতে বেশ উপকার পাবেন । ভ্রমণের অšত এক ঘণ্টা আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাত্রা অনুযায়ী বমি রোধক ওষুধ খেয়ে নেবেন। স্টিমিটিল, সিনারজিন, ইমিটিল,ভারগন, এভোমিন ইত্যাদি নামে বমি রোধক ওষুধ ট্যাবলেট আকারে বাজারে পাওয়া যায়। দীর্ঘ সময় বাসে বা ট্রেনে ভ্রমণ করলে অনেকেরই একটু-একটু মাথা ব্যথা করতেই পারে ।
এটা প্রায় সাধারণ একটা সমস্যা । এ নিয়ে দূ:শ্চিন্তা করে মাথা ব্যাথা বাড়ানোর দরকার নেই। ভ্রমণের পর ভালোভাবে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত-মুখ ধুলে বা গোসল করলে এ ধরনের অসুবিধা আর থাকে না। ভ্রমণ শেষে খেয়ে নিয়ে ঘুম দিন । দূ’ঘন্টা পর এমনিতেই মাথা ব্যাথা সেরে যাবে।
কারও কারও এতে সমস্যা দর নাও হতে পারে। প্রচন্ড মাথা ব্যাথায় অস্থির হলে ভ্রমণের পর খাবার শেষে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে একটি ডিসপ্রিন বা প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট খেয়ে নিলে ভালো বোধ করবেন। তবে এসিডিটি, গ্যাস, থাকলে অবশ্যই ওষুধের সঙ্গে এন্টাসিড খেতে ভুলবেন না যেন। এসিডিটি খুব সাধারণ একটি সমস্যা যা অনেকেরই হতে পারে। এটি দু’টি কারণে হতে পারে।
প্রথমত ভ্রমণজনিত ভয় বা টেনশানের কারণে, দ্বিতীয়ত ভ্রমণকালে বাইরের ভাজাপোড়া জিনিস খেলে। এর প্রতিকার খুব সহজ। ভ্রমণের সময় এণ্টাসিড জাতীয় ট্যাবলেট নিয়ে যাবেন। এসিডিটি হলে একটা বের করে চুষে চুষে খাবেন। আর বাইরের ভাজাপোড়া খাবার না খেলেই ভালো হয়।
অনেকেই ভ্রমণের আগে অকারণে ভ্রমণ নিয়ে ভয় বা টেনশানে ভোগেন। যেমন ট্রেন প্লাটফর্মে পাব কিনা, বাস যদি একসিডেণ্ট হয়, রাতের গাড়িতে যাচিছ যদি ডাকাত ধরে ইত্যাদি। চিকিৎসকদের মতে, এর ফলে দুর্বলতা, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের এ সমস্যা রয়েছে তারা ভ্রমণের পর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, ডায়াজিপাম বা সিনারজিন জাতীয় ঔষুধ খেয়ে নিলে ভালো বোধ করবেন। ডায়াজিপাম ও সিনারজিন জাতীয় ওষুধ বাজারে ফাইজিপাম, সেডিল ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।
এ ধরনের ওষুধ খেলে ঘুম চলে আসতে পারে। ভ্রমণপথে যদি জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে তবে এ ধরনের ওষুধ না খাওয়াই ভালো। চিকিৎসকদের মতে, যাদের সব সময়ই ভ্রমণের সময় এরকম সমস্যা দেখা দেয় তারা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলে খুব ভালো হয়।
আর হ্যাঁ। ভ্রমণকালে অবশ্যই সঙ্গে খাবার স্যালাইন রাখবেন।
কারণ বলা তো যায় না কখন পাতলা পায়খানা হয়। অনেকের আবার ফুড পয়জনিংও হয়। বাইরের খাবার বা পানি পান করার ফলে এমনটি হয়। তাই ভ্রমণের সময় বাইরের খাবার না খাওয়াই ভালো। একাšই যদি খেতে হয় তবে ফল খাবেন।
