আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যাদের বাড়তি সম্মান দরকার হয় তারাই ইভটিজিংয়ের শিকার হয়।

কোন সিস্টেম সাম্যাবস্থায় থাকা কালে যদি এর কোন নিয়ামক পরিবর্তন করা হয় তাহলে সিস্টেমের অবস্থান এমনভাবে পরিবর্তত হবে যেন সেই নিয়ামক পরিবর্তনের ফলাফল প্রশমিত হয়

ঘটনা১: বাসে করে যাচ্ছি। বাসের হেল্পার ড্রাইভারকে বলল "ওস্তাদ নামার আছে" বাস স্লো করলো যাত্রিরা নেমে গেল। একজন ভদ্রমহিলা নামবেন। হেল্পার বলল "ওস্তাদ লেডিস আছে" । বাস ফুল স্টপ হল।

ভদ্রমহিলা নেমে গেলেন। এখানে হেল্পার কি কোন বাড়তি সম্মান করল? ঘটনা ২: আমি বাসে যাবার সময় কোন ভদ্রমহিলাকে বাসে উঠে দাড়িয়ে থাকতে দেখলে উনাকে বসার জন্য আমার সিটটি ছেড়ে দেই। কারন ভদ্রমহিলারা পুরুষদের সাথে দাড়িয়ে যেতে সস্তিবোধ করেন না। এখানে আমি কি কোন বাড়তি সম্মান করি? ঘটনা ৩: যদি কখনো কোন রিকসা বা সিএনজি আমি আর কোন ভদ্রমহিলা একসাথে ডেকে ফেলি, তাহলে আমি সিএনজি টা ছেরে দেই। আমি কি কোন বাড়তি সম্মান করি? ঘটনা ৪: লিফটের লাইনে দারিয়ে ভদ্রমহিলাদের আগে উঠতে ও দেয়া হয়।

লেডিস ফার্স্ট। বাড়তি সম্মান করা হয়? এরকম ব্যাপারগুলো সব ভদ্রলোকই করবে। এটাই সাভাবিক। আমার প্রশ্ন কেন বাড়তি সম্মান করা হয়? কারন উনি সাধারন কোন মানুষ না। উনি একজন নারী।

আজ প্রথম আলোতে "নারীকে নিজের জীবনের মূল্য উপলব্ধি করতে হবে" টাইটেলে একটি সাক্ষাতকার ছাপা হয়েছে। সাক্ষাতকার দিয়েছেন সুলতানা কামাল। মানবাধিকারকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক উপদেষ্টা, বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে সুলতানা কামালের নেতৃত্বে। তিনি এ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক। সাক্ষাতকারের কিছু ব্যাপার আমার চোখে পড়ল।

যে যায়গায় নজর দেয়া দরকার সেখানে খোজ নাই। যখন একটি মেয়ে আত্মহত্যা করে তখন চিল্লাপাল্লা শুরু হয়, হাউকাউ শুরু হয়। ইভটিজিংয়ের জন্য মেয়েটাকে মরতে হল। বখাটে ছেলেরা কত খারাপ। আইন কর, বিচার কর।

বখাটে ছেলেটাকে, আত্মহত্যার মেয়েটাকে আমরাই তৈরী করে দিচ্ছি। এদিকে নজর নাই কারো। সাক্ষাতকার একটা ব্যাপার লক্ষনীয়। শব্দটা "নারী আন্দোলন " বলা হয়েছে। শব্দটা "নারী আন্দোলন " না হয়ে নারী জাগরন বা অন্য কিছু হওয়া উচিত।

এই কথাটা দৃস্টিকটু শুনায়। উনি বলেছেন "হ্যাঁ। কিন্তু ফৌজদারি পন্থায় সমাধান হয় না আসলে। এটা হলো চারিত্রিক কতগুলো গুণ বিকশিত করার ব্যাপার, মানুষে মানুষে সম্পর্কিত হওয়ার ব্যাপার। সেই সম্পর্কিত হওয়ার সুযোগ আমাদের শিশুদের হচ্ছে না।

এখন প্রতিযোগিতাও বেড়ে গেছে সমাজে এবং যেখানে লিঙ্গীয় ভাবটা আছে, সেখানে যৌনতার বিষয়টিও চলে আসছে। একজন তরুণের মনে হয়তো ভাব জাগছে এবং আমাদের এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজ, এই বিচ্ছিন্ন সমাজ, এই সংস্কৃতিবিহীন একটা সমাজ সেটাকে কিন্তু উসকে দিচ্ছে। একই সঙ্গে আমার এখন মনে হচ্ছে, ধর্মীয় মৌলবাদও অন্যভাবে এদের একটা সুযোগ করে দিচ্ছে। তারা সরাসরি মেয়েদের দোষ দেয়। " লক্ষনীয় শিশুদের কথাটা বলা হয়েছে ।

