আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিল্ম রিভিউ: ইরানি চলচ্চিত্রকার তাহামিনা মিলানির ছবি : টু ওমেন



সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে একাধিক মেয়ে মৃত্যুবরন করেছে। ইভটিজিং এর শিকার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই মেয়ের জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে নির্মিত, একাধিক আন্তর্জাতিক পুরুস্কার প্রাপ্ত ছবি - টু ওমেন। প্রত্যেক পুরুষ যদি ছবিটি দেখেন তবে - মনের গভীরের বিবেকই আপনাকে জাগিয়ে তুলবে ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে। দর্শক চলুন ছবিটি দেখি এবং রুখে দাড়াই ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে । রয়া কনষ্ট্রাকশন সাইটে বির্ল্ডিংয়ের কাজ দেখাশোনা করছে এবং ওয়ার্কারদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছে।

ঠিক ওমন সময়ে মোবাইল ফোনে রয়ার হাজবেন্ডের ফোন। ফেরেস্তেহ নামে তাঁর এক পরিচিত ফোন করেছে। ফেরেস্তেহ-নাম শুনেই রয়া চিনতে পারে। জানতে চায় ফেরেস্তেহ কোথায়? ফোনে উত্তর আসে ফেরেস্তেহ একটি হাসপাতালে যেখানে তাঁর হাজবেন্ড মূমুর্ষু অবস্থায়। রয়া দ্রুত ছুটে আসে তাঁর হাজবেন্ডের অফিসে।

রয়ার সাথে তাঁর হাজব্যান্ডের স্বাভাবিক কথা বার্তায় দর্শক খুজে পাবেন দাম্পত্য জীবনে দু’জন সূখী মানুষের প্রতিচ্ছবি। রয়া তাঁর হাজবেন্ডের গাড়ি নিয়ে ছুটে যায় ফেরেস্তে কে দেখার জন্য। রয়া ড্রাইভ করে যখন ফেরেস্তে কে দেখতে যায় তখন রয়ার কল্পনায় ভেসে উঠে পুরোনো দিনগুলোর কথা। দুই বান্ধুবী রয়া ও ফেরেস্তেহ এর তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সে দিনগুলোর কথা। রয়া কল্পনা করতে থাকে।

ছবি এগিয়ে যায় রয়ার কল্পনার ভেতর দিয়ে..........। ফেরেস্তেহ (নিকি করিমি) ও রয়া (মারিলা জারেই) দুই সমবয়সী বান্ধুবি। রয়া শহরে বড় হওয়া শিক্ষিত পরিবারের একটি মেয়ে। সমাজের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে তেমন ধারনা রয়ার নেই বললেই চলে। অন্যদিকে ফেরেস্তেহ গ্রাম থেকে উঠে আসা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে।

মেধা ও উপস্থিত বুদ্ধি মত্তার কারনে জীবনের অনেক কন্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে ফেরেস্তেহ আজ ইরানের তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী। সেদিন ক্লাসে যখন জটিল অংকের সমাধান করার জন্য শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের বললেন তখন ক্লাসের সবাই যখন দাঁত কামড়ে বসে ছিলো তখন ফেরেস্তেহ দেখিয়ে দিলো কিভাবে কঠিন অংকের সহজ সমাধান করতে হয়। সেদিনের পর থেকে ফেরেস্তেহ ক্লাসে অধিক পরিচিতি লাভ করে এবং ক্লাসের অনেক ছাত্র-ছাত্রী ফেরেস্তেহ এর কাছে পড়তে চায়। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডরের পাশে বসে ফেরেস্তেহ এক ছাত্রীকে পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছিল। ঠিক ওমন সময় পাশ দিয়ে হেটে যাচিছল রয়া।

