পিনপতন নিস্তধ্বতা
গত ৮০ বছরের মধ্যে পাকিস্তানের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় মানুষজন গৃহহারা হয়েছে। অথচ দেশের প্রেসিডেন্ট এই বিপদে জনগনের পাশে নেই। আসিফ আলী জারদারি এখন ব্রিটেনে বন্যার্তদের সাহার্য্যার্থে তহবিল সংগ্রহ করছেন, এরপর তার ইচ্ছে রয়েছে ইউরোপ সফরের। জারদারির এই ভূমিকা পাকিস্তান এবং পাকিস্তানের বাইরে ব্যপাকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই বন্যায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
লাখ লাখ মানুষ খোলা আকাশের নিচে বাস করছে, ভেসে গেছে জমির ফসল, গুহপালিত পশু। দেশের সংকটে জারদারির ভূমিকার পাশাপাশি আরেক গুরুত্বপূর্ণ পক্ষও জনগনের পাশে এসে দাড়িয়েছে, যারা পাকিস্তানের রাজনীতিতে সুযোগসন্ধানী এক শক্তি। আর তারা হলেন পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সিন্ধু প্রদেশে নৌবাহিনী তাদের উদ্ধঅরকার্য শুরু করে দিয়েছে। অসহায় জনগনকে উদ্ধারে পুরোদমে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
ফলে তারাই বর্তমানে দেশের জনগনের নিকটজন।
জারদারির ভূমিকার সমালোচনার পাশাপাশি অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক সশস্ত্র বাহিনীর এই ভূমিকাকে জারদারির ইমেজের জন্য ক্ষতিকর বলছেন। যার চাক্ষুষ প্রমান তো পাওয়াই যাচ্ছে। প্রথমে জারদারির সফরের বিরোধিতা করে ব্রিটেনের পাকিস্তানিরা শুধুমাত্র প্ল্যাকার্ড নিয়ে সমাবেশ করেছে, যা শেষ পর্যন্ত জারদারির প্রতি জুতা ছুড়ে মারা পর্যন্ত গড়িয়েছে। জারদারির এই সফরকে সর্থন করছেননা তার ছেলে এবং বিলাওয়াল ভূট্টো জারদারিও।
ফলে সবকিছু মিলিয়ে দেশের দূর্দিনে রাষ্ট্রপ্রধানের এই সফর পাকিস্তানের মানুষকে পুরোপুরি অসহায় করে তুলেছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমা মিডিয়া এবং কূটনীতিকরা পাকিস্তানকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রমান করতে অনেকদূর এগিয়েছেন। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বন্যা এবং জারদারির এই ভূমিকা হয়তো পাকিস্তানকে আরেকটি সামরিক অভ্যূত্থানের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।