আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুরবানি সংক্রান্ত রিট সরাসরি খারিজ , দেব নারায়ন মানসিক রোগী ছিলেন

এলোমেলো ভাবনা সারাক্ষণ মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে

কুরবানি সংক্রান্ত রিট সরাসরি খারিজ রিপোর্টার-- হিরা তালুকদার---- আমাদের সময় পত্রিকা পবিত্র কোরআনে হযরত ইব্রাহিম (আ তার পুত্র ইসমাইলকে নয়, অন্য পুত্র ইসহাককে কুরবানি করতে চেয়েছিলেন ------- এমন দাবি করে করা রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ (সামারিলি রিজেক্টেড) করে দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিভ্রান্তিমূলক এ রিট করে আদালতের সময় নষ্ট করার অভিযোগে রিটকারি দেব নারায়ন মহেশ্বরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আদালতের আদেশের পরে মারমুখি জনতার হাত থেকে পুলিশ রিট আবেদনকরিকে বাঁচাতে পেছনের দরজা দিয়ে বের করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। হযরত ইব্রাহীম (আ তার পুত্র ইসহাককে কুরবানি করতে চেয়েছিলেন ,,, এমন তথ্য প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চতর শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বইতে সংযোজনের জন্য হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেছিলেন বিশ্ব শান্তি পরিষদের চেয়ারম্যান দেব নারায়ন মহেশ্বর। ওই আবেদনটি গতকাল বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সরাসরি খারিজ করে রিটকারিকে জরিমানা করেন।

মহেশ্বর নিজেই আদালতে তার মামলা পরিচালনা করেন। আদলতে এমিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ বি এম নুরুল ইসলাম, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, শ ম রেজাউল করিম, বদরুদ্দোজা বাদল, মুরাদ রেজাসহ ১৬ জন । তারা মাওলানা আকরাম খা, বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন ও বিখ্যাত জার্মান পন্ডিত মো: আসাদের করা পরিত্র কোরআনের অনুবাদ ও তাফসির থেকে বিস্তারিত তথ্য ও যুক্তি উপস্থাপন করেন। যাতে বলা হয়, আল কোরআনেই আছে হযরত ইব্রাহীম (আ আল্লাহর নির্দেশে তার পুত্র ইসমাইলকেই কুরবানি করতে চেয়েছিন, ইসহাককে নয়। তাই এ ধরণের রিট বিভ্রান্তিমূলক।

ধর্মীয় এসব বিষয়ে সবার সতর্ক থাকা উচিত। শুনানির সময় আদালতের ভেতর আইনজীবী ও উতসুক সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আদালতের বাইওে ছিল কয়েক শত মারমুখি জনতা। তারা ইসলাম ধর্মে বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রচেষ্টার জন্য মহেশ্বরের শাস্তি দাবি করেন। কয়েকজন আইজীবী বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেশী বা বিদেশী কোন চক্র মহেশ্বরকে দিয়ে এ ধরণের কাজ করিয়ে থাকতে পারে।

দেব নারায়ন মানসিক রোগী ছিলেন ,,,,,,,,পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ রিপোর্টার -- শাহজাহান আকন্দ শুভ --- আমাদের সময় পত্রিকা হযরত ইসমাইল (আ কে কুরবানি করা নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়েরকারী দেব নারায়ণকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রিট করার পেছনে কোন ষড়যন্ত্র থাকার কথা অস্বীকার করেন। দেব নারায়ন বলেছেন, তিনি ৯৯ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত মানসিক রোগী ছিলেন। এসময় টাঙ্গাইলের একটি মাজারে দুই বছর কাটান। বর্তমানে কদমতল ী থানা এলাকায় শুভ বিদ্যা নিকেতনের ইংরেজীর শিক্ষক।

পুলিশ দেব নারায়ণের ওপর যেকোন ধরণের হামলা রোধে তার নিরাপত্তা বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের এডিসি নুরুল ইসলাম। গতকাল দেব নারায়ণের রিট খারিজ করে দেয়ার পর জনতার রোষানল থেকে রক্ষায় তাকে কড়া পুলিশ পাহারায় হাইকোর্ট থেকে বের করে আনে পুলিশ। রমনা জোনের এডিসি নুরুল ইসলাম তাকে রিট দায়েরের বিষয়সহ জীবন বৃত্তান্ত সম্পর্কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে দেব নারায়ণ জানিয়েছেন, তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার গোলখালী ইউনিয়নের গোলখালী গ্রামে। বাবার নাম বিক্রমেশ্বর।

মা-বাবা বেঁচে নেই। ৭৮ সালে এসএসসি পাশ করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে নন কমিশনড আিফসার হিসেবে ভর্তিও হন। কিন্তু সেখানে বেশি দিন চাকরি করেননি। এরপর শুরু করেন ব্যাবসা।

ছোটবেলা থেকেই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন। আবু বকর সিদ্দিক নামে কোথাও কোথাও নিজের পরিচয়ও দেন। সুপ্রিম কোর্টের একজন এডভোকেট তাকে রিট দায়েরের বিষয়ে সহায়তা করেন বলে তিনি জানিয়েছেন। গত নভেম্বরে নমিতা নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেন দেব নারায়ণ। কিন্তু এপ্রিল থেকে স্ত্রী তার সঙ্গে থাকছেন না।

এডিসি (রমনা) নুরুল ইসলাম বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের পর দেব নারায়ণকে ছেড়ে দেয়া হয়। আমি সরাসরি পত্রিকা হতে বিষয়টি তুলে ধরলাম। কারণ সকালে একটি পোস্টে দেখলাম দেব নারায়ণ মুসলমান এবং তিনি হিন্দু নাম ব্যবহার করে এ ধরণের কাজ করছেন। আসলে কোন তথ্য সঠিকভাবে না জেনে বলা উচিত নয়। যাই হোক এদেশে সকল ধর্মের লোক ধর্ম পালন করবে স্বাধীনভাবে, কোন লোক যাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে এবং এনিয়ে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি নষ্ট না হয় এব্যাপারে সকলেরই দৃষ্টি রাখা উচিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.