রয়া ফেরেস্তেহ কে দেখে চিনতে পারলো এইতো সেই ছাত্রী যে ক্লাসে এমন জটিল অংক মূহুত্বের মধ্যে করে দিলো। রয়া ফেরেস্তেহ এর কাছে যেয়ে পরিচয় দিয়ে ভাব জমানোর চেষ্টা করলো এবং যথারিতি ফেরেস্তেহ কে অফার দিয়ে বসলো তাকে পড়ানোর জন্য। ফেরেস্তেহ রাজি হলো কিন্তু তাকে মাসে ২০০ টোমানস দিতে হবে। রয়া রাজি হয়ে গেলো। শুরু হয়ে গেলো ফেরেস্তেহ রয়াকে পড়ানোর কাজ।

ফেরেস্তেহ ও রয়ার বন্ধুত্ব সেখান থেকেই শুরু। ছবিটি এই পর্যায়ে এসে অন্য দিকে মোড় নেয়। দর্শক ছবিটি দেখতে দেখতে মনে হবে বাংলাদেশের কোনো এক মেয়ের স্কুলে যাওয়ার পথে পিছু নেয়া কোনো এক বখাটে যুবকের প্রতিচছবি। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে রয়া ও ফেরেস্তেহ এর পিছু নেয় বখাটে এক যুবক। রয়া ও ফেরেস্তেহ যখন বাসে করে বাড়ি ফিরছিলো তখন সেই যুবকও তাদের পিছু পিছু যেতে থাকে।

রয়া ও ফেরেস্তেহ কিছুটা ভয় পেলেও ফেরেস্তেহ কিছুতেই ভয় প্রকাশ করতে চায় না। রয়াকে ফেরেস্তেহ বিভিন্ন ভাবে বুঝাতে চায় যদিও ফেরেস্তেহ এর মনে কিছুটা ভয় টের পাওয়া যায়। সেদিন বাসে রয়া ও ফেরেস্তহ সেই বখাটে যুবকের মুখোমুখি হয় এবং তাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে কিন্তু সেই বখাটে আমাদের বখাটেদের মতোই, পিছু ছাড়তে নারাজ। কারন সেই বখাটে ফেরেস্তেহ কে ভালবাসে। সেদিন বাস ড্রাইবার ও যাত্রীদের সাহায্যে রয়া ও ফেরেস্তেহ রক্ষা পেলেও সমস্যা নতুন রুপ নেয় যখন সেই বখাটে কে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর সে পকেট থেকে ছুরি বের করে রয়া ও ফেরেস্তেহ কে দেখিয়ে শাসিয়ে দেয়।

তারপর থেকে রীতিমতো বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে রয়া ও ফেরেস্তেহ এর পথ আটকায় সেই বখাটে যুবক। একদিন যখন রয়া ও ফেরেস্তেহ পায়ে হেটে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচিছল তখন সেই বখাটে রয়ার পথ আটকায় এবং পকেট থেকে ছুরি বের করে বাসে অপমানের প্রতিশোধ নিতে চায় ঠিক তখন ফেরেস্তেহ চিৎকার দিয়ে মানুষ জড়ো করার কারনে প্রথম যাত্রায় রয়া বিপদ থেকে বেচেঁ যায়। রয়া ফেরেস্তেহ কে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। যদিও ফেরেস্তেহ রয়াকে সাহস দেয় এসব কোনো ব্যাপার না কারন মেয়েরা সবাই মিলে যদি একটি দল গঠন করে কংফু, কারাতে শিখতে পারে তবে রাস্তার এসব বখাটেদের খুব সহজে শিক্ষা দেওয়া যাবে। বাংলাদেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ও দু’দলের মারামারি, দাওয়া-পাল্টা দাওয়ার কারনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্দ হয়ে যায়।

