স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “রানা প্লাজা নির্মাণের অনুমোদন প্রক্রিয়া পৌরসভার মাধ্যমে হয়েছে, যেটি সঠিক ছিল না। আর গত ২৩ এপ্রিল ভবনে ফাটল ধরার পর পৌর কর্তৃপক্ষ সেটি সিলগালা করেনি। এ দুটি কারণেই পৌরমেয়রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ”
সাভার পৌর বিএনপির সভাপতি রেফাতউল্লাহ ১৯৯৯ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন।
তার সময়েই রানা প্লাজার ‘সব কিছু’ হয় বলে মন্তব্য করেন সচিব।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য পৌর মেয়র রেফাতউল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গত ২৪ এপ্রিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রানা প্লাজা ধসে চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক।
রানা প্লাজার পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানায় প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। আগের দিন ভবনটিতে ফাটল দেখা দিলেও পরদিন ভয়-ভীতি দেখিয়ে সেখানে কাজ করতে বাধ্য করা হয় বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন।
জলাশয় ভরাট করে নির্মিত নয়তলা রানা প্লাজার নির্মাণে ত্রুটি ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে প্রকৌশলীদের। প্রথমে ছয় তলার অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ করলেও পরে নিয়ম ভেঙে পৌর কর্তপক্ষের কাছ থেকে ওপরে আরো চার তলা করার অনুমোদন পান ভবন মালিক কথিত যুবলীগ নেতা সোহেল রানা।
ধসের ঘটনার পর রানা এবং ওই ভবনে থাকা পাঁচ পোশাক কারখানার চার মালিকসহ সাভার পৌরসভার দুই প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।