সুস্থবিজ্ঞানের চর্চা করতে চাই
পড়াশুনা করার জন্য অনেক অনেক পদ্ধতি পালন করে থাকে। তা কতটুকু বৈজ্ঞানিক তা কি কখন চিন্তা করেছি। আমাদের বাংলাদেশিদের পড়াশুনা হয় পরীক্ষা পাসের জন্য। অথচ আসল পড়াশুনার মানে হচ্ছে যে বিষয়ে পড়ছি তার অনুভুতি নেওয়া। হ্যা ওইটাই পড়াশুনা।
যাক এ প্যাচলে নাই বা গেলাম। আজ আমার লেখা উদ্দেশ্য হচ্ছে পড়াশুনা বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে।
একটা কথা আগেই বলে রাখি যারা না বুঝে মুখস্ত করে পড়াশুনা করে তাদের জন্য এ টিপস গুলো কোনো কাজে আসবে না।
(সর্তকতা: এই গবেষনাটি পরিচালিত হয়েছিল আমার উপর এবং আমিই এর গবেষক। তাই পড়ার এই পদ্ধতি গুলো মানার আগে একটু চর্চা করে নিতে পারেন।
)
আমার মতে পড়াশুনা করার পদ্ধতি চারটি। এগুলো হল:
১। সারাংশ বা রিভিউ(Review technique) পদ্ধতি
২। প্রশ্নউওর পদ্ধতি(Question & Answer Technique)
৩। বিস্তারিত পদ্ধতি(Detail Techinque)
৪।
মিশ্র পদ্ধতি(Mixing Technique)
এবার আমি এই পদ্ধতি গুলোর ধাপ গুলো বনর্না করব।
১। সারাংশ বা রিভিউ পদ্ধতি:
ক) একটি বিষয় বা চ্যাপ্টার নির্ধারন করুন তা ২-৩ বার পড়ে ফেলুন।
খ)পড়ার পর যা কিছু বুঝলেন তার সারাংশ টুকু মনের মত করে লিখে ফেলুন বা বলুন।
২।
প্রশ্নউওর পদ্ধতি:
ক) পড়ুন,বুঝন একটি নিদিষ্ট বিষয়ে।
খ) মনে যে প্রশ্ন আসে সেগুলো অবলীলায় লিখে ফেলুন তা যত খারাপ ই হোক না কেন। প্রয়োজনে অন্যের সাহায্য নিতে পারেন।
গ) উওর গুলো বের করে(যেখান থেকে সম্ভব) ফেলুন আর তা সাজিয়ে লিখে ফেলুন না একটি খাতায়।
৩।
বিস্তারিত পদ্ধতি:
ক) বিষয় টি একবার মন দিয়ে পড়ুন।
খ) গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলো আলাদা করে লিখে ফেলুন ।
গ) এই গুরুত্বপূর্ন বিষয় গুলো প্রত্যেকটি আলাদ আলাদ ভাবে জানার চেষ্টা করুন। ।
ঘ) বিষয়টি বাস্তবতার নিরিখে বিচার করে ফেলুন(বাস্তবে বিষটি কেমন তা মনে মনে এঁকে ফেলুন।
ঙ) বিষয়টি দিয়ে আর কি কি করা যায় তা নির্ধারন করে ফেলুন।
৪। মিশ্র পদ্ধতি:
নাম শুনেই বুঝতে পারছেন উপরে তিন টি পদ্ধতি থেকে আপনার প্রয়োজন মত কিছু প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরী করে ফেলুন নিজের পদ্ধতিটি, এটিই হবে মিশ্র পদ্ধতি।
চিন্তা করুন নিজের পড়াশুনার পদ্ধতি নিয়ে। তাতেই আপনার পড়াশুনার পদ্ধতি গত ভুল গুলো ধরা পড়বে।
পরবর্তিতে এগুলো সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করব। একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন চেষ্টা করলেই পার পারবেন”।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।