ফেরেস্তেহ শহর থেকে তাঁর চাচার বাড়িতে যাওয়ার প্রস্ত্ততি নেয়। আবারও বাধা হয়ে দাড়ায় সেই বখাটে কারন সে জানতে চায় ফেরেস্তেহ কোথায় যাচ্ছে। ফেরেস্তেহ বলতে নারাজ তবু পিছু ছাড়ে না সে যুবক। ফেরেস্তেহ যেদিন ভাড়া করা টেক্রিতে চড়ে তাঁর চাচার বাড়ির দিকে রওনা হয় পিছু নেয় সেই বখাটে। টেক্সি চালক সেই বখাটেকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ফন্দি করে কিন্তু টেক্সি চালক হয়তো ভুলে গেছে কুকুড়ের লেজের কথা।

ফেরেস্তেহ তাঁর চাচার বাড়ী থেকে রয়াকে ফোন করার জন্য ফোন বুথে যায়। কথা বলতে বলতে ফেরেস্তেহ হঠাৎ টের পায় দূরে দাড়িয়ে আছে সেই বখাটে। রয়ার সাথে ফেরেস্তেহ এর শেষ কথা হয় ফোনে, তারপর ফেরেস্তেহ এর জীবনে চলতে থাকে নানা ঘটনা। ছবিতে দর্শক দেখতে পাবেন রয়া মূমূষু ফেরেস্তেহ এর হাজব্যান্ডকে দেখতে হাসপাতালে আসে। হাসপাতালে রয়া যখন ফেরেস্তেহ এর মুখোমুখি হয় তখন দর্শক ফেরেস্তেহ কে দেখে খুব কষ্ট পাবেন।

মনে প্রশ্ন তৈরী হবে - এই কী সেই ফেরেস্তেহ ? রয়াও ফেরেস্তেহ কে দেখে অবাক হয়, জীবন সংসারে চরম অসূখী ফেরেস্তেহ এই বয়সেই দুই ছেলের মা হয়েছে, দেখতে মনে হচ্ছে আধ বুড়ো কোনো এক নাড়ী। দর্শক এই ভেবে হয়তো কষ্ট পাবেন যে - যেখানে রয়া এখনও কোনো সন্তান নেয়নি, ভাল একটি চাকরি করছে, সেখানে এক সময়কার ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী ফেরেস্তেহ এর জীবনে কতো খারাপ অবস্থা। রয়া ফেরেস্তেহ কে দেখে জড়িয়ে ধরে, সামান্য কথা হয়। রয়া ফেরেস্তেহ কে সান্তনা দিয়ে তার স্বামীর ভাল চিকিৎসার আশ্বাস দিয়ে নিয়ে যায় রয়ার বাসায়। গাড়িতে যেতে যেতে ফেরেস্তেহ খুলে বলতে থাকে তাঁর জীবনের সেই দিনগুলোর কথা।

ছবি এগিয়ে যায় গল্পের গভীরে....... কথা অসম্পন্ন রেখেই ফেরেস্তেহ গাড়ি নিয়ে দ্রুত বাড়ি ফেরার চেষ্টা করে একই সাথে সে গাড়ির পিছু নেয় সেই বখাটে। ফেরেস্তেহ এর গাড়ি ছুটতে থাকে তীব্র গতীতে। অলি-গলির ভিতর দিয়ে ছুটতে ছুটতে গলির ভিতর ফুটবল খেলতে থাকা শিশুদের উপর ফেরেস্তেহ এর গাড়ি ও সেই বখাটের গাড়ি আচড়ে পড়ে। মারা যায় দুই শিশু। ছবিটি এখানে আবারও একটু মোড় নিলো।

ফেরেস্তেহ কে নিয়ে যাওয়া হলো থানায়। কারাবাস। কিন্তু সেখানেও শান্তি নেই। হাজতি এক মহিলার পা টিপে দিতে হবে। যাক পুলিশ কনষ্টেবল আসায় আর পা টিপতে হলো না।

ফেরেস্তেহকে এবার জবাবদিহি করতে হবে কিভাবে ঘটলো এমন ঘটনা। ফেরেস্তেহ সব খুলে বললো, কিন্তু কে শুনে কার কথা। ছবিতে আর্বিভাব হলো ফেরেস্তেহ এর বাবা। কিন্তু তাঁর কাছেও ফেরেস্তেহ এর ঠাই নেই। কারন ফেরেস্তেহ কে জেল থেকে বাচাঁতে হলে মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হবে।

