لا إله إلا الله محمد رسول الله
দুনিয়াতে কোন মানুষ চায়না ইচ্ছকৃত কাউকে হত্যা করতে বা কাউকে মৃত্যুর মূখে ঠেলে দিতে। সম্মূর্ণ মনের ইচ্ছায় এক সাথে শত শত মানুষকে মৃত্যুর মূখে ঠেলে দেবার প্রশ্ন তো অকল্পনীয়। তার পরও দুনিয়াতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় তার ফল হয় খুবই করুণ ও মর্মান্তিক। আর এই মর্মান্তিক ঘটনার নাম র্দুঘটনা। আর অসহাযের মত নীরবে মেনে নিতে হয় এই মর্মান্তিক র্দুঘটনার মর্মান্তিক ফল ।
সাধারণত র্দুঘটনা ২ ভাবে ঘটতে পারে। যেমন-
১) অবহেলার কারণে।
২) সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক কারণে।
অবহেলাজনিত র্দুঘটনা কোন অবস্থায় সমর্তন যোগ্য নয়।
অপর দিকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক র্দুঘটনা আমাদের নিয়তি হিসাবে মেনে নেওযা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
সাম্প্রতিক সাভারে যে র্দুঘটনা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ অবহেলা জনিত।
এই রকম অবহেলার কারণে আমাদের দেশে প্রচুর মর্মান্তিক র্দুঘটনা ঘটেছে , প্রচুর প্রাণাহনিও ঘটেছে। এবং নিয়মিত এই অবহেলা জনিত র্দুঘটনা ঘটই চলতেছে প্রতিনিয়ত।
আর অবহেলা জনিত যে সব র্দুঘটনা ঘটে তা মানুষেই জড়ীত। আর প্রতিটি মানুষের একটি রাজনৈতিক পরিচয় থাকে এবং এটা স্বাভাবিক।
স্বাভাবিক ভাবে একটি মানুষের দায়িত্ব হলো যখন অন্য কোন মানুষ বিপদে পড়ে তাকে উদ্ধার করা ও সহায়তা করা।
কিন্তু খুবই দুঃখের ও পরিতাপের বিষয় সাভারে ভবন ধ্বসের সাথে সাথে আমাদের দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা চেষ্টা করতেছে এই সাভারের ভবন বিধ্বস্ত হতে কিছু রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করা যায় কিনা।
সাভার ট্রেজেডির পর আমাদের শীর্ষ রাজনৈকি ব্যাক্তিদের কিছু বক্তব্য।
১) র্দুঘটনার উদ্ধার কাজে অংশ গ্রহণের আহ্বাণ না জানিয়ে শুরুতে এম কে আনোয়ার ঐ রানা ফ্লাজার মালিকের রাজনৈতিক পরিচয় খুজতে ব্যস্ত হয়েপড়েন।
২) এম কে আনোয়ার - আর একটা ঝাঁকি দিলে ক্ষমতা থেকে পড়ে যাবেন।
’
৩) এম কে আনোয়ার -‘পরিকল্পিতভাবে সরকারি দলের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
৪) এম কে আনোয়ার - ‘আল্লার গজব নেমে এসেছে। মানুষের সঙ্গে আপনারা প্রতারণা করেছেন। আপনাদের পাপে নিষ্পাপ মানুষগুলো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।
-এম, কে আনোয়ারের পূর্ণ বক্তব্যটি পড়ুন
আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও মহিউদ্দীন খান আলমগীর এম কে আনোয়ারের সাথে সুর মিলিয়ে বললেন।
১) হরতাল বলবত্কারীরা তাঁদের তথাকথিত হরতাল বলবত্করণের লক্ষ্যে সেই ইমারত প্রাঙ্গণের ফটকসংবলিত কলামে ধাক্কাধাক্কি করেছিলেন, সেটা তাঁরা না করলেও পারতেন। ’
স্বরাষ্ট মন্ত্রীর পূর্ণ বক্তব্য - Click This Link
দুই জনের এই রকম শিশুসুলভ বক্তব্য খুবই দুঃক জনক ।
আমি মনে করি র্দুঘটনার পর পর রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে শুরুতে এম, কে আনোয়ারের বক্তব্যটি।
র্দুঘটনারটির পর পর সাংবাদিক সম্মেলনে এম,কে আনোয়ার এ ভবনের মালিকের রাজনৈতিক পরিচয় খুজতে গিয়ে ও তা মিডিয়ায় প্রচার করতে গিয়ে।
বি,এন,পির নেতা ও সমর্তকদের কাছে প্রশ্ন -
১) সর্বপ্রথম উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া জরুরী নাকি রাজনৈতিক উষ্কানি মূলক বক্তব্য ও মন্তব্য কারা জরুরী।
২) রানা প্লাজা নির্মিত হয়েছিল ২০৬/২০০৭ সালে, তখন তো এই আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় ছিলনা, তা হলে এর দায় কার উপর পড়ে?
৩) এই রানা প্লাজার মালিক ( কাগজে পত্রে ও দলিলের হিসাব অনুসারে রানার বাবা) রানার বাবাকে কেন গ্রাফতারে দাবী করতেছে না ?
৪) বেগম জিয়া কেন ঘটনা স্থালে গেলেন ? লোক দেখাতে নাকি উদ্ধার করতে?
৫) বেগম জিয়া পরে গেলেও পারতেন , শুনেছি খালেদা জিয়া যতক্ষণ ঘটনা স্থলে অবস্থান করতেছিল ততক্ষন উদ্ধার কাজ অনেকটা স্লো হয়ে য়ায়। এটা তামাশা নয় কি?
৬) সরকার ও প্রশাসন বার বার ঘোষণা দিচ্ছে রানাকে গ্রাফতার করা হবে ও উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে, এবং ইতি মধ্যে আইনশৃঙ্কলা বাহিনী রানাকে গ্রাফতারের কর্যক্রম শুরু করে দিয়েছে, তার পরও কেন বি,এন,পি উদ্ধার করার কাজে সহায়তা না করে রাজনৈতিক উষ্কানী মুলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন?
সর্বশেষ বি,এন,পির নেতা নেত্রী ও কর্মী সমর্তদের কাছে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রেখে গেলাম।
২০০৯ সালের ২৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে এমভি কোকো-৪ নামের লঞ্চটি নাজিরপুর ঘাটের মাত্র ২০ গজ দুরে তেতুলিয়া নদীতে ডুবে যায়। যার মালিক ছিল খালেদা জিয়ার ছেলে আরফাত রহমান আর এই লঞ্চটির পরিচায়নায় ছিলেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। ঐ কোকো - ৪ লঞ্চটির দুর্ঘনায় প্রায় ১৫০ লোক মারা যায়।
এর দায়িত্ব কে নিবে?
তারেক রহমান ও আরফাত রহমানের মালিকানাধীন লঞ্চ ডুবি ও ১৫০ জন মানুষের মৃতূর খবরটি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।