( কবিতার একটি পংক্তি’র জন্য কেউ কেউ জীবনের বাকিসব গল্পকে থামিয়ে রাখে। জাগতিক নির্মমতা, নিষ্ঠুরতাকে সয়ে নিয়ে অভিমানে কলমের কালি, অথবা কীবোর্ডের আখরে বাঁচার শেষ উপলক্ষ্য খোঁজে...সেই সব নাগরিক কবিদের প্রতি সনির্বন্ধ অঞ্জলি এ কয়েক লাইন। কারণ, আমিও হয়তো সে দলেরই কেউ হতে চেয়েছি...!) যে মধ্যাহ্নে রোদে পুড়ে কালো ফড়িং স্নানঘরে ঢোকে ললনার, সে অপরাহ্ণে ঘামে চিটচিটে কলার শুকায় কবি, এ ঘুপচি শহরে। তবু হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি নামে... আলোকায়নে নেমন্তন্ন পেয়েও কবিকে কখনো সখনো সভাপতি হতে হয় রোদ্দুরের স্মরণসভায়... ফিরে এসে দেখা যায় তুলে রাখা কবিতার লাইন খেয়ে গেছে বাস্তবতার বারণে। তারপরও হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি নামে, কারণ তানসেনের মত বৃষ্টি ডাকে এ কালের শহুরে কবিয়াল, আনাচে কানাচে উঁকি দেয় ফুল- বৃষ্টি খাবে বলে; আর কবির রক্তক্ষরণ চেটেপুটে খেয়ে বাড়ে কীটসদৃশ শব্দজীবীর দলবল- তারপর বৃষ্টি নামে। অতঃপর কবি থাকে অনাহূত শহরের বর্ষাবরণ উৎসবে... অগত্যা অবশেষে অচ্ছুত কবির অভিমানী অশ্রু ও ঘাম শহরের পিচে শুষে নেয়া কিছু বৃষ্টির রসে গিয়ে মেশে!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।