লিখে খাই, সবার ভাল চাই
শালা ছাগল
শামীমুল হক
সেদিন আমার ছোট শালাকে নিয়ে গেলাম বেড়াতে। ওই বাড়ির গৃহকর্তা জানতে চাইলেন তার পরিচয়। বললাম শালা। তিনি বললেন, আহা ভাই বকাবকি করছেন কেন? বুঝতে পারলাম গলদটা কোথায়? আরে ছাগল। সাহস থাকলে এই মুহূর্তে কাউকে ছাগল বলে ডেকে দেখুন না পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।
এই রকম অনেক শব্দই আমাদের হরহামেশা জ্বালাতন করে। আবার অনেক সময় বেকায়দায় পড়তে হয়।
বেশ ক’বছর আগের কথা। আমার এক আত্মীয় তার ভাইয়ের জন্য বউ দেখতে যাবেন। কি মনে করে বললেন, আমাকে তাদের সঙ্গে যেতে।
পরদিন সকাল সকাল রওয়ানা দিলাম। হেঁটে যেতে হবে দুই তিন মাইল। জমির আইলে আইলে হাঁটা ভালই লাগছিল। এক সময় গন্তব্যে পৌঁছলাম। চা- নাস্তার পর পালা মেয়ে দেখার।
ঘোমটা দিয়ে মেয়ে এলো। ইয়া বড় ঘোমটা। সঙ্গে তার ভাবি। আমার আত্মীয়া পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলেন। দেখা শেষে এবার ইন্টারভিউ।
নাম কি? লেখাপড়া কতটুকু? ভাই বোন ক’জন? ইত্যাদি হাজারও প্রশ্ন? এক সময় এক টুকরো কাগজ পাত্রীর হাতে তুলে দিয়ে বললেন, তোমার নাম ঠিকানাটা লিখ দেখি। এখানেই দেখা দিল বিপত্তি। পাত্রী ইতস্তত করে একসময় লিখতে লাগলেন। কিন্তু তার আর কলম চলছে না। ভাঙ্গা ভাঙ্গা ভাবে শুধু নামটি লিখেই থেমে গেলেন।
আবার আত্মীয়ার প্রশ্ন-কি ব্যাপার লিখতে পারছ না যে। স্কুলে যাওনি নাকি? পাশে দাঁড়ানো পাত্রীর ভাবি বললেন, এইতো সেদিন ফাইভ পাস করেছে। স্কুলে যাবে না কেন? আত্মীয়া বললেন, তাহলে লিখতে পারছ না কেন? এবার ভাবি রেগে গেলেন পাত্রীর ওপর। ছাগলী আজ সকালে না তোকে কত কষ্ট করে লেখা শিখালাম। এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেছিস।
এ পরিস্থিতিতে বিব্রত আমরা। পাত্রীর কি অবস্থা হয়েছিল তা আজও অজানাই রয়ে গেল।
এদিকে দেখুন না সীমান্ত অঞ্চলে মিষ্টিকুমড়াওয়ালী বৃদ্ধা কিভাবে ধরা পড়েছিলেন বিডিআর-এর হাতে। ওই বৃদ্ধা ভারতীয় শাড়ি নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। বিডিআর-বিএসএফ-এর কড়া প্রহরায় কিভাবে শাড়িগুলো নিয়ে আসবেন-এই নিয়ে তার চিন্তা।
অনেক ভেবে তিনি বড় একটি মিষ্টিকুমড়া নিলেন। কুমড়াকে দুইভাগ করে ভেতরের সবকিছু ফেলে দিলেন। তারপর ঢুকালেন কটি শাড়ি। পুনরায় কুমড়াকে এক করে দড়ি দিয়ে বেঁধে মাথায় নিলেন। দিলেন হাঁটা।
সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করলেন বাংলাদেশে। হাঁটতে লাগলেন আপন মনে। কিন্তু এপারে বিডিআরের দৃষ্টিতে পড়লেন তিনি। বিডিআরের গাড়ি যাচ্ছিল সেদিকেই যেদিকে বৃদ্ধা হাঁটছিলেন। বিডিআর ভাবলেন বৃদ্ধাকে তুলে নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন।
হঠাৎ এক বিডিআর সদস্য ডকালেন। ওই বুড়ি মা কোথায় যাচ্ছেন। বুড়ি ভড়কে গেলেন। বললেন, না না বাবা আমার মিষ্টি কুমড়ার ভেতরে কিছুই নেই। আরে বুড়ি বলে কি? ধর ধর বুড়িকে।
এভাবেই বুড়ি ধরা পড়লেন বিডিআররের হাতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।