স্বপনের সমাধি খোঁড়া এ জীবন ... মনের গোপন ঘরে যে শ্বাপদ ঘর করে তাকেই লালন করে চলা এ জীবন!
স্কুলের কোন এক ক্লাশের পাঠ্য বইয়ে পড়েছিলাম- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে আমেরিকার আনবিক বোমা হামলার সেই লোমহর্ষক বর্ণনা! তখন থেকেই ঘটনাটা আমাকে দারুণ ভাবে নাড়া দেয়। এই দিনটি আমাদের দেশে এখনো যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে স্বরণ করা হয়ে থাকে। প্রতিবারের মতো আজও বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো পত্রিকা দিনটি স্বরণ করে নিউজ দিয়েছে।
আজ সেই ৬ই আগস্ট, তাই সকাল থেকেই উৎসুক ছিলাম এদের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য। কিন্তু আমি খুবই অবাক হয়েছি-এদের ব্যবহারে, কথাবার্তা, আলাপ-আলোচনায় কোথাও তার প্রভাব নেই। এত তাড়াতাড়ি এরা সব কিছু ভুলে গেল কিভাবে! জাপানের রাস্তায় চলার সময় এখনও প্রচুর প্রতিবন্ধী দেখা যায়, যার অধিকংশের কারনই সেই আনবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তার সুদুর প্রসারি প্রভাব।
শুনেছি, জাপানীজরা নাকি তাদের নতুন প্রজন্মকে এমন কিছু শেখাতে চায়না যাতে তারা আমেরিকাকে ঘৃনা করে। অনেক তরুণ-তরুনী নাকি ঐ ঘটনাটা ভালোভাবে জানেই না। তখন বিশ্বাস করিনি, আজ আর না করে পারছি না। হিরোশিমা দিবসে এবার আমেরিকার প্রতিনিধি আসছে, এটাতেই আপ্লুত জাপান!!
দেখুন জাপানের অন্যতম ইংরেজী পত্রিকাগুলোর আজকের প্রথম পেজ!
“The Japan Times” http://www.japantimes.co.jp/
"The Daily Yomiuri" http://www.yomiuri.co.jp/dy/
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।