যখন কিন্ডারগার্ডেনে ছিলাম তখন কোন চাহিদা ছিল না বলতে গেলে। আম্মুকে বলতাম যদি পরীক্ষায় ভালো করি তাহলে ইস্কুলের পাশের দোকান থেকে লাইট জ্বলা কলম কিনে দিতে হবে। আম্মুও তাই দিত। ছেলেদের পাশে বসলে শুধু কথা বলতাম বলে আম্মু পরীক্ষার সময়ে মেয়েদের পাশে বসায় দিয়ে আসত। ফলে সব সময় ই কলম পেতাম আম্মুর কাছ থেকে।
ক্লাস টুতে ইস্কুলে একটা নতুন মেয়ে আসল। সে আসার পর আমার অন্য কোন মেয়ের পাশে বসতে ভালো লাগত না। মেয়েটার চুল মারাত্মক সুন্দর ছিল। ভুল বললাম আসলে শুধু চুল না, চুলের গন্ধও ছিল মন মাতানো। আর চুলের মালিকের কথা বলাই বাহুল্য।
আম্মু আমার এই আজব কথাগুলো শুনে খুব মজা পেত।
ইস্কুলে ঢুকলাম। তিন গোয়েন্দার সাথে পরিচয় হল। কিশোর,মুসা,রবিন আমার অবসরের সঙ্গী হয়ে উঠল। সারা দিনে একটু গল্পের বই পড়তে পারলেই জীবনটা যেন সার্থক হয়ে যেত।
সারা বছরে শুধু ফাইনাল পরীক্ষায় ভালো করলেই হল। আগামি এক বছরের জন্য নিশ্চিত। সব ই ছিল খুব সাজানো , সহজ। জীবনে কোন জটিলতা ছিল নাহ। পিচ্চি কালে যাকে ভালো লেগেছিল সে আপাতত জীবন থেকে বিদায় নিল।
ইস্কুলে থাকতে মেয়েদের দুই চোখে দেখতে পারতাম নাহ। তখন মেয়ে মানেই শত্রু। তাদের সাথে কথা বলা তো দূরের ব্যাপার, তাদের দিকে তাকালে ই সময় নষ্ট। মেয়ে মানেই কুটনি। আমরা যে সময়ে স্যার দের কাছে পড়তে যেতাম অই সময়ে আমাদের ব্যাচে কোন কুটনি আসতে পারত নাহ।
কলেজ জীবনে পদার্পণ করলাম। নিজেকে কিছুটা বড় মনে হল। দাড়ি গোঁফ ভালো মত গজানো শুরু হল। নিয়মত গালের উপর অত্যাচার ও শুরু হল। আমাদের কলেজ ছিল কো।
এই প্রথম কো এডুকেশন!!!!! অনেক বন্ধুই জীবনে প্রথম ভালো লাগার অভিজ্ঞতা লাভ করলাম। অনেকে প্রেম নিবেদনে ব্যস্ত হল। অনেকে ভালো লাগাটা সামলে নিয়ে নিজেদের কাজ চালিয়ে গেলাম। আসলে তখন ধ্যান ধারণা ছিল যে আগে ভালো কোথাও ভর্তি হই তারপর অন্য কিছু।
ভার্সিটিতে ঢুকলাম।
বাড়ির বাইরে আসলাম, হলের জীবনে মিশে গেলাম। জীবনে এই প্রথম বারের মত মনে হল জীবনে নারী প্রজাতির কেউ একজন থাকলে ভালো হত। মানুষ তো অন্ধ হয়ই কিন্তু তার ভালবাসা আরও অন্ধ হয়। “LOVE MAY BE BLIND BUT A REJECTION OR A BREAK UP WILL DEFINITELY OPEN UR EYES.” আর খোলা চোখে তো মানুষ গর্তে পড়তে পারে না।
সব শেষ করার আগে একটা বিভ্রান্তিকর খবরঃ পিচ্চিকালের সেই সুকেশীর সাথে আবার যোগাযোগ হল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।