সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
না না সেই লালসালু নয়....
আটশ' বছর আগেও কোনো বসতির অস্তিত্ব ছিল না, ঝোপ-জঙ্গলের গহিন বনাঞ্চল ছিল এলাকাটি। এমন এক অজপাড়াগাঁয়ে এক হাজার দু'শ বছর আগের নাম না জানা কথিত পীরের মাজার গড়ে তুলেছে একটি প্রতারক চক্র। লালসালু ঘেরা দালানঘরের প্রবেশদ্বারে নির্মাণ করা হয়েছে দানবাক্স। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের খান্দুরা গ্রামের পাঠানতলা নামের এ স্থানটি সম্পর্কে স্থানীয় কোনো ব্যক্তির এমন তথ্য জানা নেই যে, এখানে কোনোপীরের মাজার ছিল। এলাকায় সরজমিনে গেলে মাজারের মূল উদ্যোক্তা ঢাকা মিরপুরের পাইকপাড়া মহলল্গার ৫৭ নম্বরের আবু হোরায়রা বিদ্যুৎ (৪০) জানান, এখানে (পাঠানতলা) এক কামেল পীরের কবর রয়েছে।
১২শ' বছর আগে মারা যাওয়া পীর তাকে স্বপ্নে নির্দেশ দেন, অযত্নে তার কবরটির পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। তিনি (বিদ্যুৎ) যেন তার কবরটি রক্ষণাবেক্ষণ করেন। প্রায় দু'বছর আগে এ নির্দেশ পেয়ে পূর্ব পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের বারঘরিয়া এলাকার মাসুদরানা ওরফে রানার (৩৫) সহযোগিতায় খান্দুরা গ্রামে এসে পীরের মাজারটি চিহ্নিত করেন এবং পাকা ঘর তৈরি করে লালসালু ঘেরা মাজারটি গড়ে তোলেন। পীরের নাম তিনি এখনও জানেন না। ফলে নামকরণ করা হয়েছে 'পাঠান দরগা পীরের মাজার'।
সমকাল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।