---
পৃথিবীর অমিমাংসিত ও রহস্যময় ঘটনাগুলো নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সাপ্তাহিক চক্রজাল অনলাইন সিরিজ । এসব রহস্যের উন্মোচন; মানুষের উপর শয়তানের প্রভাব সম্পর্কিত বিশ্লেষণ, মানব চিন্তা ও কর্মে শয়তানের কার্যপদ্ধতি নিরূপণ এ সিরিজটির লক্ষ্য । ঘটনাগুলো অস্বস্তিকর। কোন কোন ক্ষেত্রে নৃশংস। তাই দুর্বল চিত্ত ও সংবেদনশীলদের সিরিজটি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ রইল।
⎝⏠⏝⏠⎠
অসুস্থ প্রেম ও বিকৃত স্বপ্ন
রাজীবের সাথে হালিমার পরিচয় দেড় বছর হয়ে গেছে। ব্যাপারটি হালিমার স্বামী ফারুক ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি। ফারুক ব্যবসায়ী। সকালে বের হয় রাতে ঘরে ফেরে। এই সুযোগে খালি ঘরে চলতে থাকে রাজীব ও হালিমার অসুস্থ প্রেম।
প্রতিদিন হিন্দি সিরিয়াল দেখার সময় হালিমা স্বপ্ন দেখত এক মাচো ম্যান অর্থাৎ এক পূর্ণ পুরুষের। তার স্বামী মুদি দোকানী ফারুখ কোনভাবেই খাপ খেত না তার কল্পিত হিন্দি সিরিয়ালের মাচো ম্যানের সাথে। কিন্তু হঠাৎ একদিন সেই কল্পিত পুরুষের প্রতিচ্ছায়ায় রাজীব আবির্ভূত হল হালিমার জীবনে। শুরু হল হালিমা রাজীবের বিকৃত ইন্দ্রিয়পরায়ণতার জগৎ। হালিমার ব্রেনের প্রতিটি সেল রাজীব কে নিয়ে স্বপ্ন বুনতে লাগল।
বিতারিত শয়তান হালিমা, রাজীব ও ছোট্ট তানহাকে নিয়ে এক গভীর ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করা আরম্ভ করে।
তানহা হালিমার মেয়ে। মুদি দোকান ফারুখ যখন ব্যবসায় ব্যস্ত, তখন রাজীব হালিমার সাথে তার ফ্ল্যাটে দেখা করত, প্রতিদিন। হালিমার আড়াই বছর বয়সি মেয়েটির জন্য রাজীবের হাতে থাকত চকোলেট, খেলনা ইত্যাদি। হালিমার মন রাজীবকে নিয়ে আচ্ছন্ন।
মুদি দোকানীকে বাদ দিয়ে এবার হিন্দি সিরিয়ালের মাচো ম্যানের মূর্ত প্রতিক রাজীবের সাথে ঘর করার স্বপ্ন দেখে হালিমা। অভিশপ্ত শয়তান ভীষণ খুশি হয়। সে হালিমাকে এবার নতুন উদ্যেমে প্ররোচনা বা ওসওসা দিতে থাকে। মাচো ম্যান রাজীবের পরামর্শে হালিমা তার স্বামী ফারুকের ড্রয়ার থেকে এক লাখ টাকা ও স্বর্ণের অলংকার চুরি করে। শেষতক মাচো ম্যান রাজীবকে নিয়ে পালায় হালিমা।
সাথে থাকে তার তিন বছরী মেয়ে তানহা। নিষ্পাপ তানহা রাজীব আঙ্কেলসহ তার মা কে দেখতে পেয়ে খুশি হয়। দুপুর। হালিমা, রাজীব আর তানহা পাঁচ তলার ছাদের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে হিন্দি সিরিয়ালজনিত স্বপ্নের গোরাপত্তন করে।
বিতারিত শয়তানের জন্য তার চূড়ান্ত পরিকল্পনা ফলিয়ে তোলার দারুন সুযোগ আসল।
সে হালিমা ও রাজীবের মনে ক্রমাগত প্ররোচনা বা ওসওসা দিতে থাকে।
এবার হালিমা ও রাজীবের মাথায় ছোট্ট মেয়ে তানহাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবার বুদ্ধি আসে। সব কিছু নতুন করে শুরু করার জন্য বিভোর হয়ে ওঠে তারা দুজন। প্রচণ্ড ঘোর চেপে বসে হালিমার উপর; তানহাকে সরাতেই হবে! যে করেই হোক !
