সামুর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির এক অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে আস্তিক-নাস্তিক দ্বন্দ। ১০০টা পোষ্টের প্রায় ১০টাতে থাকে এসকল আলোচনা, প্রায় ১৫% কমেণ্ট হয় ধর্ম-আধর্ম নিয়ে কাদা ছুড়া-ছুড়ি। কিন্তু কেন!!!!!!!
আমি প্রথমে ভাবতাম নাস্তিকরা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে নতুনত্যের খোজে (যেভাবে তাদের সুবিধে হয়) কথা বলে। পরে দেখলাম তারা আসলে পাগল। এইসকল পাগলরা আপনাদের প্রানপ্রিয় ধর্ম ইসলামকে নিয়ে কিছু বললে আপনাদের গায়ে লাগে ঠিক আছে, কিন্তু ইসলামের মহিমান্যতা কি কমে যায়!!!!
আপনারা যখন ছিলেন না ইসলাম তখনো ছিল, আর যখন থাকবেন না ইসলাম ঠিকই টিকে থাকবে যতদিন আল্লাহ তায়ালা চান।
নাস্তিকরা ইসলামকে নিয়ে যত কটুক্তিই করুকনা কেন তিনি তার এই মহিনান্বিত ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে কারো সাহায্যের মুখপেক্ষি নহেন।
সুরা ফিলের শানে নূজুল মনে আছে???? যখন হস্তী-বাহিনি কা-বা ঘরকে ধ্বংস করতে এসেছিল তখন মক্কার রক্ষনাবেক্ষনের কাজে নিয়োজিত মুহাম্মদ সঃ এর দাদা আব্দুল মুত্তালিব কোন প্রকার ডিফেন্সের ব্যবস্থা করেন নি......... আল্লাহর উপর তার ঘর ছেড়ে দিয়েছিলেন, দুয়া করে ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা ঠিকই তার ঘর রক্ষা করেছিলেন।
নাস্তিকদের সাথে যুক্তিতে যাবেন না কারন ইসলাম যুক্তি-তর্কের উর্ধ্বে। যুক্তির কারনে ইসলাম নহে, আল্লাহ ইসলামকে মনোনিত ধর্ম করেছেন তাই ইসলাম।
নাস্তিকদের যুক্তিতে ইসলাম বুঝাতে পারবেন না কারন ওরা বিচার মানি, তালগাছ আমার টাইপের ওদের বিরুদ্ধে কিছু লিখতে যাবেন সেটা হবে পাগলকে সাকো নাড়ানোর কথা মনে করিয়ে দেওয়া।
আর মনে রাখবেন পবিত্র কোরানের কথা যেখানে আছে যে আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা তাকে হিদায়াত দান করেন আপনি বা আমি বুঝিয়ে তাদেরকে হিদায়াত দিতে পারব না।
হে আল্লাহ আপনি আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন এবং নির্বোধদের সংস্পর্শ্ব থেকে দূরে রাখুন। আমিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।