আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালই জমত গাঁজার আসর:এখনও জমে

রাজা..............................

প্রথম পর্ব (ধারাবাহিক-২য় পর্ব) আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চোখ বন্ধ করে হাত বাড়িয়ে দিলেও একটা জিনিস ঠিকই পাওয়া যাবে। বলতে পারেন কি সেটা? না ধরতে পারেননি। যেটা পাওয়া যায় সেটা এখানে পাওয়াটা যুক্তিযুক্ত নয়, তাই আপনি ভাবতে পারছেন না আমি কিসের কথা বলছি। গাঁজা!!!হ্যা এখানে চোখ বন্ধ করলেই গাঁজা পাওয়া যায়। বড় ভাইদের গাঁজা বানানো: প্রায় প্রতিদিন হলের ভেতর বসত গাঁজার আসর।

এখনও বসে। পলিটিক্যাল বড় ভাইরা কোথায় থেকে যেন গাঁজা নিয়ে আসত। প্রথমে বুঝতাম না। পরে অবশ্য তারাই চিনিয়ে দিয়েছিল গাঁজা পাবার স্থান। শুকনো গাঁজার দলাগুলো কাঁচি দিয়ে অনেক শৈল্পিকভাবে কাটত।

তারপর সেখানে কাঠের গুড়ার মত কি জানি মেশাত। তারপর একটা সিগারেট নিয়ে তার ভেতরের তামাকগুলো ফেলে দিত। এরপর গাঁজার গুড়াগুলো সেই সিগারেটের ভেতর ঢুকাত। ব্যাস , গাঁজা প্রস্তুত। ।

। । এরপর একজন ধরিয়ে একটা টান দিয়ে পাশের জনের কাছে পাস করত। এভাবে চলত একটার পর একটা। এতেই শেষ নয়,এরপর তারা মিষ্টি খেত।

শুনেছি গাঁজা খাবার পর মিষ্টি খেলে নেশা ভাল হয়। আমার বন্ধুরা প্রথমে খেতে পারতনা। অনেকেই বমি করে দিয়েছিল অনেকবার। আর এখন ওরা বস্ হয়ে গেছে। ক্লাসে আসার আগেও একবার খেয়ে আসতে হয়!!!!! অপারেশন ২: আমাদের এক বড় ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে টাকার দরকার পড়ল।

আমাদের মজ-মাস্তি করতে হবে তাই। বড় ভাই টাকার ব্যাবস্থা করার জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটা নার্সারিতে নিয়ে গেল । ওখানে আমরা নার্সারির মালিকের কাছে ১০,০০০ টাকা দাবি করলাম। না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হবেনা। নার্সারির মালিক আমাদের ১,৫০০ টাকা দিয়ে দিল।

আসলে না দিয়ে কোন উপায় ছিলনা। আমাদের কাছে ২/৩টা ভালমানের যন্ত্র ছিল। আমরা ১,৫০০ টাকা নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলাম। কেননা আমরা জানতাম এরকমই পাওয়া যাবে। তবে আসার সময় নার্সারির মালিকের বউয়ের শরীরেও হাত দিয়েছিল কেউ কেউ।

হয়তো একটু মজা পাবার জন্য। তবে ঐ মহিলার বয়স দেখে এরকম একটা কাজ করার ইচ্ছে হয়তো একজন প্রফেশনাল ধর্ষকের ও হতনা। একজন মায়ের বয়সি মহিলার শ্লীলতা হরণ করার চেষ্টা হয়তো পলিটিক্যালদের দ¦ারাই সম্ভব। আমরা বড় ভাইয়ের জন্মদিনে অনেক মজা করেছিলাম। মদ, গাঁজা , মিষ্টি , কেক সবই ছিল।

আমাদের মনে অনেক আনন্দ ছিল। ছিলনা শুধুই অভিশপ্ত হবার ভয় আর বিন্দু পরিমান অনুতপ্ত হবার ইচ্ছে। আমি লজ্জিত,আমিও তাঁদের সাথেই ছিলাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।