এতো অর্থ ফেরেস্তেহ এর বাবার নেই। ফেরেস্তেহ এর বাবার শুধু আক্ষেপ সে তাঁর কন্যার পড়াশোনার জন্য সবকিছু করেছে। কিন্তু ফেরেস্তেহ এর কারনে তার মান সন্মান আজ ধুলোয় মাটি। সে ফেরেস্তেহ এর পড়াশোনা বন্দ করে দিতে চায়। দর্শক এখানে খুজে পাবেন একজন বাবার কাছে একজন মেয়ে হয়ে ফেরেস্তেহ আজ কতো অসহায়।

পরিবারের কাছেও কোনো সহায়তা পায়না ফেরেস্তেহ। মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়া যে পাপ ছবিটির এ অংশ দেখলে টের পাওয়া যায়। ফেরেস্তেহ এর জেল জীবন থেকে বাচাঁতে ছবিতে এগিয়ে আসে আহমেদ নামে এক বয়স্ক পুরুষ। আহমেদের বয়স ফেরেস্তেহ এর চাইতে প্রায় ৩ গুন বেশী। আহমেদের টাকার কারনে ফেরেস্তেহ জেল জীবন থেকে মুক্তি পেলেও মুক্তি পায়নি আহমেদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে।

কোর্টে বিচারে সেই বখাটের ১৩ বছর জেল হয়, সামান্য জরিমানা দিয়ে মুক্তি পায় ফেরেস্তেহ। কিন্তু মুক্তি পায়নি নিয়তি থেকে। আহমেদ বিয়ে করতে চায় ফেরেস্তেহ কে। ফেরেস্তেহ রাজি হতে চায় না কারন সে এখনও অপ্রাপ্ত বয়স্ক, তাছাড়া আহমেদের বয়স তার চাইতেও অনেক বেশী। ফেরেস্তেহ বাধ্য হয়ে কিছু শর্ত দিয়ে বিয়েতে রাজি হয়।

দর্শক কষ্ট পাবেন এই ভেবে যে - বোকা ফেরেস্তেহ!! আহমেদ কী ফেরেস্তেহ এর দেয়া শর্ত মানবে কারন এতো পুরুষ শাসিত সমাজ। হয়তো জীবনের সেরা ভুলটি করেছে ফেরেস্তেহ । এই ভুলের মাশুল জীবনে তিল তিল করে দিতে হবে ফেরেস্তেহ কে। বিয়ের আসরে ফেরেস্তেহ যখন সাইন করে তখন হয়তো ফেরেস্তেহ এর জীবনের নতুন অধ্যায় আসে। বিয়ের কিছু দিন পর ফেরেস্তেহ বুঝতে পারে কী ভুল করেছে এই সন্দেহবাজ উম্মাদটাকে বিয়ে করে যে প্রতি পদে পদে শুধু সন্দেহ করে।

আহমেদের নিষ্ঠুর কারাগারে বন্দি হয়ে যায় ফেরেস্তেহ যেখানে শুধু সন্দেহ, অবিশ্বাস। ফেরেস্তেহ তার বাবার বাড়ি চলে যায়, সে আর আহমেদের বাড়ি ফিরতে চায় না। ততোদিনে ফেরেস্তেহ এর কোল জুড়ে আসে তাঁর প্রথম সন্তান। প্রথম সন্তানের বছর পূর্ণ না হতেই দ্বিতীয় সন্তান। ফেরেস্তেহ আবারও বাচতে চায় আহমেদের সন্দেহের কারাগার থেকে যখন ফেরেস্তেহ এর বাবাও বুঝতে পারে বড় ভুল হয়ে গেছে কারন আহমেদ বদমেজাজি, সন্দেহবাজ।

