পাখি এক্সপ্রেস
এ ব্লগে যে ক'জন সত্যিকারের সেলিব্রিটি আছে, তাদের মধ্যে লালসালু অন্যতম। দেশের বর্তমান প্রতিভাবান ছড়াকারদের মধ্যে তাঁর একচ্ছত্র দাপট। কেউ কেউতো তাকে ভিনগ্রহের ছড়াকার বলে অবহিত করে থাকেন। অবশ্য তিনি নিজেকে কখনোই ছড়াকার হিসেবে পরিচয় দেননি। বাংলা সাহিত্যে তিনি এক নতুন সংযোজন ঘটিয়েছেন।
তাঁর নতুন সংযোজনের নাম "কোবতে"। সে সূত্রে তিনি একজন "কুবি"। গত তিনদিন ধরে ফোর জি (4G) স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যোগযোগ করে বিভিন্ন বিষয়ে জানার চেষ্টা করি। সেসব টুকিটাকি বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
ইন্সট্যান্ট কোবতের কাইব্য ::
লালসালুর সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হচ্ছে তিনি ইন্সট্যান্ট কোবতে লিখতে পারেন।
যেমন একদিন তাঁর ভীষন হাগু ধরেছে। যাচ্ছিলেন বাড়ির সামনের ঝুলন্ত পায়খানায়। কিন্তু এমন সময় তার কাকা (কাগু) ডাক দিলেন। আবার দেখলেন ঘাস খাওয়ার জন্য বেঁধে রাখা গরুটি ছু'টে গেছে, অবশ্য পাশেই কাজের ছেলে নুরু দাঁড়ানো ছিলো। যদিও তিনি কোনদিকে না তাকিয়ে হাগু করতে চলে গেলেন, কিন্তু পায়খানার ভেতর বসে বসে কোবতে ঠিকই লিখে ফেললেন।
"দুপুর বেলা তলপেটে চাপ, ধরছে আমার হাগু/
বদনা হাতে যাচ্ছি যখন ডেকে বসলেন কাগু/
দেখতো বাপ কি হলো যে, ছুটে গেলো গরু/
দাঁড়িয়ে কি তামশা দেখস! থামাস না ক্যান নুরু?"
কোবতেটি অন্যভাবেও লেখা যায়। যেমন :
"ধরেছে হাগু/
ডেকেছেন কাগু/
ছুটেছে গরু/
থামারে নুরু"
ইন্সট্যান্ট কবিতা লেখার রহস্য সম্পর্কে জানতে চান? এটা কোন বিষয়ই না। যেমন "নুরু" শব্দটির উচ্চারণে কাছাকাছি আরেকটি শব্দ নিতে পারলেই দু'লাইন কোবতে হয়ে গেছে। উদাহরণ স্বরূপ :
"ওরে ও ভাই নুরু /
একি করলি শুরু"
দেখেছেন, কোবতে লেখা কত সহজ?
কোবতের শিল্পগুন ::
বাঙালির সবচেয়ে বড় দোষ হচ্ছে সবকিছুতে শিল্পগুন খোঁজা। কোবতের শিল্পগুন থাকতে হবে কেন?
একজন কুবির সামাজিক মর্যাদা ::
এটা একটা বিরাট ইতিহাস।
দেশের কাঁঠাল পাতার সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রকল্প নিয়েছিলো দেশের ছাগু সম্প্রদায়ের প্রধান। বিষয়টা অনেকটা শিয়ালের কাছে মোরগ বর্গা দেয়ার মতো। কিন্তু পরবর্তীতে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে, বরং নিজেদের গুনগত পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে প্রকল্পের অধীনেই শিল্প সাহিত্য ভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলার বিষয়ে শরিয়ত সম্মত সাহিত্য চর্চার বিষয়টি দল প্রধানের মাথায় আসে।
কাঠাল পাতা নিয়ে একটা কোবতে না হলেই নয় :
"কাঁঠাল পাতা কাঁঠাল পাতা/
কুথায় তোমার বাড়ি/
এবার ঈদে চলো না যাই/
সীমানা দেই পাড়ি"
সমাজে কোবতের প্রয়োজনীয়তা ::
কোবতের সামাজিক প্রয়োজনীয়তার চাইতেও এর সাংগঠনিক প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।
ব্লগের মতো প্লাটফর্মে অ-জামাতী শিল্প সাহিত্যে যদি জামায়াত শিবিরের কোন অবস্থান না থাকে, তাহলে নতুন প্রজন্মে জামাতীয় বীর্য রেখে যাওয়া কঠিন হবে। বিষয়টা খুবই পরিষ্কার। ব্লগে বেশিরভাগ জামাত সমর্থক ল্যাঞ্জা বাহির করেই ব্লগিং করতো। এতে করে প্রপাগান্ডা চালানো যেতো না সহজে। ঠিক সে সময় চট্টগ্রাম ভার্সিটির কিছু প্রতিশ্রুতিশীল মুজাহিদকে ব্লগে নিয়োগ দেয়া হয় অকাতরে লেদিয়ে যেতে।
কিন্তু দলের এক আবাল গোছের ছাগু লর্ড হুসাইয়ের কারণে অনেকেরই ল্যাঞ্জা বাহির হয়ে যায়। তারপর থেকে লাললাসু প্রতিষ্ঠিত ছাগু হিসেবে মর্যাদা পেলেও অনেকেরই তা অজানা।
==================
আমরা এবার উনার ড্রাফটে থাকা কিছু কোবতে পড়বো।
(১)
শহীদ (নির্বাসিত) হুসেইন ডাক দিয়েছে সব ছাগুরে খবর দে
মুরতাদীদের লোম বেড়েছে সিপিজিকে কবর দে
(২)
বীর চট্টলার সৈনিক মোরা
ভয় করি না মরনে
দৌড়ালে খুব দৌড়তে পারি
প্যান্টু না থাক পরনে
(৩)
নয়ন ভাসে, বুকটা ফাটে
অক্টোবরের আটাশে
ঘুমের ঘোরে আরো ফাটে
কানাওয়ালা বরো বাঁশে
(৪)
আমার জীবন আমারতো নয়
বেইচ্যা দিছি শিবিরে
তোর কাছেও বেছতে পারি
বেশি দামে নিবিরে?
(৫)
ব্লগে আর ভাল্লাগে না যাইতে চাই তাবলীগে
যাইতে আবার ডরও লাগে মাইর যদি দেয় পাবলিকে
কোন ড্রাইভে যে রাখছি ছাতা সেলিব্রিটির ভিডিও
উপরে শান্তি নিচে শান্তি আহারে তার কি ভিউ!
================
আজকের মতো ফোর জি (4G) স্যাটেলাইট কানেকশন বন্ধ।
================
লালসালুর কখনো গেলমান ডিউটি পড়েছে কিনা, এ বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায়নি।
যদিও আপনারা শুরু থেকেই এ তথ্যটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
পোস্ট শেষ। । খুদাপেজ। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।