আমাদের শরীরের ধর্ম হলো, যা তার জন্য বিষাক্ত, তা সে বমি কিংবা পাতলা পায়খানা আকারে বের করে দেয়। কে না জানে, পাতলা পায়খানা হলে শরীরের পানি ও লবণ বের হয়ে পানি শুণ্যতার সৃষ্টি হয়। তখন খাবার স্যালাইন সে ঘাটতি পূরণ করে শরীরকে নিস্তেজ হওয়া থেকে রক্ষা করে। তবে যদি ফুড পয়জনিংয়ের কারণে শুধু বমি হয় কিন্তু পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া না হয় তাহলে খাবার স্যালাইন না খেয়ে শুধু পানি পান করুন। সাথে লবণ কিংবা চিনি মিশিয়ে খেলে ভালো করবেন।
ভ্রমণের সময় বিভিন্ন কারণেই আমাদের শরীরে আঘাত লাগতে পারে বা কেটে যেতে পারে বা ছড়ে যেতে পারে। এ জন্য সাথে এণ্টিসেপ্টিক ক্রিম বা লিকুইড থাকলে ভালো হয়। যদি কিছুই হাতের কাছে না থাকে তবে মুখের লালা কিংবা সিগারেটের ছাই ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেয়া যেতে পারে। কারণ এগুলোও সংক্রমণ নাশক বা এণ্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে। যদি দেখা যায় ক্ষত খুব গভীর এবং এতে ধুলাবালি লেগে আছে তবে ক্ষতস্থান খুব ভালো করে ধুয়ে (সম্ভব হলে সাবান দিয়ে) পরিষ্কার করে এণ্টিসেপ্টিক লাগিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ব্যাণ্ডেজ বা পট্টি বেধে নেবেন।
পরবর্তীতে যত শীঘ্র সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ধনুষ্টংকার রোধক ইনজেকশান টিআইজি অথবা এটিএস নিয়ে নেবেন। তবে যারা ইপিআই সিডিউল অনুযায়ী চারটি ধনুষ্টংকারের টিটি টীকা আগেই নিয়ে নিয়েছেন তাদের আর কোনো ধনুষ্টংকার রোধক ইঞ্জেকশান নেবার দরকার নেই।
ভ্রমণের সময় অবশ্যই একটি বাক্সে কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র যেমন- প্যারাসিটামল, ডিসপ্রিন, স্টিমিটিল, এণ্টাসিড, এণ্টিসেপ্টিক ইত্যাদি পরিষ্কার গজ, ব্যণ্ডেজ, তুলা, খাবার স্যালাইন ইত্যাদি সঙ্গে নিলে খুবই ভালো হয়। ভ্রমণের সময় ওগুলো আপনার ফার্স্ট এইড বক্সের মতো বেশ কাজে আসতে পারে। ভ্রমণের সময় বিশেষ করে দীর্ঘ ভ্রমণের সময় ঢিলে ঢালা আরামদায়ক পোশাক পরুন।
ভ্রমণে আপনার ভ্রমণজনিত ক্লাšি দর করতে ডাবের পানির জুড়ি নেই। ডাবের পানিতে উনিশ ধরনের খনিজ উপাদান থাকে যা আপনার দেহ- মনকে চাঙ্গা করে তুলবে। দীর্ঘ ভ্রমণে সম্ভব হলে মাঝে-মাঝে চোখে-মুখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন। দেখবেন বেশ আরাম বোধ করছেন। যদি পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে যান সেখানে প্রচুর মশা আছে।
তাই অবশ্যই ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক বা অডোমস ভ্রমণের পর্বে নিয়ে নেবেন। সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে গেলে অনেকেই সমুদ্রের বেলাভমিতে দীর্ঘ সময় ধরে খালি গায়ে রোদ পোহানো পছন্দ করেন। সূর্য রশ্মি সরাসরি গায়ে লাগে বলে সমুদ্রের পাড়ের সূর্যের রোদ খুব চড়া থাকে। এ রশ্মিতে থাকে অতি বেগুনি রশ্মি। রোদ লাগাতে চাইলে অবশ্যই ক্যালামাইন লোশন মেখে নেবেন।
সর্যের প্রখর রোদে ত্বক ঝলসানো থেকে রক্ষা করবে। এ ছাড়া ত্বকের ফুসকুড়িতে কিংবা পোকার কামড়েও এটা ব্যবহার করা যায়। আর হ্যাঁ।
যদি এমন জায়গায় বেড়াতে যান যেখানে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া কষ্টকর। সেখান যাবার আগে অবশ্যই কলেরার প্রতিষেধক ভ্যাক্সিন নিয়ে নিন।
