আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুধু পশু নয়, পশুত্বেরও কুরবানি প্রয়োজন

ঈদ মোবারক! ঈদ মোবারক!! ঈদ মোবারক!!! আজ ঈদ, ঈদ উল আযহা। কুরবানি দেয়ার দিন। কুরবানি মানে নৈকট্য। মানুষ কুরবানির মাধ্যমে আল্লাহরব নৈকট্য লাভের সুযোগ পায়। কুরবানির শিক্ষা হচ্ছে ত্যাগ।

ত্যাগের শিক্ষা দিতে প্রতি বছরই এই ঈদ আসে। আমরা কুরবানি দেই। আমরা গরু খাই। খাসি খাই। পকেটের পয়সার মায়া ত্যাগ করি কিন্তু আসল কাজ, ত্যাগের শিক্ষাটা কি গ্রহণ করি? আজ ছিলো পশু কুরবানি দেয়ার দিন।

গরু, খাসি, মহিষ, সাধ্যানুযায়ী সকলেই কুরবানি দিয়েছেন। অনেকেই কুরবানি দিতে পারেননি । তাদের সাধ্য ছিলো না বলে। যারা দিতে পেরেছেন, তারা যদি তাদের কুরবানির মাংস ডীপ ফ্রিজের গলা পর্যন্ত জ্যাম করে না রেখে বিলিয়ে দেন এদের মাঝে, অনেক দিন হলো যাদের এক টুকরো মাংস খাওয়া হয়নি, তাহলেই বলা যাবে এবারের ঈদ আমরা সাফল্যের সাথেই কাটাতে পেরেছি। আমরা মানুষ।

আমাদের ভেতরে পাঁচটি আত্মার প্রভাব ক্রিয়াশীল। মানবাত্মা, পরমাত্মা, পশুর আত্মা, ফেরেশতার আত্মা, হিংস্র আত্মা। পশুর আত্মা, মানে পশু সুলভ আচরণের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখতে চায়। তাকে হিংস্র হতে উদ্বু্দ্ধ করে হিংস্র আত্মা। পরমাত্মা সেটা পছন্দ করতে চায় না বলে বার্তা পাঠায় মানবাত্মার কাছে।

মানবাত্মা বাধা দেয়। ভেতরে থাকা ফেরেশতার আত্মার প্রচেষ্টা যুক্ত হয় সাথে। তখন মানুষ মানবিক আচরণ করে। কিন্তু কখনো কখনো পশুর আত্মা বা হিংস্র আত্মা জয়ী হয়ে যায়। তখন মানুষের আচরণ আর পশুদের আচরণে আর কোনো ব্যবধান থাকে না।

সে জন্য সবচে' বেশি প্রয়োজন আমাদের ভেতরের পশুগুলোকে কুরবানি দেয়া। আজ আমরা কেউ পশু কুরবানি করেছি। কেউ পারিনি। চলুন, একটি কুরবানি সকলে স্বতঃস্ফুর্তভাবেই করি। এবারের ঈদে আমরা আমাদের ভেতরের পশুগুলোকেও কুরবানি করে ফেলি।

আর বলি- কুরবানি করেছি আমরা পশু ছিলো বন্য মনের পশু করবো জবাই মানবতার জন্য ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.