পড়াশুনার ব্যয়ভার বহনে নিজের কুমারিত্ব বিক্রি করেছেন এক হাঙ্গেরিয়ান কিশোরী। ইন্টারনেটে পণ্য বেচাকেনার ওয়েবসাইট ই-বে এর মাধ্যমে নিলাম ডাকলে একজন ব্রিটিশ ক্রেতা ২০ লাখ পাউন্ড মূল্যে তা কিনে নেন। নিলাম সাইটটিতে মূল্য স্থিরের পর ই-মেইলের মাধ্যমে ক্রেতা ও কিশোরীর মধ্যে লেনদেনের কাজটি চলে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সান এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। ১৮ বছর বয়সি মেয়েটি নিজেকে মিস স্প্রিং (মিস বসন্ত) নামে উল্লেখ করে।
শিগগির সে ইংল্যান্ড আসছে বলে মেইল বার্তায় ট্যাবলয়েডটিকে জানায়। ডাক্তার হওয়ার সোনালি স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সে তার পরিবারকে সাহায্য করতে চায়। কিন্তু পরিবারের অর্থনৈতিক দীনতা স্বপ্ন পূরণে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কারণ, তার পরিবার ইতিমধ্যে অনেক অর্থ ঋণ করে ফেলেছে। মেইল বার্তায় মেয়েটি বলে, আমার মা সুইস ফ্রাঙ্কস কারেন্সিতে অনেক টাকা ধার করেছিলেন।
সম্প্রতি হাঙ্গেরির ব্যাংকগুলোতে ঋণ প্রবাহ কমে যাওয়ায় সেই ঋণের টাকা সুদাসলে হাঙ্গেরিয়ান ফরিন্টস-এ প্রায় তিনগুণ হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তার পক্ষে পরিশোধ করা কোনক্রমেই সম্ভব নয়। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, শেষ আশ্রয়টুকুও হারাতে বসেছি আমরা। আমি সবসময় চাইতাম যদি ঋণের টাকা শোধ করতে পারতাম। আর হঠাৎ করেই অনলাইনে নিলামের আইডিয়াটা আমার মাথায় আসে।
যে পরিমাণ অর্থ আমি পাব তার প্রায় অর্ধেকই যাবে কর দিতে। তবে ঋণ পরিশোধের জন্য এটা যথেষ্ট।
স্প্রিং আরো জানায়, দুইজন লোকের সাথে তার চুক্তি হয়েছিল। একজন আইরিশ ও অপরজন ব্রিটিশ। তবে ব্রিটিশ লোকটি তার প্রতি গভীর সমবেদনা জানানোয় সে ক্রেতা হিসেবে তাকেই বেছে নেয়।
দুজনেই আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমার ও আমার পরিবারের প্রতি যত্নশীল হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে বিয়ের বিষয়টি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিয়ে করা বা একজনের সাথে বসবাস করা আমার কাছে একটি চ্যালেঞ্জ বলেই মনে হয়। তবে এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই, আর আমি ওরকম কোন সম্পর্কে যেতে প্রস্তুতও নই।
অবশ্য, আয়ারল্যান্ড অথবা ইংল্যান্ড যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না। সুতরাং শেষ পর্যন্ত কি করব জানি না।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে অধ্যয়নরত এক কিশোরী ইন্টারনেটে নিলামে তার কুমারিত্ব বিক্রি করেছিল ২০ হাজার পাউন্ডে।
শীর্ষ নিউজ ডটকম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।