সম্ভব হলে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট যা হ্যালোট্যাব নামে বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো সাথে নিয়ে নিন। যাদের উচচ রক্তচাপ বা হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তারা দীর্ঘপথ ভ্রমণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নেবেন। যারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দীর্ঘ মেয়াদী ওষুধ খাচ্ছেন যিনি, তিনি সেগুলো ভ্রমণের সময় সঙ্গে নিতে ভুলবেন না যেন। সšান সম্ভবা মহিলাদের দরপথের ভ্রমণে না যাওয়াই ভালো। এতে তার নিজের এবং তার গর্ভের সšানের দু’য়েরই মঙ্গল।
দরপথ ভ্রমণে ঝাঁকির কারণে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিংবা গর্ভপাত হতে পারে। অতএব অবহেলা নয়, সতর্ক হোন।
বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত আমাদের কোথাও না কোথাও যেতে হয়। আর এই যাত্রা যদি দূরে কোথাও হয় তাহলে পথিমধ্যে নানান শারিরীক জটিলতা দেখা দিতে পারে। অসমান, অমসৃণ রাস্তাঘাটে দীর্ঘক্ষণ যানবাহনে বসে থেকে দেখা দেয় নানান শারীরিক বিপত্তি।
গাড়ির ঝাকি, অসহ্য গরম, গুমোট পরিবেশ, ধুলো ময়লা, ঠেকায় পড়ে নোংরা বাসি খাবার খাওয়া ইত্যাদি কারণে আমাদের শরীর হয়ে পড়ে নাজুক। তখন সাধের ভ্রমণটাই মাটি হয়ে যায়। এমন অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আগে থেকে কিছু ব্যাবস্থা রাখুন হাতের কাছে।
গাড়িতে বসে বমি-বমি ভাব হওয়া খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। অনেকেরই হয়ে থাকে।
সাধারণত বাসে ভ্রমণকালে কিংবা বিমানে ভ্রমণকালে হতে পারে। এই সমস্যাকে বলে মোশন সিকনেস। অনেকেরই শুধু বমি ভাব হলেও আবার অনেকে বমি করেও ফেলেন। এত অন্য যাত্রীরা বিব্রত হয়। এই বিরক্তিকর সমস্যা কেন হয় সেকথা অন্য।
কীভাবে এ থেকে রক্ষা পাবেন জেনে নিন।
সম্ভব হলে গাড়ির জানালার কাছে বসবেন। বুক ফুলিয়ে বেশ কয়েকবার লম্বা দম নেবেন এবং ছাড়বেন। এতে বেশ উপকার পাবেন । ভ্রমণের অšত এক ঘণ্টা আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাত্রা অনুযায়ী বমি রোধক ওষুধ খেয়ে নেবেন।
স্টিমিটিল, সিনারজিন, ইমিটিল,ভারগন, এভোমিন ইত্যাদি নামে বমি রোধক ওষুধ ট্যাবলেট আকারে বাজারে পাওয়া যায়। দীর্ঘ সময় বাসে বা ট্রেনে ভ্রমণ করলে অনেকেরই একটু-একটু মাথা ব্যথা করতেই পারে । এটা প্রায় সাধারণ একটা সমস্যা । এ নিয়ে দূ:শ্চিন্তা করে মাথা ব্যাথা বাড়ানোর দরকার নেই। ভ্রমণের পর ভালোভাবে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত-মুখ ধুলে বা গোসল করলে এ ধরনের অসুবিধা আর থাকে না।
ভ্রমণ শেষে খেয়ে নিয়ে ঘুম দিন । দূ’ঘন্টা পর এমনিতেই মাথা ব্যাথা সেরে যাবে। কারও কারও এতে সমস্যা দর নাও হতে পারে। প্রচন্ড মাথা ব্যাথায় অস্থির হলে ভ্রমণের পর খাবার শেষে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে একটি ডিসপ্রিন বা প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট খেয়ে নিলে ভালো বোধ করবেন। তবে এসিডিটি, গ্যাস, থাকলে অবশ্যই ওষুধের সঙ্গে এন্টাসিড খেতে ভুলবেন না যেন।