⎠⎠⏠⏝⏠⎝
তানহার লাশ পড়ে থাকতে দেখে বিতারিত শয়তান খুশি হয়। সে বুঝতে পারে হালিমা ও রাজীব এখন পুরোপুরি তার কব্জায়।
সব কিছু এখন তার হাতের কব্জায় টের পেয়ে ধূর্ত শয়তান তার শেষ ওসওসাটি হালিমা ও রাজীবের কানে ঢেলে দেয়।
হালিমা ও রাজীব আপ্রাণ চেষ্টা করে তানহার লাশটিকে জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিতে। কিন্তু গ্রিলের ফাক দিয়ে ঢুকছিল না সেটি। এবার বটি দিয়ে কেটে কেটে স্লাইস করা হল মরদেহটি। দুপাশ কেটে চিকন করা হল তানহার মাথা।
এইবার জানালা প্রতিবাদ করল না। কিন্তু লাশ খন্ডগুলো নর্দমায় না পড়ে আটকে রইলো বাড়ির সান শেডে!
বিতারিত শয়তান বুঝতে পারল হালিমা আর রাজীবকে নিয়ে তার কাজ শেষ হয়ে গেছে। হালিমাকে হিন্দি সিরিয়াল দেখানো থেকে তিন বছর বয়সী তানহার লাশ কেটে নর্দমায় ফেলে দেওয়ার পুরো কাজটি তার সফল হয়েছে। বিকৃত আনন্দে শয়তান দ্রুত হালিমা ও রাজীবকে ত্যাগ করল।
হঠাৎ ঘোর কেটে গেল রাজীব আর হালিমার।
বুঝতে পারল ভয়ংকর একটি ভুল হয়ে গেছে। তাদের বিকৃত ও অসুস্থ যৌনাচার নষ্ট করেছে সব। নিজের উপর ঘেন্না আসতে লাগল হালিমার। সব কিছু মনে করে বমি বমি লাগল তার। সব স্বপ্নের মায়া ত্যাগ করে পশু রাজীব হঠাৎ করে নিরুদ্দেশ হয়ে গেল।
পত্রিকার রিপোর্ট:
জানালা দিয়ে ফেলতে জেনিফার মাথার দু’পাশে কাটা হয়
বকুল আহমেদ: জানালার গ্রিলে ফাঁক ৬ ইঞ্চি। এ ফাক গলে সাড়ে ৩ বছর বয়সী শিশু তানহা ইসলাম জেনিফার লাশ নিচে ফেলা সহজ ছিলো না। তাই খুন করার পর জেনিফার মাথার দু’পাশে কেটে ও পাঁজরের হাড় ভেঙে ফেলে দেয়া হয়।
তবে সানশেডে আটকে যায় লাশ। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর এ কথা বলেছেন খিলগাঁও থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আসলাম হোসেন।
তিনি অবশ্য বলেছেন, জেনিফাকে খুন করে সানশেডে লাশ ফেলা নিয়ে অসংলগ্ন কথা বলছেন মা হালিমা ইয়াসমিন। একবার বলছেন, তাকে শ্বাসরোধ করে মেরেছে রাজীব। আরেকবার বলেছেন, আমি লাশ দেখিনি। কখনও বা বলেছেন, সারাদিন লাশ নিয়ে বসে ছিলাম, রাতে রাজীব এসে লাশ জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, লাশের মাথার দু’পাশে বঁটি দিয়ে কাটা হয়েছে।
পাঁজরের হাড় ভেঙে ছোট করা হয়। গ্রিলে মাথার চুল ও রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। সেটি চেনার কোন উপায় ছিল না। সন্তান খুনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হালিমাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
বুধবার মধ্যরাতে পলাতক রাজীবের ভাই সজীবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে। রাজীবকে খুঁজছে পুলিশ। ওদিকে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সন্ধ্যায় জেনিফার লাশ মিরপুর-১০ নম্বর এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়। ২৭শে জুলাই দুপুরে জেনিফাকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুরের স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে হালিমা। সাড়ে সাত ভরি সোনার গহনা, এক লাখ টাকা ও জমির দলিল নিয়ে ওঠে পরকীয়া প্রেমিক রেজাউল করিম ওরফে রাজীবের উত্তর গোড়ানের ভাড়া বাসায়।
