মিথ্যার পতন সন্নিকটে..........
আমরা যারা বাংলাদেশী তাদের জাতির জনক আজ অব্দি নির্ধারিত হয়নি। কিন্তু আমরা যারা বাঙালি তাদের একজন জাতির জনক আছে বলে অনেকে মনে করেন (তিনি হলে শেখ মুজিবুর রহমান)। বাংলাদেশের বাইরের (যেমন পশ্চিমবঙ্গের) বাঙালিদের প্রায় সবাই অবশ্য তাকে জাতির জনক মানে না। বাকি রইলো বাংলাদেশের বাঙালিদের কথা। এদেশের বাঙালিদের মধ্যে যারা আওয়ামী লীগ তাদের অধিকাংশই শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালি জাতির জনক মানে ও অন্যকে মানাতে চায়।
কিন্তু বাংলাদেশের বাঙালিদের মধ্যে যারা বিএনপি তারা শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক মানে কি? যারা জাতীয় পার্টি তারা? আর জামায়াতে ইসলামী তো বলে তারা নিজেকে বাঙালি পরিচয় দিতে যত আনন্দ বোধ করে তার চেয়ে বেশি আনন্দ বোধ করে নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিতে। আর মুসলিম হিসেবে নাকি ইবরাহীম (আ ছাড়া আর কাউকে জাতির জনক মানলে কুরআন অস্বীকার করা হয়। ইসলামী ঐক্যজোটও ঐ একই ধরনের কথা বলে। আর বাম দলগুলো তো পারলে কমিউনিস্ট নেতাদেরকে জাতির জনক বানাতো। তা পারে না বলেই হয়তো মন্দের ভালো হিসেবে শেখ সাহেবকেই (আপাতত) জাতির জনক স্বীকৃতি দিচ্ছে।
তাই, মোট বাঙালির চার ভাগের এক ভাগও কি শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালি জাতির জনক হিসেবে মানতে রাজি? শেখ সাহেব বেচে থাকলেও তাকে জাতির জনক হিসেবে প্রতিষ্ঠার তোড়-জোড় দেখে হয়তো লজ্জায় লাল হয়ে যেতেন। এ বিষয়ে কুরআনের বাণী হলো-"তোমাদের জাতির পিতা হলো ইবরাহীম- যিনি তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম। " ইবরাহীম (আ মুসলিম জাতির নামকরণ করেছিলেন বলেই তাঁকে মুসলিম জাতির জনক বলা হয়। প্রশ্ন ওঠে, শেখ সাহেবই কি বাঙালি জাতির নামকরণ করেছিলেন- নাকি বাঙালি জাতির নামকরণের অনেক পরে তার জন্ম? আসলে, কে কাকে জাতির জনক মানবে এটা তার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। জোর করে কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
একজন চোর, ডাকাত, শয়তান বা খারাপ লোক বাংলায় কথা বললে বাঙালি হতে পারে, বাংলাদেশী পিতামাতার সন্তান হলেই বাংলাদেশী হতে পারে কিন্তু চুরি, ডাকাতি, শয়তানী, খারাবী বাদ না দিলে মুসলিম (তথা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী) হতে পারে না। তাই, বাঙালি বা বাংলাদেশী পরিচয়ের চেয়ে মুসলিম পরিচয়টা অনেক বেশি আত্মসম্মানের। আর সেই আত্মসম্মানরেবাধের কারণেই মুসলিম হিসেবে আমার পক্ষে (ও অন্যান্য মুসলিমের কাছে) হযরত ইবরাহীম (আ-এর স্থলে অন্য কাউকে জাতির পিতা মানা সম্ভব নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।