এটা খুবই দুঃখজনক যে আমাদের প্রচার মাধ্যম এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের একাংশ জেএমবিকে জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত করার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও জামায়াত পুনঃ পুনঃ তাদের অবস্হান পরিস্কার করেছে। শুরু থেকেই জামায়াত বলে আসছে যে জেএমবির সাথে তাদের দূরতম সম্পর্কও নেই এবং দেশের পরিচিত কোন ইসলামী ব্যক্তিত্ব তাদের কর্মকান্ডকে সমর্থন করেনি। চারদলীয় জোট সরকার তাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। দেশের সচেতন জনগণ জেএমবিকে জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত করার অপপ্রয়াস সমর্থণ করবেনা। ১. জামায়াত একটি গণতান্ত্রিক দল এবং এটা গণরায়ের উপর আস্হা রাখে।

এজন্যই জামায়াত অতীতের প্রায় সবগুলো নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেছে। অপর পক্ষে জেএমবি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে। এজন্যই তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাদের উদ্দেশ্য সাধন করতে চায়। ২. জামায়াত একটি গণমূখী সংগঠন। এর কোন গোপন কর্মসূচী নেই।

এর রয়েছে বিশাল সাহিত্য ভান্ডার যা সবার জন্য উন্মুক্ত। জামায়াতের এ বিশাল সাহিত্য ভান্ডারের কোথাও কেউ জঙ্গীবাদের পক্ষে একটি বাক্যও খুঁজে বের করতে পারবেনা। এমন একটি সংগঠনকে কিভাবে জঙ্গীবাদের সাথে সম্পৃক্ত করা যায়? ৩.জামায়াতের কোন নেতা এমন কোন বক্তব্য প্রদান করেননা যা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে উস্কে দিতে পারে। প্রকৃতপক্ষে কোন অবস্হাতেই জামায়াত তার কর্মী সমর্থকদেরকে উগ্রপন্হা অবলম্বনে উৎসাহিত করেনা। উদাহরণ স্বরূপ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ঘটনা আমরা উল্লেখ করতে পারি।

লগি বৈঠাধারী আওয়ামী কর্মীদের বিভীষিকাময় আক্রমণের মুখেও আমীরে জামায়াত তার বক্তৃতায় একটি উত্তেজনাকর শব্দও উচ্চারণ করেননি। ৪. শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ জেএমবির অনেক সদস্য গ্রেফতার হয়েছে, কিন্তু তারা কেউ জামায়াতের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেনি। তবে কিসের ভিত্তিতে জামায়াতের সাথে তাদের জড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। ৫.অনেক সময় বলা হয় জেএমবির অনেক সদস্য আগে জামায়াত শিবিরের সাথে জড়িত ছিল। কিন্তু এ অভিযোগগুলো সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন।

আর সত্য হলেও বলতে হয় কোন রাজনৈতিক দলকে কি তার প্রাক্তন কর্মীদের কার্যকলাপের জন্য দায়ী করা যায়? ৬. বিগত আওয়ামিলীগ সরকারের সময়ই বাংলাদেশে ইসলামের নামে সন্ত্রাসের সূচনা হয়। তখন তারা এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে বিদেশীদের কাছে নালিশ করেছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সরকারই তাদের সফলভাবে দমন করেছে। জোটের অন্যতম শরীক হিসেবে জামায়াত এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

এমনকি সন্ত্রাসকে নিন্দা জানিয়ে বড় বড় সমাবেশের আয়োজন করে। কপি পেষ্ট Bangladesh Jamaat-e-Islami
।