সুশীল নয়, ইহা কুশীল ব্লগ
আস্তিক এবং নাস্তিক শব্দদ্বয়ের মূলে রয়েছে সংস্কৃত অস ধাতু, যার অর্থ (এগজিষ্ট) থাকা। অস্ থেকে অস্তিত্ব শব্দটির ব্যুৎপত্তি। যা আছে অর্থাৎ বস্তু ও বস্তুর শক্তিতে বা অস্তিত্বে যে বিশ্বাসী সেই আস্তিক। এ নিয়মে, প্রচলিত ধারণায় আমরা যাদেরকে নাস্তিক বলি তারা মূলত আস্তিক; কারণ তারা বিশ্বাস করে বস্তুতে, যুক্তিতে; । বস্তুতে যার বিশ্বাস নেই, যুক্তিতে বিশ্বাস নেই; বিশ্বাস আছে পরজন্মের র্যাব/পুলিশ এবং পরকালীন কমলা সুন্দরীদের প্রতি, প্রকৃত প্রস্তাবে তারা নাস্তিক; নিরঙ্কুশ নাস্তিক অথচ তাদের দাবী তারা আস্তিক।
শব্দের অর্থ, বর্ণ, গন্ধ নিয়ত বদল হয়; এটি একটি প্রক্রিয়া মাত্র। ‘গবেষণা’ শব্দটির উৎপত্তি যদিও ‘গরু খোঁজা’ থেকে, এখন যদি গবেষণারত কাউকে জিজ্ঞেস করা হয়- আপনি কী গরু সন্ধান করছেন? নিশ্চয়ই উত্তর আসবে না-সাদা, কালো বা চাঁদ-কপালী। বরং তিনি উচ্চস্বরে বলবেন-পি, এইচ, ডি করছি। এখন শুধু তিল, তিলক বা সরষেদানা ফাটিয়েই তৈল পদার্থ উৎপন্ন হয় না, সমুদ্র চিরে যে তৈলপদার্থ বের করা হয় তার নাম পেট্রোল, ডিজেল, লিডেড, আনলিডেড ইত্যাদি।
উল্লেখিত উদাহরণগুলো শব্দের স্বাভাবিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
আস্তিক, নাস্তিক শব্দদ্বয়ের অস্বাভাবিক রূপান্তর ঘটিয়েছে ব্রাহ্মণ্যবাদী শক্তি, তাদেরই মৌলবাদী সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রয়োজনে। পরবর্তী মৌলবাদীরা কেন যে শব্দদ্বয়কে লালন পালন সহ প্রয়োগ করবে না, তা আর বরার অপেক্ষা রাখে না।
================================
হেফাজতে ইসলামই জামাতে ইসলাম
http://soundcloud.com/bristi-balika/sets/hib
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।