রীতিমতো বিস্ফোরক এক তথ্য দিয়েছিলেন রশিদ লতিফ। ভারতীয় জুয়াড়ি আন্নু ভাট নাকি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নিয়মিত অতিথি হয়ে দলের সঙ্গে সফরও করেছিল একসময়! দিন দুয়েক আগে করা লতিফের এই দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে পিসিবি। তবে এখনো নিজের বক্তব্যে অনড় লতিফ।
কাউন্টিতে খেলার সময় আন্নু ভাটের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল—এই অভিযোগে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেটে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছেন দানিশ কানেরিয়া। কানেরিয়ার পক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রাসঙ্গিকভাবে ভাটের নাম উল্লেখ করেন লতিফ।
ভারতীয় ওই জুয়াড়িকে পিসিবির আমন্ত্রণ জানানোর একটা উদাহরণও দিয়েছিলেন এই সাবেক অধিনায়ক। ২০০৯-১০ সালে ভারত ও ইংল্যান্ড দলের পাকিস্তান সফর চলার সময় পিসিবির অতিথি হয়ে নাকি সফর করেছিলেন ভাট। লতিফের এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ পিসিবি গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটা ভিত্তিহীন ও বাজে অভিযোগ। রশিদ লতিফের মতো একজন ক্রিকেটার এ ধরনের কথা বলতে পারেন, বিশ্বাসও করতে পারি না আমরা। ’ অভিযোগের সপক্ষে লতিফকে প্রমাণ দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে, ‘যদি তিনি এ ধরনের কথা বলে থাকেন, তাঁকে প্রমাণ দিতে হবে।
তাঁর দায়িত্বহীন বক্তব্য বোর্ড ও দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ’
জি নিউজ জানায়, পিসিবির ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পরও আগের বক্তব্যেই অটল আছেন লতিফ। প্রয়োজনে আদালতে যেতে প্রস্তুত আছেন বলেও জানিয়ে রেখেছেন ৩৭টি টেস্ট ও ১৬৬টি ওয়ানডেতে অংশ নেওয়া সাবেক এই উইকেটরক্ষক, ‘পিসিবির প্রতিক্রিয়া আমাকে মোটেই অবাক করেনি। তবে প্রতিক্রিয়ার ভাষায় কিছুটা বাড়াবাড়ি ছিল। ওরা যদি আমাকে আদালতে টেনে নিয়ে যেতে চায়, আমি প্রস্তুত।
গণমাধ্যমে কথার যুদ্ধ আমি চাই না। আমি জানি, আন্নু ভাট পিসিবির নিয়মিত অতিথি ছিল। আমার আগের প্রতিটি কথায় এখনো অটল আছি। ’
ক্রিকেট ফিক্সিংয়ের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার রশিদ লতিফ। ১৯৯৪ সালে নিজ দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ তুলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
গত এক দশকে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি বেশ ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে। দীর্ঘ দুই বছরের বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে ২০০০ সালে সাবেক অধিনায়ক সেলিম মালিক ও পেসার আতাউর রেহমানকে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান। ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং করায় সালমান বাট বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি জেলও খেটেছেন। কাউন্টিতে খেলতে গিয়ে ফিক্সিং করায় কানেরিয়াকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে ইসিবি। পাকিস্তান ক্রিকেটেও নিষিদ্ধ আছেন একসময়কার তারকা এই লেগস্পিনার।
কানেরিয়ার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অবশ্য আপত্তি আছে লতিফের। তাঁর অভিযোগ, কানেরিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে ওঠা অভিযোগের সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি ইসিবি। এর পরও তাঁকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইংল্যান্ড ফিক্সিং থেকে মুক্ত—নিজেদের এই ইমেজ তুলে ধরতেই ইসিবি এমনটা করেছে বলে বিশ্বাস ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো লতিফের। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।