নিপুণ লেখনির শাণিত গর্জন...লিখব আজ নিপুণ কথন ..
দিনটা আশানুরুপ গেলো না । কোথায় ভেবেছিলাম আজ ভাগ্যটা সহায় হবে, অনার্স এর শেষ পরীক্ষাটা (ভাইভা) ভালো দেবো, কতকিছু পারবো! কিন্তু জানা প্রশ্নের উত্তরটাও কেন যেন বলতে পারছিলাম না । তারপরেও খুব একটা খারাপ হয়নি । সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিঃ আমার ডিপার্টমেন্টের স্যারেরা যে আমার লেখা পত্রিকায়, ব্লগে বা ফেসবুকে পড়েন এটা আমি জানলেও সত্যি বলতে কি, এতটা জানতাম না । ভাইভার শেষে সবাই (এক্সটারনাল স্যারসহ) যখন লেখার প্রশংসা করে লেখালেখি চালিয়ে যেতে বললেন, খুব ভালো লাগলো ।
বললেন, "এবার ফিজিক্স নিয়েও কিছু লেখো!" সে ইচ্ছে ব্যক্ত করে গুরুজনদের আশীর্বাদ সাথে নিয়েই ভাইভা বোর্ড ছাড়লাম । কিন্তু, ভাইভাটা আরেকটু ভালো দিলে মনে যে শান্তিটা পাওয়া যেত তা পেলাম না । কেন যেন ভাইভায় সব গুলিয়ে যায়! যেসব জায়গা থেকে ভালো পারি সেখান থেকে প্রশ্নই হয়না!
একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যাই । সকালের হল থেকে ভাইভা দিতে বের হয়ে ঝুম বৃষ্টিতে পুরদস্তুর ভিজে গেলাম । বৃষ্টি আমার সবসময়েই খুব পছন্দের ।
তাই বলে যে আজই ভিজতে হবে তাও ভাইভার পোশাকে, সেটা ভাবিনি । ছাতা ছিলনা, ভেবেছিলাম হলের গেটেই রিক্সা পাবো । কিন্তু অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থেকেও যখন পেলাম না, তখন ভিজতে ভিজতেই রওনা দিলাম । শহীদ মিনারের সামনে একটা রিকশাওয়ালাকে অনেক অনুনয়-বিনয় করে বাড়িয়ে দেবো বলে উঠে পড়লাম । শহিদুল্লাহ হলে নামলাম ।
উদ্দেশ্য পোশাক পরিবর্তন । বন্ধুর রুমে গিয়ে গা মুছে একটা ছাতা নিয়ে রওনা দিলাম ডিপার্টমেন্টের উদ্দেশ্যে । তারপর আর কি! যা হওয়ার ছিল তাই হল । ভাইভা দিয়ে বের হয়ে ডিপার্টমেন্টের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের নিলামে অংশ নিলাম এবং সারাদিন পর বিকেল ৪ টার পর কিছু খাওয়ার সুযোগ হল! হলে ফিরেই দিলাম ঘুম । এক ঘুমে রাত ৯ টা ।
৩ মাসেরও বেশী সময় ধরে বাড়ি যাইনা । মা ওদিকে পথ চেয়ে বসে আছে । তাঁর যক্ষের ধন বলে কথা!
"মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মুখে ঝরে
মাকে মনে পড়ে আমার
মাকে মনে পড়ে!" ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।