আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এমএলএম আইন নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই

.............সুন্দর দিনের আগামী।

বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে মোবাইলে এমএলএম আইন নিয়ে নানাবিধ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছিল । এতে বুঝলাম যে মিডিয়া এমএলএম আইন নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ব্যাপক । এর সঠিক সমাধান হল নিজেদের আরো সচেতন হওয়া । উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ এমএলএম/ডাইরেক্ট সেলিং কোম্পানি ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের প্রায় এক যুগের দাবীর প্রেক্ষিতে গত ১৯শে আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভায় এমএলএম আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় যা আগামী সংসদ অধিবেশনে পাস হতে যাচ্ছে ।

এটি অবশ্যই একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ যা বাংলাদেশে এমএলএম ব্যবসার প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে । কিন্তু খেয়াল করলাম কতিপয় সংবাদপত্র এই পদক্ষেপের কারন হিসেবে ডেসটিনি গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারটিকে ফলাও করে প্রচার করে ! এমএলএম আইনে ডেসটিনি গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই । কারন, ডেসটিনি গ্রুপ কোম্পানি আইনে নিবন্ধিত । ডেসটিনি গ্রুপের ৩৭ টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এমএলএম আইন শুধুমাত্র ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । কিন্তু ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের বিরুদ্ধে মিডিয়া বা দুদক কারো কোনো অভিযোগ নেই ।

তাছাড়া ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের নিকট কারো কোনো পাওনাও নেই অর্থাৎ এই প্রতিষ্ঠানটির কোনো দায় নেই । সেক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে দুশ্চিন্তারও কোনো কারন নেই । ডেসটিনি গ্রুপের যে দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগ রয়েছে সে দুটির একটি হল ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেড যা কোম্পানি আইনে নিবন্ধিত আর অপরটি হল ডেসটিনি মাল্টিপারপাস লিমিটেড যা সমবায় আইনে নিবন্ধিত । অর্থাৎ এ দুটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এমএলএম আইন প্রযোজ্য নয় । সুতরাং ডেসটিনি গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার খবরটি নিছক প্যানিক সৃষ্টির অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয় ।

এমএলএম আইনটি পাস হওয়ার পর উল্লেখযোগ্য যে সমস্ত সুবিধা পাওয়া যাবেঃ কোনো আইন না থাকায় এতদিন এই ব্যবসায় ব্যাংক লোনের সুবিধা ছিল না । আইনটির ফলে এ সুবিধা পাওয়া এখন অনেক সহজ হবে । আইন না থাকায় ডেসটিনির মত একটি বৃহৎ করদাতা প্রতিষ্ঠানকে কতিপয় হলুদ মিডিয়া সমস্যায় ফেলতে পেরেছে যা ভবিষ্যতে সহজ হবে না । কোনো আইনি কাঠামো না থাকায় অনেক ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠান এ ব্যবসার মাধ্যমে জালিয়াতি করেছে যা এমএলএম ব্যবসার ইমেজ সংকট তৈরী করেছে । আইন পাস হলে আর কোনো ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠান প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারবে না ।

যেসব এমএলএম কোম্পানি বিশুদ্ধ এমএলএম করতে চায় তারাই লাইসেন্স পাবে এবং তাদের সমন্বয়ে ডাইরেক্ট সেলিং/এমএলএম কোম্পানিজ এসোসিয়েশন গঠিত হবে যা ভবিষ্যতে এমএলএম কম্পানির স্বার্থ সংরক্ষনে কাজ করে যাবে । যেমন- এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ ইত্যাদি । এই এসোসিয়েশন আবার আন্তর্জাতিক ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ ডাইরেক্ট সেলিং এসোসিয়েশন- WFDSA’ এর সদস্যপদ পাবে যা এমএলএম কোম্পানীগুলোর ব্যবসা প্রসার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে । এই আইনের ফলে আরো হাজারো সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে যা এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি । #Spartan Tanvir# সুত্র


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।