এসিডিটি খুব সাধারণ একটি সমস্যা যা অনেকেরই হতে পারে। এটি দু’টি কারণে হতে পারে। প্রথমত ভ্রমণজনিত ভয় বা টেনশানের কারণে, দ্বিতীয়ত ভ্রমণকালে বাইরের ভাজাপোড়া জিনিস খেলে। এর প্রতিকার খুব সহজ। ভ্রমণের সময় এণ্টাসিড জাতীয় ট্যাবলেট নিয়ে যাবেন।
এসিডিটি হলে একটা বের করে চুষে চুষে খাবেন। আর বাইরের ভাজাপোড়া খাবার না খেলেই ভালো হয়।
অনেকেই ভ্রমণের আগে অকারণে ভ্রমণ নিয়ে ভয় বা টেনশানে ভোগেন। যেমন ট্রেন প্লাটফর্মে পাব কিনা, বাস যদি একসিডেণ্ট হয়, রাতের গাড়িতে যাচিছ যদি ডাকাত ধরে ইত্যাদি। চিকিৎসকদের মতে, এর ফলে দুর্বলতা, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যাদের এ সমস্যা রয়েছে তারা ভ্রমণের পর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, ডায়াজিপাম বা সিনারজিন জাতীয় ঔষুধ খেয়ে নিলে ভালো বোধ করবেন। ডায়াজিপাম ও সিনারজিন জাতীয় ওষুধ বাজারে ফাইজিপাম, সেডিল ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। এ ধরনের ওষুধ খেলে ঘুম চলে আসতে পারে। ভ্রমণপথে যদি জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে তবে এ ধরনের ওষুধ না খাওয়াই ভালো। চিকিৎসকদের মতে, যাদের সব সময়ই ভ্রমণের সময় এরকম সমস্যা দেখা দেয় তারা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলে খুব ভালো হয়।
আর হ্যাঁ। ভ্রমণকালে অবশ্যই সঙ্গে খাবার স্যালাইন রাখবেন। কারণ বলা তো যায় না কখন পাতলা পায়খানা হয়। অনেকের আবার ফুড পয়জনিংও হয়। বাইরের খাবার বা পানি পান করার ফলে এমনটি হয়।
তাই ভ্রমণের সময় বাইরের খাবার না খাওয়াই ভালো। একাšই যদি খেতে হয় তবে ফল খাবেন। আমাদের শরীরের ধর্ম হলো, যা তার জন্য বিষাক্ত, তা সে বমি কিংবা পাতলা পায়খানা আকারে বের করে দেয়। কে না জানে, পাতলা পায়খানা হলে শরীরের পানি ও লবণ বের হয়ে পানি শুণ্যতার সৃষ্টি হয়। তখন খাবার স্যালাইন সে ঘাটতি পূরণ করে শরীরকে নিস্তেজ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
তবে যদি ফুড পয়জনিংয়ের কারণে শুধু বমি হয় কিন্তু পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া না হয় তাহলে খাবার স্যালাইন না খেয়ে শুধু পানি পান করুন। সাথে লবণ কিংবা চিনি মিশিয়ে খেলে ভালো করবেন।
ভ্রমণের সময় বিভিন্ন কারণেই আমাদের শরীরে আঘাত লাগতে পারে বা কেটে যেতে পারে বা ছড়ে যেতে পারে। এ জন্য সাথে এণ্টিসেপ্টিক ক্রিম বা লিকুইড থাকলে ভালো হয়। যদি কিছুই হাতের কাছে না থাকে তবে মুখের লালা কিংবা সিগারেটের ছাই ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেয়া যেতে পারে।
