...
নেপাল ভ্রমন এবং অন্যান্য - পর্ব ১
নেপাল ভ্রমন এবং অন্যান্য - পর্ব ২
নেপাল ভ্রমন এবং অন্যান্য - পর্ব ৩
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০০৯
গাড়ী হতে নামতেই মনটা ভালো হয়ে গেল। চারিদিকে উজ্জ্বল আলো, নির্মল বাতাস আর … শুধুই ভালোলাগার অনুভূতি।
হোটেল রিসিপশনে যেতেই এক গ্লাস কমলার রস দিয়ে আপ্যায়িত হলাম।
ওয়েলকাম ড্রিঙ্ক
“ইয়াক & ইয়েতি” আগে রাজবাড়ি ছিল, এখন হোটেল । দেয়ালে দেয়ালে রাজ পারিবারের ছবি আর আভিজাত্য।
নুসরাত আপা সবসময়ই খুতখুতে, ভালো রুমটাই তার চাই। আমি আবার এসব ব্যাপারে উদাসীন, এতো বাছাবাছিতে নাই।
৩য় তলায় আমার রুমটিতে ঢুকতেই মনে হল – ভালো রুমই পেয়েছি। আমার রুমের জানালা দিয়ে হোটেলের ভেতরের বিশাল বাগান, সুইমিংপুল দেখা যাচ্ছিল। কৌতুহল নিয়ে নুসরাত আপার রুমে উকি দিলাম, ওনার মন খারাপ, তার মতে এটা একটা আবদ্ধ রুম।
জানালা খুললেই আরেকটা বিল্ডিংয়ের ছাঁদ দেখা যায়।
পুলকিত মনে নিজের রুমে ঢুকলাম।
জামা কাপড় চেঞ্জ করেই বাগানে- ছবি তুললাম প্রচুর। সবাই খুব মজা করেছি। যত্ন নিয়ে তৈরি করা সব কিছুই।
নানা রকমের ফুল গাছ, লেক, কাঠের সাকো, ঝর্ণা আর হনুমানজি’র মূর্তি।
হোটেলের বাগানে কাঠের সাকো
হনুমানজি’র মূর্তি
কৃত্রিম দ্বীপের মাঝখানে ...
রিসিপশনে এসে ডলার ভাঙ্গালাম। ১ ডলারে ৭৭ নেপালি রুপি পেলাম। বাহিরে বের হতে যাব, শুরু হল বেরসিক বৃষ্টি।
আধাঘন্টা পর বৃষ্টি একটু কমলে বের হলাম।
হোটেলের সামনেই নানারকম পন্যের সমাহার, মানি একচেঞ্জের দোকান। ওরা ১ ডলারে ৭৮.৫ নেপালি রুপি দিচ্ছে। নিজেদের স্বান্তনা দিলাম এই বলে যে, এসব মানি একচেঞ্জের দোকানে জাল নোট থাকতে পারে। কিন্তু মনে মনে খুশী হলাম, হোটেলে মাত্র ১০০ ডলার ভাংগিয়েছি। পরে হোটেলে আমরা কেউই আর ডলার চেঞ্জ করিনি, বাহিরে ৮০ রুপি পর্যন্ত পেয়েছিলাম।
অনেক খুঁজে পেতে একটা ফোনের দোকান পাওয়া গেল। ২০ রুপি/ মিনিটে যার যার বাসায় কথা বলে নিলাম।
মেয়েদের নিয়ে একটা সমস্যা আছে। তারা ১ম দোকানে ঢুকে দামাদামি করবে, জিনিষ নাড়াচাড়া করবে, পছন্দ হলেও না কিনে বের হয়ে যাবে আরেকটার সাথে তুলনা করার জন্য। তারপর সারা মার্কেট চষে ফেলে ১ম দোকান হতে সর্বপ্রথম দেখা জিনিষটিই কিনবে।
মেয়েরা হোটেলের আশেপাশের শপিংমলগুলোতে অনার্থক ঘুরাঘুরি করল, এটা দেখল, সেটা বের করল । আর আমরা ৩ জন ছেলে বিরস বদনে তাদের সংগ দিলাম।
আগেই জেনে নিয়েছিলাম “থামেল” (http://en.wikipedia.org/wiki/Thamel) হচ্ছে কাঠমুন্ডুর প্রানকেন্দ্র। থামেলকে বলা হয় হোটেলের শহর, পর্যটকদের জন্য অনেক সস্তা হোটেল আছে এখানে। থামেলের রাস্তার দু’পাশে নানারকম ফেন্সি জিনিষ পাওয়া যায়, ট্রাভেলাররা এখান থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় গিয়ার কিনে থাকে।
আছে বিখ্যাত পশমনি শাল, আর অনেক অনেক রেস্টুরেন্ট।
থামেলের রাস্তা চিনিনা, মেয়েদের সাথে অনার্থক ঘুরাঘুরি শেষে থামেলের পথে বের হলাম। জিঙ্গেস করে করে যতই এগুচ্ছিলাম, ততই পর্যটক নগরীর প্রকৃত রূপ উন্মোচিত হচ্ছিল ...
থামেলের রাস্তার দু’পাশে...
এ ধরনের স্থাপনা প্রায়ই চোখে পড়বে
বি-দ্রঃ অফিস আর ব্যস্ততার কারনে সময়মতো পর্বগুলো লিখতে পারিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।