ঘুম-তার্কিক
বাঙলা লোকগানের সাথে যাদেরই অল্পবিস্তর পরিচয় ঘটেছে তারা বিজয় সরকার সম্পর্কে অবগত আছেন বোধ-করি। নড়াইলে বাসগ্রাম ইউনিয়নের ডুমদী গ্রামে ১৯০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি কবিয়াল বিজয় সরকারের জন্ম। বাবা- নবকৃষ্ণ বৈরাগী ও মা- হিমালয় কুমারী বৈরাগী। কৈশোরে তিনি কবি পুলিন বিহারী ও পঞ্চানন মজুমদারের সহচর্যে আসেন ও পাচালী গানের দীক্ষা পান এবং পরবর্তিতে পাচালী গানে খ্যতি অর্জন করেন। ১৯৩৫ সালের দিকে কলকাতায় অ্যালবার্ট হলে কবি গানের আসর হয়, যেখানে এই অমর শিল্পী যোগদান করেছিলেন।
একই ঘটনাচক্রে কবি গোলাম মোস্তফা, কবি কাজী নজরুল ইসলাম, কবি জসীমউদ্দিন, আববাস উদ্দিন, সাহিত্যিক হাবিবুল্লাহ বাহার, ধীরেন সেন প্রমূখের সাথে তাঁর পরিচয় ঘটে। ১৯৮৫ সালের ২ ডিসেম্বর ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিজয় সরকার প্রায় চারশতাধিক গান (সখি সংবাদ) রচনা করে গেছেন। তাঁর সমসাময়িক ছিলেন নড়াইলে প্রখ্যাত জারী গায়ক মোসলেম উদ্দিন বয়াতী। সাংবাদিক ও বিশিষ্ট লেখক মহসিন হোসাইন এই লোকশিল্পীর উপরে কাজ করেছেন।
১৯৯৪ সালে বাংলা একাডেমী মরণোত্তর “কবিয়াল বিজয় সরকারের জীবন ও সঙ্গীত” শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করে। বইটিতে তাঁর ৩৭৫ টি গান সংকলিত হয়েছে। বর্তমান বাঙলা গানের ধারা আমাদের কোন পথে পরিচালিত করবে- জানা নাই, তবে এই গানগুলোয়- কালের গণ্ডি ভেঙ্গে- নিকটজনের ভীড়েও একলা হয়ে বসার ইশারা মেলে। মাটির ঘ্রাণ লাগে নাকে, মিশে যাই এক অদ্ভুত সরল আর সতেজ শিল্পের যুগলবন্দীতে।
এই লেখার সাথে সংযুক্তি হিসেবে বিজয় সরকারের সাত’টি গান আছে।
গেয়েছেন বাণী চক্রবর্তী ও তাপসী চৌধুরী। শুনবার আমন্ত্রণ রইলো।
১। তুমি জানোনা’রে প্রিয়
২। পোষা পাখি
৩।
নকশী কাঁথার মাঠ
৪। সুন্দর এই পৃথিবী
৫। কি সাপে কামড়াইলো
৬। জানিতে চাই দয়াল
৭। পরবাসি হইয়া
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।