ফেরেস্তেহ আবারও তাঁর বাবার সাথে ছুটে যায় কোর্টে, ডির্ভোস চায় কিন্তু আদালত ডির্ভোস দিতে নারাজ কারন আহমেদ মদ খায় না, জুয়া খেলে না, অত্যাচার করে না। ফেরেস্তেহ এর যেনো নিস্তার নেই, কোথায় সে পাবে ঠাই। আহমেদের কারাগার থেকে বাচাঁর আশায় ফেরেস্তেহ শুধু দৌড়াতে থাকে, দৌড়াতে থাকে কিন্তু পথ যে শেষ হতে চায় না। জীবনের পড়ন্ত বেলায় ফেরেস্তেহ বার বার বাচাঁর চেষ্টা করে কিন্তু সবই ব্যর্থ হয় যখন সে দেখতে পায় সেই বখাটে যুবক দাড়িয়ে আছে প্রতিশোধ নেবার আশায়। শেষবার বাচার চেষ্টা করেও ফেরেস্তেহ যখন ব্যর্থ হয় তখন সে মাটিতে বসে পড়ে, মুখোমুখি হয় সে বখাটের।

সেই বখাটে তার পকেট থেকে ছুরি বের করে বলে আমি তোমাকে বিয়ে করতে চেয়ে ছিলাম, কিন্তু তুমি আমার জীবন শেষ করেছো .........। ফেরেস্তেহ বলে - আমিও চেয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে শিক্ষিত হবো, চাকরি করবো। কিন্তু তোমরা আমাকে দাওনি। ফেরেস্তেহ কে খুঁজতে ছুটে আসে আহমেদ। কিন্তু এখানেও যে সেই পুরোনো শকুন।

ফেরেস্তেহ কে বাচাঁতে আহমেদ কৌশল নিলেও সেই বখাটের ছুরির আঘাতে আহমেদ মারাত্বক ভাবে আহত হয়, মৃত্যুর মুখোমুখি । ছবিতে দর্শক দেখতে পাবেন -আহমাদের মৃত্যু খবর যখন ফোনে রয়া শোনে তখন ফেরেস্তেহ বুঝতে পারে আহমেদ মারা গেছে। ফেরেস্তেহ রয়াকে প্রশণ করে - রয়া আমি এখন কি করবো? রয়ার হাজব্যান্ড বলে তোমাকে বাচঁতে হবে। ফেরেস্তেহ বলে - কে আমার বাচ্চাদের দেখবে? ফেরেস্তেহ বলতে থাকে - একজন হাজতি যেমন জেলারকে ভালবাসে আমিও আহমেদের জেলে থেকে তাকে ভালবেসেছিলাম। ফেরেস্তেহ বলে - আমার এখন বসে থাকার সময় নেই, আমাকে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে, কম্পিউটার শিখতে হবে, সেলাই শিখতে হবে।

আমি পারবো, আমি আবারও নতুন করে সব কিছু শুরু করবো। ফেরেস্তেহ এর আগ্রহ দেখে দর্শক কিছুটা সুখ অনুভব করলেও মনের ভিতওে জমা থাকে ফেরেস্তেহ এর জন্য কষ্ট। এই বয়সে মেয়েটা বিধোবা হয়ে গেলো। দর্শক হয়তো ছবিটি দেখে বলবেন এতো আমাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া কোনো এক বাঙ্গালী মেয়ের জীবনের এক গল্প। চিত্রনাট্য ও পরিচালনায়: তাহামিনা মিলানি সময়: ৯৫ মিনিট, অভিনয়ে: ফেরেস্তেহঃ নিকি করিমি রয়াঃ মারিলা জারেই আহমেদঃ আতিলা পেসিয়াম বখাটে যুবকঃ মোহাম্মদ রেজা ফরুতান রয়ার হাজব্যান্ডঃ হাসান জোহারর্সি ৩৫ মিমি, কালার ১৯৯৮


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.