"ধর্মীয় কুসংস্কারে যারা আবদ্ধ তারা সব সময়েই দরিদ্র থাকে। "
গত ০৩ আগস্ট ২০১০খ্রি: তারিখে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স এর সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আইসিটি বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নামে নতুন একটি মন্ত্রণালয় গঠন করার বিষয়ে তাঁর সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছেন বলে বিভিন্ন মিডিয়া মারফত আমরা জানতে পারলাম। তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে সারাদেশে আইসিটি সম্প্রসারনের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। বর্তমান আইটি বিশ্বে আইসিটি মন্ত্রণালয় থাকার গুরুত্ব অনেক।
এর ফলে দেশের আইটি খাত আরও চাঙ্গা হবে। বিদেশের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সাদৃশ্য থাকায় আইটি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও বাড়বে বলে আশা করি। ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে হাতে নেওয়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজের মধ্যে এখনো পর্যন্ত কোনো সমন্বয় নেই। একেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একেকভাবে কাজ করছে। এক মন্ত্রণালয়ের কাজ সম্পর্কে জানে না অন্য মন্ত্রণালয়।
সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এ জন্য একযোগে কাজ করা প্রয়োজন। বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা-২০০৯ এর ৩০৬টি করণীয় বিষয় এর মধ্যে ক্রমিক নম্বর ৯৬ এর নির্দেশনা অনুযায়ী স্বল্প(১৮ মাস বা তার কম সময়), মধ্য(৫ বছর বা তার কম সময়) ও দীর্ঘ(১০ বছর বা তার কম সময়) মেয়াদে যেহেতু সরকারী পর্যায়ের সকল প্রতিষ্ঠানে আইসিটি পেশাজীবী দ্বারা আইসিটি সেল স্থাপন করা হবে, তাই সরকার চাইলে সহজেই আইসিটি সংশ্লিষ্ট কোন উন্নয়ন (সফটওয়ার/হার্ডওয়ার সংশ্লিষ্ট) করার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে পারে। সেমোতাবেক উক্ত মন্ত্রণালয় একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে সমন্বয় সাধণের লক্ষ্যে এবং একইসাথে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/জেলা/উপজেলা তথা মাঠ পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে সর্বস্তরে বিদ্যমান আইসিটি পেশাজীবিদের নিয়োগ/পদন্নোতি/পদায়ন/বদলী ও সমন্বয় সাধনের কাজ একক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সম্পাদন করা যাবে। এই মন্ত্রণালয় দুই/তিন বছরের মাথায় বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি বাস্তবায়নের চেহারা পাল্টে দিতে পারে। সারাদেশের মানুষ তাকিয়ে দেখবে কিভাবে পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট।
আপাতঃদৃষ্টিতে পরিবর্তণকে বাধা মনে হলেও, যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারলে পরিবর্তণকে আলিঙ্গন করে নেবে সবাই। অতএব বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে তরিত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জ্ঞাপণ করছি, যা বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত সংস্কার গুলোর অন্যতম একটি হিসেবে স্থান পাবে বলে আশা করি। আমরা সবাই মিলিত হই জীবনের প্রতিক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি বাস্তবায়নের মহামিছিলে! আমরা বিজয়ী হবই, ইনশাআল্লাহ্।
লেখকঃ মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রোগ্রামার, আইএমইডি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ঢাকা, ই-মেইলঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।