শিশুদের কে সাধারন শিক্ষা একজন নারী দেয় না পুরুষ দেয়? এখানে নারি পুরুষ উভয়ই আছে। নারীর ভুমিকা অধিক আমাদের সমাজে। নারীদের এই দায়িত্ব নিয়া কেউ কথা বলে না। উনি বলেছেন "সেটা হচ্ছে এ কারণে যে মেয়েরা যেভাবে সচেতন ও প্রতিবাদী হয়েছে, যেভাবে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে, সামাজিক পরিবেশ বা রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের চিন্তাধারা ঠিক সেই ধাপে এগোয়নি। যখনই একজন নারী তার ওপর অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ জানাতে যাচ্ছে, সেটার যে পাল্টা প্রতিঘাত তার ওপর আসছে, সেটার মাত্রার ওপর কিন্তু নির্ভর করছে, সে সেই প্রতিঘাতটা কতখানি মোকাবিলা করতে পারছে" পারছেনা কারন তার পাশে কাউকে পাচ্ছে না।

এখানে মেয়েদের মানসিকতার একটা ব্যাপার আছে। ছোট বেলা থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত তাকে যে ইনপুটগুলো দেয়া হয়েছে সেখানে অনেক গলদ আছে। এই ইনপুট দেয়ার দায়িত্ব কার? আমেরিকায় ১৫ বৎসরের ভার্জন মেয়ে পাওয়া দুস্কর। ওখানে কি সুইসাইড হচ্ছে? নয় কেন? উনি বলেছেন "এখন প্রতিযোগিতাও বেড়ে গেছে সমাজে এবং যেখানে লিঙ্গীয় ভাবটা আছে, সেখানে যৌনতার বিষয়টিও চলে আসছে। একজন তরুণের মনে হয়তো ভাব জাগছে এবং আমাদের এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজ, এই বিচ্ছিন্ন সমাজ, এই সংস্কৃতিবিহীন একটা সমাজ সেটাকে কিন্তু উসকে দিচ্ছে।

একই সঙ্গে আমার এখন মনে হচ্ছে, ধর্মীয় মৌলবাদও অন্যভাবে এদের একটা সুযোগ করে দিচ্ছে। তারা সরাসরি মেয়েদের দোষ দেয়। " ধর্মীয় প্রতিবন্দক । এটা একটা বড় প্রতিবন্দক। এখানে কিছু করার নাই উনি বলেছেন "আন্দোলনের চাপে এগুলো হয়েছে।

কিন্তু চাপটা দিয়েছে নারীরাই। " এখানে পুরুষদের ইনভলভ করতে হবে সহযোগী হিসাবে প্রতিদন্ধি হিসাবে নয়। এইখানেই নারীরা ভুল করতেছে। এইটার ব্যাপারে জোর দয়া উচিত নারীদের। উনি বলেছেন "যিনি তাঁর সন্তানদের হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন, তিনি অপরাধমূলক কাজ করেছেন।

হত্যা ও আত্মহত্যা দুটোই অপরাধমূলক কাজ এবং শিশুহত্যা একটি অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। সুতরাং, এসব অভিযোগ থেকে ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। শিশুদের মা হলেও শিশুকে হত্যা করার অধিকার তাঁর নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ ধরনের ঘটনা ঘটছে কেন? যে নারীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটালেন, তাঁদের ব্যক্তিগতভাবে চিনি না; কিন্তু আমার ধারণা, এঁরা ছোটবেলা থেকে এই ধারণা ও বিশ্বাসের সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন" দেখেন এখানেও ছোটবেলা কথাটা চলে আসল। প্রতিবাদি কন্ঠে কখনোই পুরুষদের সাথে পেরে উঠবে না নারীরা।

কারন উহাদেরকে তারা নিজেরাই গড়িয়াছে। নারীর গড়ার শক্তি অসীম। তাই বলি পুরুষের সহযোগি কন্ঠে কন্ঠ মিলাতে হবে। তাহলেই কেবল নারী জাগরন সম্ভব। শিশুকাল থেকেই নারীরা ভুল মানসিকতায় বেরে উঠে।

তাদের সাভাবিক মানসিকতায় বেড়ে উঠার দায়িত্ব মা বাবার। এখানে মায়ের ভুমিকা (নারীর )অধিক গুরুত্বপুর্ন। তাকে একটা নারী হিসাবে গড়ে তুলা হয় মানুষ হিসাবে না। আগে ঘর ঠিক করুন, তারপর সমাজ ঠিক হবে। সমাজ , রাস্ট অটো ঠিক হয়ে যাবে।

শেষ পর্যন্ত যা বুঝলাম "পুরুষরা নারী জাগরনের প্রতিবন্দক নয় " উহারা নিজেরাই নিজেদের প্রতিবন্দক। নারী জাতিকে শিক্ষিত ও দায়ত্বশীল হতে হবে। এই ব্যাপারে আমরা তাদের সাহায্য করতে পারি। হুদাই প্যাচাল পারলাম। | ভাল থাকবেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.