পরদিন রাতেই জেনিফাকে খুন করা হয়। বলা হচ্ছে- সারাদিন লাশ রাখার পর ২৯শে জুলাই রাতে জানালা দিয়ে ফেলে পালিয়ে যায় রাজীব। ৪ঠা আগস্ট দুপুরে জেনিফার গলিত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। ওইদিন শেষে রাতে নিহতের পিতা ফারুক গাজী বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় স্ত্রী হালিমা ও রাজীবকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। জেনিফার পিতা ফারুক গাজী বলেন, আমার মেয়ে কী দোষ করেছিল? তাকে কেন খুন করা হলো? হালিমা-রাজীবের বিয়েতে তো আমার মেয়ে বাধা দেয়নি।
মেয়েকে আমার কাছে রেখে গেলে তো হারাতে হতো না। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে যে-ই খুন করুক, তাদের ফাঁসি চাই। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখে যেন আর কোন মায়ের কাছে সন্তান অনিরাপদ না থাকে।
ঘটনাস্থল: রাজধানীর খিলগাঁও থানার উত্তর গোড়ানের সিপাহীবাগ মদনগলির ২৬৯ নম্বর ৫তলা বাড়ির মালিক আবুল বাসার। ৫ম তলার দু’টি ফ্ল্যাট টিনশেড।
উত্তরপাশের ফ্ল্যাটে চারটি রুম। বাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত বশির আহম্মেদ বলেছেন, ২৭শে জুলাই সকালে ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া নেয় রাজীব। ৫ হাজার টাকা অগ্রিম দেয়। এরপর দিনই হালিমা ইয়াসমিন ও জেনিফাকে বাসায় নিয়ে আসে।
প্রতিবেশীদের বর্ণনা: তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া বাড়ি মালিকের ভগ্নি জোসনা বিন তেনু বলেন, ২রা আগস্ট ভোরে আমার খালাত ভাই সোহেলের কাছে হালিমা এসে ২০০ টাকা ধার চায়।
সে সময় হালিমা অস্বাভাবিক ছিল। সোহেল জানতে চায়, টাকা দিয়ে কি হবে? হালিমা বলেছিল, আমার স্বামী বাসায় নেই। মোবাইলে ফ্লেক্সি করবো। সোহেল টাকা না দিলে চলে যায় হালিমা। বাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত বশির আহম্মেদ বলেন, মঙ্গলবার পাঁচতলার জানালায় হালিমাকে দেখার পর রাতে তার কাছে ভাড়ার জন্য যাই।
হালিমা বলে আমার স্বামী (রাজীব) বাসায় নেই। তিনি এলেই ভাড়া দেয়া হবে। ওই রাতে ১১টার দিকে হালিমা একটি ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির লোকজন তাকে আটকায়। এরপর দিন সকালে ফ্ল্যাটে বৈদ্যুতিক কাজের জন্য গেলে জানালার বাইরে থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। বশির বলেন, আমি গ্রিলে উঁকি মেরে একটি বাচ্চার হাত দেখতে পাই।
এর পরই পুলিশকে খবর দেয়া হয়। রং মিস্ত্রী আবদুল জলিল বলেন, এখানে রঙের কাজ করছি। ২৭শে জুলাই দুপুরে হালিমাকে আসতে দেখি। ২রা আগস্ট হালিমার ফ্ল্যাটে রান্না ঘরে রং করতে গিয়ে প্রচণ্ড গন্ধ পাই। এ নিয়ে হালিমাকে প্রশ্ন করলে সে বলে ইঁদুর মরেছে।
আমরা দুর্গন্ধের জন্য কাজ না করে চলে আসি।