কারণ এগুলোও সংক্রমণ নাশক বা এণ্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে। যদি দেখা যায় ক্ষত খুব গভীর এবং এতে ধুলাবালি লেগে আছে তবে ক্ষতস্থান খুব ভালো করে ধুয়ে (সম্ভব হলে সাবান দিয়ে) পরিষ্কার করে এণ্টিসেপ্টিক লাগিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ব্যাণ্ডেজ বা পট্টি বেধে নেবেন। পরবর্তীতে যত শীঘ্র সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ধনুষ্টংকার রোধক ইনজেকশান টিআইজি অথবা এটিএস নিয়ে নেবেন। তবে যারা ইপিআই সিডিউল অনুযায়ী চারটি ধনুষ্টংকারের টিটি টীকা আগেই নিয়ে নিয়েছেন তাদের আর কোনো ধনুষ্টংকার রোধক ইঞ্জেকশান নেবার দরকার নেই।
ভ্রমণের সময় অবশ্যই একটি বাক্সে কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র যেমন- প্যারাসিটামল, ডিসপ্রিন, স্টিমিটিল, এণ্টাসিড, এণ্টিসেপ্টিক ইত্যাদি পরিষ্কার গজ, ব্যণ্ডেজ, তুলা, খাবার স্যালাইন ইত্যাদি সঙ্গে নিলে খুবই ভালো হয়।
ভ্রমণের সময় ওগুলো আপনার ফার্স্ট এইড বক্সের মতো বেশ কাজে আসতে পারে। ভ্রমণের সময় বিশেষ করে দীর্ঘ ভ্রমণের সময় ঢিলে ঢালা আরামদায়ক পোশাক পরুন। ভ্রমণে আপনার ভ্রমণজনিত ক্লাšি দর করতে ডাবের পানির জুড়ি নেই। ডাবের পানিতে উনিশ ধরনের খনিজ উপাদান থাকে যা আপনার দেহ- মনকে চাঙ্গা করে তুলবে। দীর্ঘ ভ্রমণে সম্ভব হলে মাঝে-মাঝে চোখে-মুখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন।
দেখবেন বেশ আরাম বোধ করছেন। যদি পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে যান সেখানে প্রচুর মশা আছে। তাই অবশ্যই ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক বা অডোমস ভ্রমণের পর্বে নিয়ে নেবেন। সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে গেলে অনেকেই সমুদ্রের বেলাভমিতে দীর্ঘ সময় ধরে খালি গায়ে রোদ পোহানো পছন্দ করেন। সূর্য রশ্মি সরাসরি গায়ে লাগে বলে সমুদ্রের পাড়ের সূর্যের রোদ খুব চড়া থাকে।
এ রশ্মিতে থাকে অতি বেগুনি রশ্মি। রোদ লাগাতে চাইলে অবশ্যই ক্যালামাইন লোশন মেখে নেবেন। সর্যের প্রখর রোদে ত্বক ঝলসানো থেকে রক্ষা করবে। এ ছাড়া ত্বকের ফুসকুড়িতে কিংবা পোকার কামড়েও এটা ব্যবহার করা যায়। আর হ্যাঁ।
যদি এমন জায়গায় বেড়াতে যান যেখানে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া কষ্টকর। সেখান যাবার আগে অবশ্যই কলেরার প্রতিষেধক ভ্যাক্সিন নিয়ে নিন। সম্ভব হলে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট যা হ্যালোট্যাব নামে বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো সাথে নিয়ে নিন। যাদের উচচ রক্তচাপ বা হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তারা দীর্ঘপথ ভ্রমণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নেবেন। যারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দীর্ঘ মেয়াদী ওষুধ খাচ্ছেন যিনি, তিনি সেগুলো ভ্রমণের সময় সঙ্গে নিতে ভুলবেন না যেন।
সšান সম্ভবা মহিলাদের দরপথের ভ্রমণে না যাওয়াই ভালো। এতে তার নিজের এবং তার গর্ভের সšানের দু’য়েরই মঙ্গল। দরপথ ভ্রমণে ঝাঁকির কারণে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিংবা গর্ভপাত হতে পারে। অতএব অবহেলা নয়, সতর্ক হোন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।