পুলিশের বক্তব্য: খিলগাঁও থানার অপারেশন অফিসার এসআই আসলাম হোসেন বলেন, তানহা ইসলাম জেনিফাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে মা হালিমা ইয়াসমিন ও তার দ্বিতীয় স্বামী রাজীবই জেনিফাকে হত্যা করেছে। ২৯শে জুলাই রাতে বাসার উত্তর পাশের জানালা দিয়ে লাশ ফেলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। জেনিফার দেহ জানালার ফাঁক দিয়ে না ঢোকায় ধারাল বঁটি দিয়ে মাথার পাশে কাটা হয়।
দেহ ভেঙে ছোট করে ফেলা হয় জানালা দিয়ে। লাশ উদ্ধারের সময় জানালায় মাথার ছোট চুল লেগে ছিল। একটি ধারাল বঁটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে মাথার চুল ও রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। হালিমা পুলিশের কাছে বলেছেন, জেনিফাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ওই ফ্ল্যাটে শুধু হালিমাকে নিয়ে থাকতে চেয়েছিল রাজীব।
সবকিছু নতুন করে সাজাতে চেয়েছিল।
হালিমা ইয়াসমিন যা বললেন: হালিমা ইয়াসমিন খিলগাঁও পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর বলেন, শবেবরাতের পরের দিন ২৮শে জুলাই রাত দু’টার দিকে রাজীব দই খেতে দেয়। রাজীব দইয়ের সঙ্গে ঘুমের বড়ি খাইয়ে দিলে অচেতন হয়ে পড়ি। পরদিন সকালে সংজ্ঞা ফেরার পর দেখি মেয়ে জেনিফা ঘুমিয়ে রয়েছে। মেয়েকে ঘুম থেকে উঠানোর চেষ্টা করি।
ঘুম না ভাঙায় সন্দেহ হয়। রাজীবকে বলি, মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে। একপর্যায়ে আবার অন্যমনস্ক হয়ে হালিমা বলেন, আমি বুঝতে পারি আমার মেয়ে মারা গেছে। রাজীবকে ফোন দিই। সে আসে সন্ধ্যায়।
লাশ কি করবো ভেবে পাইনি। রাতে রাজীব জানালা দিয়ে লাশ ফেলে দেয়। রাজীবই জেনিফাকে খুন করেছে।
ফারুক গাজী যা বললেন: মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী ফারুক। একই এলাকায় স্ত্রী হালিমা, মেয়ে জেনিফা ও শ্যালক জুয়েলকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।
২৭শে জুলাই সকালে তিনি দোকানে যান। বেলা ১২টার দিকে তার স্ত্রী হালিমা তাকে ফোন দিয়ে জানান, বাসার চাবি জানালায় আছে। ফারুক জানতে চান, হালিমা কোথায় যাচ্ছো? এ সময় হালিমার উত্তর ছিল- জাহান্নামে যাচ্ছি। আর ফিরবো না। ফারুক বলেন, বাসায় ফিরে দেখি ১ লাখ টাকা, জমির দলিল ও সাড়ে সাত ভরি সোনার গহনা নেই।
এসব নিয়ে সে পালিয়েছে। ২৮শে জুলাই পল্লবী থানায় একটি জিডি করি। ভাবতেও পারিনি হালিমা রাজীবের সঙ্গে চলে গেছে। আমরা খোঁজাখুঁজি করি তাকে। ৩রা আগস্ট হালিমা ফোন দিয়ে বলে, আমি বিপদে পড়েছি।
জেনিফা মারা গেছে। আমি রাজীবকে বিয়ে করেছি। ফারুক বলেন, তখনই জানি রাজীবের কথা। এর আগে কখনও এ সম্পর্কের কথা জানতে পারিনি। দেড় বছর আগে রাজীব ও আমরা একই বাসায় ভাড়ায় থাকতাম।
তখন থেকেই হয়তো ওদের সম্পর্ক। তবে কখনও বুঝতে পারিনি। তাছাড়া আমি দিনে বাসায় থাকতাম না। শ্যালক জুয়েল ও আমি দোকানদারি করতাম। রাতে বাসায় ফিরতাম।
__________________________________
আগের পর্ব: Click This Link
সপ্তাহান্তে চোখ রাখুন http://www.chokrojal.tk
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।